ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত মিনা

  • আপডেট সময় : ০৭:৫১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত মিনা উপত্যকা। বুধবার মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। এরই মধ্যে মিনায় পৌঁছতে শুরু করেছেন হাজিরা। সৌদি হজ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত চার লাখের বেশি হাজি মিনায় অবস্থান নিয়েছেন। বুধবার (৭ জিলহজ) সন্ধ্যার পর হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনার উদ্দেশে রওনা হন হাজিরা। জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো শেষ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হাজিরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন। মিনায় রাত যাপন শেষে ৮ জিলহজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রওনা হবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে হজের খুতবা। এবার খুতবা দেবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ। হাজিদের আরাফাতে অবস্থানকেই মূলত হজ হিসেবে ধরা হয়। ৯ জিলহজ শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, কোরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন করে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
‘গরমে মৃত্যু এড়াতে’ আড়াই লাখ হজযাত্রীকে মক্কায় প্রবেশে বাধা: প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র না থাকায় ২ লাখ ৬৯ হাজার মুসল্লিকে পবিত্র মক্কা নগরে প্রবেশ করতে দেয়নি সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। এসব মুসল্লি পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। গত বছর হজের সময় ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে ১ হাজার ৩০০-এর বেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এ বছর তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যু রোধ করতে মুসল্লিদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নিয়ম লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ পেলে তাঁদের মক্কা নগরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের মতো এ বছর তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস নেই। তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী, হজের সময় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ লাখ হজযাত্রী পবিত্র মক্কা নগরে পৌঁছেছেন। সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত সোমবার জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে ৪৪ জন হিটস্ট্রোকের রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছে। সৌদি আরবের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আসিরি বলেছেন, তাঁরা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘হজের সময় চরমভাবাপন্ন তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে। তাই, তাপজনিত অসুস্থতার ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’ আবদুল্লাহ আসিরি আরো বলেন, হজ উপলক্ষে ৫০ হাজার চিকিৎসাকর্মী ও প্রশাসনিক কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুতর রোগীদের জন্য হাসপাতালে ভেন্টিলেটর-সুবিধার ৭০০টির বেশি শয্যায প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত মিনা

আপডেট সময় : ০৭:৫১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত মিনা উপত্যকা। বুধবার মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। এরই মধ্যে মিনায় পৌঁছতে শুরু করেছেন হাজিরা। সৌদি হজ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত চার লাখের বেশি হাজি মিনায় অবস্থান নিয়েছেন। বুধবার (৭ জিলহজ) সন্ধ্যার পর হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনার উদ্দেশে রওনা হন হাজিরা। জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো শেষ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হাজিরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন। মিনায় রাত যাপন শেষে ৮ জিলহজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রওনা হবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে হজের খুতবা। এবার খুতবা দেবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ। হাজিদের আরাফাতে অবস্থানকেই মূলত হজ হিসেবে ধরা হয়। ৯ জিলহজ শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, কোরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন করে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
‘গরমে মৃত্যু এড়াতে’ আড়াই লাখ হজযাত্রীকে মক্কায় প্রবেশে বাধা: প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র না থাকায় ২ লাখ ৬৯ হাজার মুসল্লিকে পবিত্র মক্কা নগরে প্রবেশ করতে দেয়নি সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। এসব মুসল্লি পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। গত বছর হজের সময় ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে ১ হাজার ৩০০-এর বেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এ বছর তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যু রোধ করতে মুসল্লিদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নিয়ম লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ পেলে তাঁদের মক্কা নগরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের মতো এ বছর তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস নেই। তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী, হজের সময় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ লাখ হজযাত্রী পবিত্র মক্কা নগরে পৌঁছেছেন। সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত সোমবার জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে ৪৪ জন হিটস্ট্রোকের রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছে। সৌদি আরবের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আসিরি বলেছেন, তাঁরা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘হজের সময় চরমভাবাপন্ন তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে। তাই, তাপজনিত অসুস্থতার ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’ আবদুল্লাহ আসিরি আরো বলেন, হজ উপলক্ষে ৫০ হাজার চিকিৎসাকর্মী ও প্রশাসনিক কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুতর রোগীদের জন্য হাসপাতালে ভেন্টিলেটর-সুবিধার ৭০০টির বেশি শয্যায প্রস্তুত রাখা হয়েছে।