ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

লবণ সরবরাহে ভোগান্তি

  • আপডেট সময় : ০১:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার সংবাদদাতা : কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর লবণ শিল্প এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে লবণ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পথে। এই এলাকার একমাত্র চলাচল পথ ‘ইসলামপুর-বটতলী দেড় কিলোমিটারের সড়কটি’ খানাখন্দে মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরে থাক পায়ে হাঁটাও দুরূহ হয়ে পড়েছে। গর্তে উল্টে যাচ্ছে লবণ বোঝাই ট্রাক। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। লবণ পরিবহণে সরকারি রাজস্বের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে সড়ক উন্নয়ন ফি দেয়ার পরও যাতায়াত দুর্ভোগের কারণে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে মিল মালিক, লবণ ও পরিবহণ ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের মাঝে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে পথে নেমেছে এলাকাবাসী। ইসলামপুর সমাজ কল্যাণ ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে সম্প্রতি ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে তারা। মানববন্ধনে স্থানীয় মিল মালিক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন অংশ নেন। সূত্র জানায়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় ১৯৭২ সালে মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক উদ্যোক্তা ইসলামপুর লঞ্চ ঘাটে ‘কক্সবাজার সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ নামে লবণ মিল স্থাপন করেন। এর পর ধীরে ধীরে এই অঞ্চলে বাড়তে থাকে লবণ মিল। কালের পরিক্রমায় এখানে বর্তমানে প্রায় ৭০টি লবণ মিল রয়েছে। এখন নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম চালাচ্ছে অর্ধশতাধিক মিল। কক্সবাজার জেলার অধিকাংশ লবণ এখানকার মিলে আনা হয়। আর দেশের চাহিদার ৯৫ শতাংশ লবণ কক্সবাজারেই উৎপাদন করা হয়। বর্ষা মৌসুমেও এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ ট্রাক লবণ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। গ্রীষ্মে ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০-৭০টিতে। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নাপিতখালী বটতলী এলাকা হয়ে ইসলামপুর লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক দিয়ে লবণের এসব ট্রাক মহাসড়কে উঠে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। সরেজমিন দেখা গেছে, আরকান সড়কের বটতলী স্টেশন থেকে ইসলামপুর বাজার পর্যন্ত পুরো রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে একাকার হয়ে ছোট-বড় যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লবণ সরবরাহে ভোগান্তি

আপডেট সময় : ০১:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১

কক্সবাজার সংবাদদাতা : কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর লবণ শিল্প এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে লবণ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পথে। এই এলাকার একমাত্র চলাচল পথ ‘ইসলামপুর-বটতলী দেড় কিলোমিটারের সড়কটি’ খানাখন্দে মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরে থাক পায়ে হাঁটাও দুরূহ হয়ে পড়েছে। গর্তে উল্টে যাচ্ছে লবণ বোঝাই ট্রাক। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। লবণ পরিবহণে সরকারি রাজস্বের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে সড়ক উন্নয়ন ফি দেয়ার পরও যাতায়াত দুর্ভোগের কারণে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে মিল মালিক, লবণ ও পরিবহণ ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের মাঝে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে পথে নেমেছে এলাকাবাসী। ইসলামপুর সমাজ কল্যাণ ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে সম্প্রতি ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে তারা। মানববন্ধনে স্থানীয় মিল মালিক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন অংশ নেন। সূত্র জানায়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় ১৯৭২ সালে মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক উদ্যোক্তা ইসলামপুর লঞ্চ ঘাটে ‘কক্সবাজার সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ নামে লবণ মিল স্থাপন করেন। এর পর ধীরে ধীরে এই অঞ্চলে বাড়তে থাকে লবণ মিল। কালের পরিক্রমায় এখানে বর্তমানে প্রায় ৭০টি লবণ মিল রয়েছে। এখন নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম চালাচ্ছে অর্ধশতাধিক মিল। কক্সবাজার জেলার অধিকাংশ লবণ এখানকার মিলে আনা হয়। আর দেশের চাহিদার ৯৫ শতাংশ লবণ কক্সবাজারেই উৎপাদন করা হয়। বর্ষা মৌসুমেও এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ ট্রাক লবণ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। গ্রীষ্মে ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০-৭০টিতে। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নাপিতখালী বটতলী এলাকা হয়ে ইসলামপুর লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক দিয়ে লবণের এসব ট্রাক মহাসড়কে উঠে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। সরেজমিন দেখা গেছে, আরকান সড়কের বটতলী স্টেশন থেকে ইসলামপুর বাজার পর্যন্ত পুরো রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে একাকার হয়ে ছোট-বড় যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে।