ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালালেন ৭০ বছর!

  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : রুটিন দায়িত্বপালনকালে ৮০ বছর বয়সোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ গাড়িচালককে দাঁড় করিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যামশায়ারের পুলিশের কর্মকর্তারা। এসময় কাগজপত্র দেখতে চাইলে বৃদ্ধ যা জানান, তাতে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! তিনি নাকি ১২ বছর বয়স থেকে গাড়ি চালাচ্ছেন, আর তার জন্য কোনোদিনই ড্রাইভিং লাইসেন্স করাননি। এমনকি গাড়ির ইনস্যুরেন্সও নেই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবর অনুসারে, গত ২৬ জানুয়ারি লাইসেন্সবিহীন ওই বৃদ্ধ গাড়িচালকের সন্ধান পায় নটিংহ্যাম পুলিশ। জানা যায়, অভিযুক্তের জন্ম ১৯৩৮ সালে। ১২ বছর বয়স থেকে তিনি গাড়ি চালাচ্ছেন। কিন্তু কোনোদিনই পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়নি। অর্থাৎ, টানা ৭০ বছরেরও বেশি সময় পুলিশের নজর এড়িয়ে গাড়ি চালিয়েছেন ওই ব্যক্তি। গত বুধবার বুলওয়েল শহরে একটি তিন দরজার ছোট গাড়ি চালানোর সময় তাকে দাঁড়াতে বলেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ফেসবুকের এক পোস্টে তারা জানান, এরপর যা হলো আমরা তা বিশ্বাসও করতে পারছিলাম না। ১৯৩৮ সালে জন্ম নেওয়া ওই লোক বললেন, তিনি ১২ বছর (হ্যাঁ, ১২ বছর) বয়স থেকে লাইসেন্স-ইনস্যুরেন্স ছাড়াই গাড়ি চালিয়ে আসছেনৃ আর কোনোভাবে কখনোই পুলিশি বাধায় পড়েননি।
পুলিশ জানিয়েছে, সৌভাগ্যবশত তিনি কখনো দুর্ঘটনা ঘটাননি, কাউকে আহত করেননি বা কারও আর্থিক ক্ষতির কারণ হননি। ফেসবুক পোস্টে স্থানীয়দের উদ্দেশে পুলিশ বলেছে, নটিংহ্যামে এএনপিআর (অটোমেটিক নাম্বার প্লেট রিকগনিশন) ক্যামেরার সংখ্যা বাড়তে থাকায় আপনার ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই ছোট দূরত্বে গেলেও গাড়ির কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন। যুক্তরাজ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে তিন থেকে ছয় পেনাল্টি পয়েন্ট মেলে। এটি নির্ভর করে মূলত অপরাধের মাত্রার ওপর। এছাড়া ইনস্যুরেন্স না থাকলে অনির্ধারিত জরিমানারও বিধান রয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় পুলিশ গাড়িটি জব্দ করতে পারে। ৭০ বছর ধরে বিনা লাইসেন্সে গাড়ি চালানো ওই ব্যক্তির কী সাজা হয়েছে তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। তবে শেষপর্যন্ত হয়তো তাকে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালালেন ৭০ বছর!

আপডেট সময় : ০১:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : রুটিন দায়িত্বপালনকালে ৮০ বছর বয়সোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ গাড়িচালককে দাঁড় করিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যামশায়ারের পুলিশের কর্মকর্তারা। এসময় কাগজপত্র দেখতে চাইলে বৃদ্ধ যা জানান, তাতে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! তিনি নাকি ১২ বছর বয়স থেকে গাড়ি চালাচ্ছেন, আর তার জন্য কোনোদিনই ড্রাইভিং লাইসেন্স করাননি। এমনকি গাড়ির ইনস্যুরেন্সও নেই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবর অনুসারে, গত ২৬ জানুয়ারি লাইসেন্সবিহীন ওই বৃদ্ধ গাড়িচালকের সন্ধান পায় নটিংহ্যাম পুলিশ। জানা যায়, অভিযুক্তের জন্ম ১৯৩৮ সালে। ১২ বছর বয়স থেকে তিনি গাড়ি চালাচ্ছেন। কিন্তু কোনোদিনই পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়নি। অর্থাৎ, টানা ৭০ বছরেরও বেশি সময় পুলিশের নজর এড়িয়ে গাড়ি চালিয়েছেন ওই ব্যক্তি। গত বুধবার বুলওয়েল শহরে একটি তিন দরজার ছোট গাড়ি চালানোর সময় তাকে দাঁড়াতে বলেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ফেসবুকের এক পোস্টে তারা জানান, এরপর যা হলো আমরা তা বিশ্বাসও করতে পারছিলাম না। ১৯৩৮ সালে জন্ম নেওয়া ওই লোক বললেন, তিনি ১২ বছর (হ্যাঁ, ১২ বছর) বয়স থেকে লাইসেন্স-ইনস্যুরেন্স ছাড়াই গাড়ি চালিয়ে আসছেনৃ আর কোনোভাবে কখনোই পুলিশি বাধায় পড়েননি।
পুলিশ জানিয়েছে, সৌভাগ্যবশত তিনি কখনো দুর্ঘটনা ঘটাননি, কাউকে আহত করেননি বা কারও আর্থিক ক্ষতির কারণ হননি। ফেসবুক পোস্টে স্থানীয়দের উদ্দেশে পুলিশ বলেছে, নটিংহ্যামে এএনপিআর (অটোমেটিক নাম্বার প্লেট রিকগনিশন) ক্যামেরার সংখ্যা বাড়তে থাকায় আপনার ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই ছোট দূরত্বে গেলেও গাড়ির কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন। যুক্তরাজ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে তিন থেকে ছয় পেনাল্টি পয়েন্ট মেলে। এটি নির্ভর করে মূলত অপরাধের মাত্রার ওপর। এছাড়া ইনস্যুরেন্স না থাকলে অনির্ধারিত জরিমানারও বিধান রয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় পুলিশ গাড়িটি জব্দ করতে পারে। ৭০ বছর ধরে বিনা লাইসেন্সে গাড়ি চালানো ওই ব্যক্তির কী সাজা হয়েছে তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। তবে শেষপর্যন্ত হয়তো তাকে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।