নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল ফিতরে লঞ্চের টিকিট বিক্রি শেষ। গতকাল সোমবার সদরঘাটে দেখা গেছে কাউন্টারগুলোতে নেই কোনও যাত্রী, নেই লঞ্চের প্রতিনিধি। অন্যদিকে এবার নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কোনওভাবেই ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে লঞ্চ মালিকদের নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দফায় দফায় বৈঠক করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ। যাত্রীদের শনাক্ত এবং কালোবাজারি রোধে টিকিট কাটার সময় এনআইডি কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারও এনআইডি কার্ড না থাকলে জন্ম-নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এবার ঈদের ৫ দিন আগ থেকে ও ৫ দিন পর পর্যন্ত মালবাহী লঞ্চ চলবে না। রাতে বেলায় স্পিড বোট চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ঈদে সবগুলো ফেরি ২৪ ঘণ্টা চলতে পারবে। বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালন) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে লঞ্চের মালিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছেন অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবেন না। তারপরও টার্মিনালে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। কোনও অনিয়ম নজরে এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ