ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

লাইভের সময় গুলিতে নিহত সালওয়ান মোমিকা

  • আপডেট সময় : ০৭:০৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : সুইডেনে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননাকারী সালওয়ান মোমিকা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি আদালতে তার বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার মামলার রায় দেওয়ার কথা ছিল। তবে এরআগেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স সুইডিশ মিডিয়ার বরাতে জানিয়েছে, কোরআন অবমাননাকারী মোমিকাকে যখন গুলি করা হয় তখন তিনি টিকটকে লাইভ করছিলেন। রয়টার্সের সাংবাদিক জানিয়েছেন, তিনি ভিডিওতে দেখতে পেয়েছেন, পুলিশ এসে টিকটকের সেই লাইভটি বন্ধ করছে। মানে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও মোমিকার টিকটক থেকে লাইভ চলছিল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এসভিটি জানিয়েছে, ৩৮ বছর বয়সী মোমিকা স্টকহোমের নিকটবর্তী শহর সোদারতালজের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সালওয়ান মোমিকা মূলত ইরাকি নাগরিক। তিনি সুইডেনে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ছিলেন।

২০২৩ সালে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন একটি মসজিদের সামনে কোরআন পোড়ান তিনি। এরপর সুইডেন এবং ডেনমার্কে আরও কোরআন পোড়ায় কিছু দুস্কৃতিকারী। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে এগুলোর নিন্দা জানায়। এছাড়া কোথাও কোথাও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তা সত্ত্বেও মোমিকা ও তার কিছু সহযোগী কোরআন পোড়ানো অব্যাহত রাখে। ৩৮ বছর বয়সী এই ইরাকি ২০২৩ সালে একাধিকবার কোরআন অবমাননা করেন। অন্যদিকে ‘বাক স্বাধীনতার’ দোহাই দিয়ে সুইডেনের সরকার মোমিকার এই কর্মকাণ্ড সমর্থন দিয়েছিল। এমনকি যে সময় তিনি কোরআন পোড়ান তখন পুলিশ তাকে নিরাপত্তাও দেয়। তবে এ নিয়ে যখন উত্তেজনা বাড়তে থাকে তখন দেশটির সরকারকে সতর্কতা দিয়ে বলা হয়, মোমিকার এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে ইসলামপন্থিরা সুইডেনে হামলা চালাতে পারে।

বিক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে সুইডিশ সরকার মোমিকার রেসিডেন্স পারমিট বাতিল করে। তবে তাকে নিজ দেশ ইরাকে ফেরত পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা তারা করেনি। সূত্র: রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট
টপ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লাইভের সময় গুলিতে নিহত সালওয়ান মোমিকা

আপডেট সময় : ০৭:০৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : সুইডেনে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননাকারী সালওয়ান মোমিকা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি আদালতে তার বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার মামলার রায় দেওয়ার কথা ছিল। তবে এরআগেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স সুইডিশ মিডিয়ার বরাতে জানিয়েছে, কোরআন অবমাননাকারী মোমিকাকে যখন গুলি করা হয় তখন তিনি টিকটকে লাইভ করছিলেন। রয়টার্সের সাংবাদিক জানিয়েছেন, তিনি ভিডিওতে দেখতে পেয়েছেন, পুলিশ এসে টিকটকের সেই লাইভটি বন্ধ করছে। মানে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও মোমিকার টিকটক থেকে লাইভ চলছিল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এসভিটি জানিয়েছে, ৩৮ বছর বয়সী মোমিকা স্টকহোমের নিকটবর্তী শহর সোদারতালজের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সালওয়ান মোমিকা মূলত ইরাকি নাগরিক। তিনি সুইডেনে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ছিলেন।

২০২৩ সালে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন একটি মসজিদের সামনে কোরআন পোড়ান তিনি। এরপর সুইডেন এবং ডেনমার্কে আরও কোরআন পোড়ায় কিছু দুস্কৃতিকারী। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে এগুলোর নিন্দা জানায়। এছাড়া কোথাও কোথাও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তা সত্ত্বেও মোমিকা ও তার কিছু সহযোগী কোরআন পোড়ানো অব্যাহত রাখে। ৩৮ বছর বয়সী এই ইরাকি ২০২৩ সালে একাধিকবার কোরআন অবমাননা করেন। অন্যদিকে ‘বাক স্বাধীনতার’ দোহাই দিয়ে সুইডেনের সরকার মোমিকার এই কর্মকাণ্ড সমর্থন দিয়েছিল। এমনকি যে সময় তিনি কোরআন পোড়ান তখন পুলিশ তাকে নিরাপত্তাও দেয়। তবে এ নিয়ে যখন উত্তেজনা বাড়তে থাকে তখন দেশটির সরকারকে সতর্কতা দিয়ে বলা হয়, মোমিকার এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে ইসলামপন্থিরা সুইডেনে হামলা চালাতে পারে।

বিক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে সুইডিশ সরকার মোমিকার রেসিডেন্স পারমিট বাতিল করে। তবে তাকে নিজ দেশ ইরাকে ফেরত পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা তারা করেনি। সূত্র: রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট
টপ