ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

লড়াইকে আরও এগিয়ে নেব: মির্জা ফখরুল

  • আপডেট সময় : ০১:১১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এদিন ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি ও এর বিভিন্ন এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করেন। ফখরুল বলেন, ‘আমরা আজো বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়ার জন্য এবং অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছি। আমাদের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা, ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর মামলা থেকে মুক্তি এবং সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য লড়াই করছি। এই লড়াইকে আমরা আরো এগিয়ে নেব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের দিনে আমাদের শপথ দেশনেত্রীকে মুক্ত এবং তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনব। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনব এবং একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সৈনিক জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, যিনি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, তাকে মুক্ত করে নতুনভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। এজন্যই এই দিনটি দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’
‘৭ নভেম্বর শুধু দিবস নয়। এটি দেশের মানুষের কাছে ছিল যুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করবার দিন’-এ মন্তব্য করে বাংলাদেশের শত্রুদের পরাজিত করে দেশপ্রেমিক সৈনিক জনতা বাংলাদেশকে রক্ষা করবার মূলমন্ত্রে সেদিন উজ্জীবিত হয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা পরবর্তীকালে ভয়াবহ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা দেখেছি। সেটাকে পরিবর্তন করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন অর্থনৈতিক ধারা চালু হয়েছিল। মুক্ত অর্থনীতির ধারা চালু হয়। একইসাথে জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শন দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।’
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফরহাদ হালিম ডোনারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম, রফিক হাওলাদার, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, সর্দার মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে একে একে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, মৎস্যজীবী দল, জাসাস, কৃষকদল, শ্রমিক দল, ওলামা দল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ইউট্যাব, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এমট্যাবসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের পক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লড়াইকে আরও এগিয়ে নেব: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০১:১১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এদিন ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি ও এর বিভিন্ন এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করেন। ফখরুল বলেন, ‘আমরা আজো বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়ার জন্য এবং অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছি। আমাদের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা, ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর মামলা থেকে মুক্তি এবং সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য লড়াই করছি। এই লড়াইকে আমরা আরো এগিয়ে নেব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের দিনে আমাদের শপথ দেশনেত্রীকে মুক্ত এবং তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনব। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনব এবং একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সৈনিক জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, যিনি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, তাকে মুক্ত করে নতুনভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। এজন্যই এই দিনটি দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’
‘৭ নভেম্বর শুধু দিবস নয়। এটি দেশের মানুষের কাছে ছিল যুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করবার দিন’-এ মন্তব্য করে বাংলাদেশের শত্রুদের পরাজিত করে দেশপ্রেমিক সৈনিক জনতা বাংলাদেশকে রক্ষা করবার মূলমন্ত্রে সেদিন উজ্জীবিত হয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা পরবর্তীকালে ভয়াবহ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা দেখেছি। সেটাকে পরিবর্তন করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন অর্থনৈতিক ধারা চালু হয়েছিল। মুক্ত অর্থনীতির ধারা চালু হয়। একইসাথে জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শন দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।’
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফরহাদ হালিম ডোনারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম, রফিক হাওলাদার, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, সর্দার মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে একে একে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, মৎস্যজীবী দল, জাসাস, কৃষকদল, শ্রমিক দল, ওলামা দল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ইউট্যাব, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এমট্যাবসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের পক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।