ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

লঙ্কান স্পিনে কাঁপছে পাকিস্তান

  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফিরে গেলেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দলকে জেতানো আবদুল্লাহ শফিক। দাঁড়াতে পারলেন না বাবর আজমও। পাকিস্তানের ব্যাটিং যেন হারিয়ে ফেলল দিশা। রমেশ মেন্ডিস, প্রবাথ জয়াসুরিয়াদের স্পিনে নিয়মিত উইকেট হারানো দলকে কিছুক্ষণ টানলেন আঘা সালমান। শেষ বেলায় তিনিও আউট হয়ে গেলেন, তাতে ভীষণ বিপদে সফরকারীরা। গলে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রানে থামিয়ে ব্যাটিং করছে পাকিস্তান। ১৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে সোমবার দিন শেষ করেছে তারা। স্বাগতিকদের চেয়ে এখনও ১৮৭ রানে পিছিয়ে বাবরের দল। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে শফিক ছাড়া দুই অঙ্কে যান ব্যাটিংয়ে নামা বাকিদের সবাই। কিন্তু পঞ্চাশ ছুঁতে পারেন স্রেফ সালমান। ছয়ে নেমে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৬২ রান করেন তিনি। পঞ্চাশ ছোঁয়া কোনো জুটি পায়নি দলটি। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন অফ স্পিনার রমেশ। বাঁহাতি স্পিনে দুটি শিকার ধরেন জয়াসুরিয়া। একটি করে আসিথা ফার্নান্দো ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
৬ উইকেটে ৩১৫ রান নিয়ে খেলতে নামা শ্রীলঙ্কাকে প্রথম সেশনেই গুটিয়ে দেয় পাকিস্তান। পরপর দুই ওভারে নিরোশান ডিকভেলা ও দুনিথ ওয়েল্লালাগেকে ফিরিয়ে দেন নাসিম শাহ। ৪২ রানে দিন শুরু করা ডিকভেলা ২২তম টেস্ট ফিফটি করে থামেন ৫১ রানে। রমেশ মেন্ডিসের ব্যাটে সাড়ে তিনশ পার হয় শ্রীলঙ্কার রান। ১ ছক্কা ও ৪ চারে তিনি করেন ৩৫ রান। ব্যাটিংয়ে নেমেই শফিককে হারানোর ওই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। পেসার আসিথার বল ব্যাটের কানায় লেগে এলোমেলো করে দেয় তার স্টাম্প। আগের ম্যাচে ১৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা পাকিস্তান ওপেনার এবার খুলতে পারেননি রানের খাতা। লাঞ্চ বিরতির পর জয়াসুরিয়ার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন বাবর (১৬)। ধনাঞ্জয়ার ঝুলিয়ে দেওয়া বলে বোল্ড হয়ে যান ইমাম-উল-হক (৩২)। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও দলে ফেরা ফাওয়াদ আলমও খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। দুইজনকেই ২৪ রানে এলবিডব্লিউ করে দেন রমেশ। মোহাম্মদ নওয়াজও এই স্পিনারের শিকার। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান সালমান। ৯৩ বলে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটি। ইয়াসির শাহকে নিয়ে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। জয়াসুরিয়ার বলে স্লিপে ধরা পড়ে শেষ হয় সালমানের লড়াই। এরপরই দিনের খেলার ইতি টেনে দেন আম্পায়াররা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বার্ন ইউনিটে ৩৩ জন ভর্তি, ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন

লঙ্কান স্পিনে কাঁপছে পাকিস্তান

আপডেট সময় : ০১:৪৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফিরে গেলেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দলকে জেতানো আবদুল্লাহ শফিক। দাঁড়াতে পারলেন না বাবর আজমও। পাকিস্তানের ব্যাটিং যেন হারিয়ে ফেলল দিশা। রমেশ মেন্ডিস, প্রবাথ জয়াসুরিয়াদের স্পিনে নিয়মিত উইকেট হারানো দলকে কিছুক্ষণ টানলেন আঘা সালমান। শেষ বেলায় তিনিও আউট হয়ে গেলেন, তাতে ভীষণ বিপদে সফরকারীরা। গলে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রানে থামিয়ে ব্যাটিং করছে পাকিস্তান। ১৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে সোমবার দিন শেষ করেছে তারা। স্বাগতিকদের চেয়ে এখনও ১৮৭ রানে পিছিয়ে বাবরের দল। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে শফিক ছাড়া দুই অঙ্কে যান ব্যাটিংয়ে নামা বাকিদের সবাই। কিন্তু পঞ্চাশ ছুঁতে পারেন স্রেফ সালমান। ছয়ে নেমে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৬২ রান করেন তিনি। পঞ্চাশ ছোঁয়া কোনো জুটি পায়নি দলটি। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন অফ স্পিনার রমেশ। বাঁহাতি স্পিনে দুটি শিকার ধরেন জয়াসুরিয়া। একটি করে আসিথা ফার্নান্দো ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
৬ উইকেটে ৩১৫ রান নিয়ে খেলতে নামা শ্রীলঙ্কাকে প্রথম সেশনেই গুটিয়ে দেয় পাকিস্তান। পরপর দুই ওভারে নিরোশান ডিকভেলা ও দুনিথ ওয়েল্লালাগেকে ফিরিয়ে দেন নাসিম শাহ। ৪২ রানে দিন শুরু করা ডিকভেলা ২২তম টেস্ট ফিফটি করে থামেন ৫১ রানে। রমেশ মেন্ডিসের ব্যাটে সাড়ে তিনশ পার হয় শ্রীলঙ্কার রান। ১ ছক্কা ও ৪ চারে তিনি করেন ৩৫ রান। ব্যাটিংয়ে নেমেই শফিককে হারানোর ওই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। পেসার আসিথার বল ব্যাটের কানায় লেগে এলোমেলো করে দেয় তার স্টাম্প। আগের ম্যাচে ১৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা পাকিস্তান ওপেনার এবার খুলতে পারেননি রানের খাতা। লাঞ্চ বিরতির পর জয়াসুরিয়ার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন বাবর (১৬)। ধনাঞ্জয়ার ঝুলিয়ে দেওয়া বলে বোল্ড হয়ে যান ইমাম-উল-হক (৩২)। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও দলে ফেরা ফাওয়াদ আলমও খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। দুইজনকেই ২৪ রানে এলবিডব্লিউ করে দেন রমেশ। মোহাম্মদ নওয়াজও এই স্পিনারের শিকার। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান সালমান। ৯৩ বলে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটি। ইয়াসির শাহকে নিয়ে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। জয়াসুরিয়ার বলে স্লিপে ধরা পড়ে শেষ হয় সালমানের লড়াই। এরপরই দিনের খেলার ইতি টেনে দেন আম্পায়াররা।