ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

লঞ্চভাড়া বাড়াতে ওয়ার্কিং কমিটি

  • আপডেট সময় : ০১:২৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে লঞ্চের ভাড়া বাড়াতে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠন করা এই কমিটি সোমবারের মধ্যে ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে সুপারিশ করবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নৌযানের যাত্রী ভাড়া সমন্বয়ের লক্ষ্যে সভা’ শেষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সভায় লঞ্চ মালিকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সচিব বলেন, ‘সরকার সম্প্রতি ডিজেল, পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিনের দাম নির্ধারণ করছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার আমাদের একটি চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও ভাড়া পুনর্র্নিধারণ করার ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছেন। অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থা ২ টাকা ৩০ পয়সার ভাড়া বৃদ্ধি করে ৪ টাকা ৬০ পয়সা এবং ২ টাকার ভাড়া বৃদ্ধি করে ৪ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ভাড়া বৃদ্ধি বা পুনর্র্নিধারণের দরকার আছে কিন্তু এ প্রস্তাব আমাদের কাছে একটু বেশিই মনে হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ওয়ার্কিং কমিটি করে দিয়েছি। সেই কমিটি এ সভার পরে বসবে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম ফেরদৌস আলম মালিক পক্ষ, জ্বালানি বিভাগের একজন প্রতিনিধি এ কমিটিতে থাকবেন। বিআইডব্লিউটিএ’র প্রতিনিধি কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন।’ ‘আগে যেভাবে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল এখনও একইভাবে এবারও পুনর্নির্ধারণ করা হবে। সারাদেশের কথা বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সড়ক বিভাগে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা এটা অপটিমাম (সবচেয়ে ভালো) সিদ্ধান্ত হবে। যাতে এটা যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ না হয়, এছাড়া যারা লঞ্চ মালিক আছেন তারাও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’ মোস্তফা কামাল বলে, ‘কমিটি (ভাড়া নির্ধারণে) বিভিন্ন ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করবে, এর মাধ্যমে তারা আজকের মধ্যেই আমাদের কাছে সুপারিশটি দেবেন। আমরা এটা সরকারের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করব। আমরা আশা করছি আগামীকাল বা ১০ তারিখের মধ্যে ভাড়া পুনর্র্নিধারণ করে গেজেট জারি করতে পারব।’
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘ভাড়া আজকে বিকেলের মধ্যেই নির্ধারিত হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করি। কাল তো ছুটি পরের দিন আমরা আপনাদের জানাতে পারব।’ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর ‘জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ে পরিবহন সেক্টরে তার প্রভাব’ নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ধারণা দিয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি কিলোমিটারে বাসভাড়া ২৯ পয়সা ও লঞ্চভাড়া ৪২ পয়সা বাড়তে পারে। ভাড়া নির্ধারণে জ্বালানি বিভাগের প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা সেই গাইডলাইনটাকে মূলভিত্তি হিসেবে ধরে এগোচ্ছি। সেটা থেকে ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে হয়তো পার্থক্য হতে পারে। আমরা চেষ্টা করবো সেই গাইডলাইনটার মধ্যে থাকতে।’ নতুন ভাড়া নির্ধারণের আগে পর্যন্ত আগের ভাড়াই বহাল থাকবে বলেও জানান নৌ-সচিব। তিনি আরও বলেন, ‘লঞ্চ মালিকরা জানিয়েছেন গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পৌঁছাতে যে বাড়তি সময় লাগে। এজন্য তাদের যাত্রী সংকট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমরা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে অনুরোধ করেছি, তারা যাতে যাত্রাটা সহজ করেন, এ বিষয়ে যেন তারা উদ্যোগ নেন। আমাদের পদ্মা সেতু ও হাইওয়ে এটার একটা ব্যাকআপ কানেকশন দরকার আধুনিকায়নের জন্য।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লঞ্চভাড়া বাড়াতে ওয়ার্কিং কমিটি

আপডেট সময় : ০১:২৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে লঞ্চের ভাড়া বাড়াতে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠন করা এই কমিটি সোমবারের মধ্যে ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে সুপারিশ করবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নৌযানের যাত্রী ভাড়া সমন্বয়ের লক্ষ্যে সভা’ শেষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সভায় লঞ্চ মালিকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সচিব বলেন, ‘সরকার সম্প্রতি ডিজেল, পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিনের দাম নির্ধারণ করছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার আমাদের একটি চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও ভাড়া পুনর্র্নিধারণ করার ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছেন। অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থা ২ টাকা ৩০ পয়সার ভাড়া বৃদ্ধি করে ৪ টাকা ৬০ পয়সা এবং ২ টাকার ভাড়া বৃদ্ধি করে ৪ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ভাড়া বৃদ্ধি বা পুনর্র্নিধারণের দরকার আছে কিন্তু এ প্রস্তাব আমাদের কাছে একটু বেশিই মনে হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ওয়ার্কিং কমিটি করে দিয়েছি। সেই কমিটি এ সভার পরে বসবে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম ফেরদৌস আলম মালিক পক্ষ, জ্বালানি বিভাগের একজন প্রতিনিধি এ কমিটিতে থাকবেন। বিআইডব্লিউটিএ’র প্রতিনিধি কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন।’ ‘আগে যেভাবে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল এখনও একইভাবে এবারও পুনর্নির্ধারণ করা হবে। সারাদেশের কথা বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সড়ক বিভাগে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা এটা অপটিমাম (সবচেয়ে ভালো) সিদ্ধান্ত হবে। যাতে এটা যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ না হয়, এছাড়া যারা লঞ্চ মালিক আছেন তারাও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’ মোস্তফা কামাল বলে, ‘কমিটি (ভাড়া নির্ধারণে) বিভিন্ন ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করবে, এর মাধ্যমে তারা আজকের মধ্যেই আমাদের কাছে সুপারিশটি দেবেন। আমরা এটা সরকারের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করব। আমরা আশা করছি আগামীকাল বা ১০ তারিখের মধ্যে ভাড়া পুনর্র্নিধারণ করে গেজেট জারি করতে পারব।’
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘ভাড়া আজকে বিকেলের মধ্যেই নির্ধারিত হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করি। কাল তো ছুটি পরের দিন আমরা আপনাদের জানাতে পারব।’ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর ‘জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ে পরিবহন সেক্টরে তার প্রভাব’ নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ধারণা দিয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি কিলোমিটারে বাসভাড়া ২৯ পয়সা ও লঞ্চভাড়া ৪২ পয়সা বাড়তে পারে। ভাড়া নির্ধারণে জ্বালানি বিভাগের প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা সেই গাইডলাইনটাকে মূলভিত্তি হিসেবে ধরে এগোচ্ছি। সেটা থেকে ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে হয়তো পার্থক্য হতে পারে। আমরা চেষ্টা করবো সেই গাইডলাইনটার মধ্যে থাকতে।’ নতুন ভাড়া নির্ধারণের আগে পর্যন্ত আগের ভাড়াই বহাল থাকবে বলেও জানান নৌ-সচিব। তিনি আরও বলেন, ‘লঞ্চ মালিকরা জানিয়েছেন গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পৌঁছাতে যে বাড়তি সময় লাগে। এজন্য তাদের যাত্রী সংকট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমরা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে অনুরোধ করেছি, তারা যাতে যাত্রাটা সহজ করেন, এ বিষয়ে যেন তারা উদ্যোগ নেন। আমাদের পদ্মা সেতু ও হাইওয়ে এটার একটা ব্যাকআপ কানেকশন দরকার আধুনিকায়নের জন্য।’