নিজস্ব প্রতিবেদক : চালু হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আর এই পদ্মা সেতু চালুর পর এবার ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রীদের ঈদযাত্রা হচ্ছে নির্বিঘœ। গতকাল বৃহস্পতিবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। একদিকে যেমন কাউন্টারগুলো একেবারেই ফাঁকা, ঠিক তেমনি ফাঁকা টার্মিনালও। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এবার ঈদে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট পেতে কোনো দৌড়ঝাঁপ নেই, কারো কাছে তদবির করতে হচ্ছে না। লঞ্চের কাউন্টারে এসে চাহিদামতো টিকিট পাচ্ছেন যাত্রীরা। ঈদ উপলক্ষে এবার টিকিটের দামও বাড়েনি। বরং কেবিন ও ডেকের টিকিটের ভাড়া আগের তুলনায় কম। দুপুরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে কথা হয় ভোলার যাত্রী মো. আব্দুল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর সড়কপথে কম সময়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করছেন এই অঞ্চলের মানুষ। এতে লঞ্চে যাত্রী কমে গেছে। ফলে যাত্রী ধরে রাখতে কেবিন, ডেকের ভাড়া কমিয়ে দিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। তাদের কাছে যাত্রীদের কদরও বেড়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করা বরিশালের পলাশ আহমেদ বলেন, ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া। এ জন্য একটি লঞ্চের সিঙ্গেল কেবিনের টিকিট নিয়েছেন। কাউন্টারে কোনো ভিড় নেই। টিকিট পেতে কোনো ঝামেলা হয়নি। আগে দেড় হাজার টাকার নিচে ঈদের সময় সিঙ্গেল কেবিন মিলত না। এবার ১ হাজার টাকায় কেবিন পেয়েছেন।
কাউন্টারে ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। কোনো ভিড় নেই। যাত্রীর সংখ্যা হাতেগোনা। অনেক টিকিট অনলাইনে আগে থেকে বিক্রি হলেও এখনো যারা কাউন্টারে আসছেন, টিকিট পেতে কোনো ঝামেলা হচ্ছেনা।
এম কে শিপিং লাইনসের ম্যানেজার ইমরান খান বলেন, আমাদের অধিকাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ঈদে যাত্রী অনেক কম। এখন পর্যন্ত কোনো লঞ্চই সম্পূর্ণ যাত্রী পায়নি। তবে শিডিউল মেনেই ছাড়া হচ্ছে সবগুলো।
লঞ্চে চাপ নেই যাত্রীদের, এখনো মিলছে টিকিট
ট্যাগস :
লঞ্চে চাপ নেই যাত্রীদের
জনপ্রিয় সংবাদ