ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

লর্ডস ভূত তাড়ালো নিউজিল্যান্ড

  • আপডেট সময় : ১২:২২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : লর্ডসের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ভুত আবুধাবিতে তাড়ালো নিউ জিল্যান্ড। সেবার ফাইনালে নাটকীয়ভাবে সুপার ওভারও টাই হওয়ার পর বাউন্ডারির ব্যবধানে শিরোপা জিতেছিল ইংলিশরা। রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল নিউ জিল্যান্ডকে। তবে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে নাম লিখিয়েছে ব্লাক ক্যাপসরা। আর সেটা সম্ভব হয়েছে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডারিল মিচেলের ব্যাটে ভর করে। মিচেল ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ৪৭ বলে ৪টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলে দলকে ফাইনালে তুলে মাঠ ছাড়েন। অবশ্য রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কিউইদের। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ওকসের শিকারে পরিণত হন মার্টিন গাপটিল। মাত্র ৪ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকেও ফেরান ওকস। অধিনায়ক করে যান মাত্র ৫ রান। ১৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়া নিউ জিল্যান্ডকে এরপর টেনে তোলেন ডেভন কনওয়ে ও ডারিল মিচেল। তারা দুজন তৃতীয় উইকেটে তোলেন ৬৭ বলে ৮২ রান। এরপর দলীয় ৯৫ রানের মাথায় ৩৮ বলে ৪৬ রান করে আউট হন কনওয়ে। তাকে ফেরান লিয়াম লিভিংস্টন।
১০৭ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। এবার আউট হন গ্লেন ফিলিপস। ২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তাকেও ফেরান লিভিংস্টন। ফিলিপস আউট হওয়ার পর ১৬ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১১০। জয়ের জন্য শেষ চার ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ২৪ বলে ৫৭ রান। ক্রিস জর্ডানের করা ১৭তম ওভারে মিচেল ও জিমি নিশাম নেন ২৩ রান। অবশ্য পরের ওভারেই উইকেট হারায় উইলিয়ামসন বাহিনী। ১১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৭ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন নিশাম। এই ওভারে ১৪ রান তোলে ব্লাক ক্যাটসরা। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান প্রয়োজন ছিল নিউ জিল্যান্ডের। কিন্তু ১৯তম ওভারে ক্রিস ওকসের হাতে বল তুলে দেয় ইংল্যান্ড। সেট ব্যাটসম্যান মিচেল তার ওভারে দুটি ছক্কাসহ ২০ রান তুলে এক ওভার হাতে রেখেই নিউ জিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন। তিনি ৪১ বলে ফিফটি করেন। আর ৪৭ বলে ৭২ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচসেরাও হন তিনি। তার আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। যদিও তাদের শুরুটা হয়েছিল ঢিমেতালে। কিন্তু শেষ দিকে মঈন আলীর ৩৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৫১ ও ডেভিড মালানের ৩০ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় করা ৪১ রানের সুবাদে ২০ ওভারে চার উইকেটে ১৬৬ রান তোলে ইংল্যান্ড। বল হাতে নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনে, ইশ শোধি ও জিমি নিশাম ১টি করে উইকেট নেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লর্ডস ভূত তাড়ালো নিউজিল্যান্ড

আপডেট সময় : ১২:২২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : লর্ডসের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ভুত আবুধাবিতে তাড়ালো নিউ জিল্যান্ড। সেবার ফাইনালে নাটকীয়ভাবে সুপার ওভারও টাই হওয়ার পর বাউন্ডারির ব্যবধানে শিরোপা জিতেছিল ইংলিশরা। রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল নিউ জিল্যান্ডকে। তবে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে নাম লিখিয়েছে ব্লাক ক্যাপসরা। আর সেটা সম্ভব হয়েছে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডারিল মিচেলের ব্যাটে ভর করে। মিচেল ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ৪৭ বলে ৪টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলে দলকে ফাইনালে তুলে মাঠ ছাড়েন। অবশ্য রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কিউইদের। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ওকসের শিকারে পরিণত হন মার্টিন গাপটিল। মাত্র ৪ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকেও ফেরান ওকস। অধিনায়ক করে যান মাত্র ৫ রান। ১৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়া নিউ জিল্যান্ডকে এরপর টেনে তোলেন ডেভন কনওয়ে ও ডারিল মিচেল। তারা দুজন তৃতীয় উইকেটে তোলেন ৬৭ বলে ৮২ রান। এরপর দলীয় ৯৫ রানের মাথায় ৩৮ বলে ৪৬ রান করে আউট হন কনওয়ে। তাকে ফেরান লিয়াম লিভিংস্টন।
১০৭ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। এবার আউট হন গ্লেন ফিলিপস। ২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তাকেও ফেরান লিভিংস্টন। ফিলিপস আউট হওয়ার পর ১৬ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১১০। জয়ের জন্য শেষ চার ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ২৪ বলে ৫৭ রান। ক্রিস জর্ডানের করা ১৭তম ওভারে মিচেল ও জিমি নিশাম নেন ২৩ রান। অবশ্য পরের ওভারেই উইকেট হারায় উইলিয়ামসন বাহিনী। ১১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৭ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন নিশাম। এই ওভারে ১৪ রান তোলে ব্লাক ক্যাটসরা। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান প্রয়োজন ছিল নিউ জিল্যান্ডের। কিন্তু ১৯তম ওভারে ক্রিস ওকসের হাতে বল তুলে দেয় ইংল্যান্ড। সেট ব্যাটসম্যান মিচেল তার ওভারে দুটি ছক্কাসহ ২০ রান তুলে এক ওভার হাতে রেখেই নিউ জিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন। তিনি ৪১ বলে ফিফটি করেন। আর ৪৭ বলে ৭২ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচসেরাও হন তিনি। তার আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। যদিও তাদের শুরুটা হয়েছিল ঢিমেতালে। কিন্তু শেষ দিকে মঈন আলীর ৩৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৫১ ও ডেভিড মালানের ৩০ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় করা ৪১ রানের সুবাদে ২০ ওভারে চার উইকেটে ১৬৬ রান তোলে ইংল্যান্ড। বল হাতে নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনে, ইশ শোধি ও জিমি নিশাম ১টি করে উইকেট নেন।