ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

লাগামহীন করোনায় নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসের হানা। করোনা সংক্রমণ চিন্তার গভীর ভাঁজ ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসনের কপালে। উদ্বেগজনক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নিউইয়র্কের গভর্নর ডিজাস্টার ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছেন।
গভর্নর সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার উল্লেখ করে প্রদেশে ডিজাস্টার ইমার্জেন্সির ঘোষণা করেছেন। গভর্নরের নির্দেশের শিরোনামে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কে বিপর্যয়জনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা। নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘আমি নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল সংবিধান ও নিউইয়র্ক রাজ্যের আইনে প্রদত্ত অধিকারের ভিত্তিতে নির্বাহী আইনের অনুচ্ছেদ ২ বি-র ধারা ২৮ অনুসারে আমি দেখেছি, নিউইয়র্ক রাজ্যে একটি বিপদ হাজির হয়েছে। এজন্য প্রভাবিত স্থানীয় প্রশাসন পর্যাপ্তভাবে প্রতিক্রিয়া অসমর্থ এবং আমি আগামী ২০২২ এর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে ডিজাস্টার এমার্জেন্সির ঘোষণা করছি’।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে নিউইয়র্কে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই প্রদেশে নতুন করে ৫৭৮৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫৮ হাজার জন। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত নিউইয়র্কে আক্রান্তর সংখ্যা প্রায় ২৮ লক্ষ। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ২৩.২৬ লক্ষ। নিউইয়র্কে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪ লক্ষেরও বেশি।
মাঝে এমন একটা পরিস্থিতি এসেছিল, যখন মনে হয়েছিল করোনার সংক্রমণ অনেকটাই রোখা গিয়েছে। কিন্তু তারপরই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। অনেক বেশি সংখ্যায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি দেখেই গভর্নর নিউইয়র্কে ডিজাস্টার ইমার্জেন্সির ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা সহ কয়েকটি দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় তটস্থ বিভিন্ন দেশ। গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের টেকনিক্যাল অ্যাডাভাইসরি গ্রুপ অন ভাইরাস ইভোলিউশনের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে নয়া ভ্যারিয়েন্ট বি.১.১.৫২৯ ও এর চরিত্র নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, অনেক বেশিবার এই ভাইরাস মিউটেট করেছে এবং এর মধ্যে কয়েকটি উদ্বেগজনক।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন

লাগামহীন করোনায় নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

আপডেট সময় : ১১:০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসের হানা। করোনা সংক্রমণ চিন্তার গভীর ভাঁজ ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসনের কপালে। উদ্বেগজনক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নিউইয়র্কের গভর্নর ডিজাস্টার ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছেন।
গভর্নর সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার উল্লেখ করে প্রদেশে ডিজাস্টার ইমার্জেন্সির ঘোষণা করেছেন। গভর্নরের নির্দেশের শিরোনামে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কে বিপর্যয়জনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা। নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘আমি নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল সংবিধান ও নিউইয়র্ক রাজ্যের আইনে প্রদত্ত অধিকারের ভিত্তিতে নির্বাহী আইনের অনুচ্ছেদ ২ বি-র ধারা ২৮ অনুসারে আমি দেখেছি, নিউইয়র্ক রাজ্যে একটি বিপদ হাজির হয়েছে। এজন্য প্রভাবিত স্থানীয় প্রশাসন পর্যাপ্তভাবে প্রতিক্রিয়া অসমর্থ এবং আমি আগামী ২০২২ এর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে ডিজাস্টার এমার্জেন্সির ঘোষণা করছি’।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে নিউইয়র্কে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই প্রদেশে নতুন করে ৫৭৮৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫৮ হাজার জন। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত নিউইয়র্কে আক্রান্তর সংখ্যা প্রায় ২৮ লক্ষ। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ২৩.২৬ লক্ষ। নিউইয়র্কে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪ লক্ষেরও বেশি।
মাঝে এমন একটা পরিস্থিতি এসেছিল, যখন মনে হয়েছিল করোনার সংক্রমণ অনেকটাই রোখা গিয়েছে। কিন্তু তারপরই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। অনেক বেশি সংখ্যায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি দেখেই গভর্নর নিউইয়র্কে ডিজাস্টার ইমার্জেন্সির ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা সহ কয়েকটি দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় তটস্থ বিভিন্ন দেশ। গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের টেকনিক্যাল অ্যাডাভাইসরি গ্রুপ অন ভাইরাস ইভোলিউশনের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে নয়া ভ্যারিয়েন্ট বি.১.১.৫২৯ ও এর চরিত্র নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, অনেক বেশিবার এই ভাইরাস মিউটেট করেছে এবং এর মধ্যে কয়েকটি উদ্বেগজনক।