নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রাসেল শেখ। ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে ৩৮ বছর বয়সী রাসেলের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে অগ্নিকা-ের ওই ঘটনায় ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসা দগ্ধদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হলো। অগ্নিকা-ের ওই ঘটনায় রাসেলের আরও তিন স্বজন মারা গেছেন। দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনজন। এছাড়া নিখোঁজ আছেন রাসেলের দুই শিশু সন্তান। রাসেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি জানান, আগুনে রাসেলের শ্বাসনালীসহ ১৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকার পর সকাল ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। অগ্নিকা-ের ওই ঘটনায় এখনও দুই জন আইসিইউতে আছেন। সবমিলিয়ে ভর্তি রয়েছে ১২জন। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় আইসিইউতে মৃত্যু হয় শাহিনুর খাতুন স্বপ্না নামে এক নারীর। আর ঘটনার পরদিন রাতে মারা যান হাবিব খান নামে একজন। এছাড়া ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মারা যায় তামিম নামে এক শিশু। মৃত রাসেল মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার নোওয়াপাড়া গ্রামের গাফফার শেখের ছেলে। লঞ্চে অগ্নিকা-ের ঘটনায় রাসেলের স্ত্রী পুতুল এবং শ্যালক কালু ও রবিন দগ্ধ হয়েছেন। তারা বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া রাসেলের শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম, কালুর স্ত্রী রুমা আক্তার, তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে অহনা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। কিন্তু রাসেলের দুই ছেলে ইমন (৮) ও জীবনের (১২) এখনো সন্ধান মেলেনি। গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার আসার পর হঠাৎ সেটিতে আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।
লঞ্চে আগুনের ঘটনায় চলে গেলেন দগ্ধ রাসেল, এখনো নিখোঁজ দুই ছেলে
জনপ্রিয় সংবাদ