ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লক্ষ্য নির্ধারণ ও সরল জীবনযাপনে বানাবে ধনী

  • আপডেট সময় : ০৫:১২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: সঠিক পথে উপার্জন করে ধনী হওয়া মুখের কথা নয়। এ জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম ও লেগে থাকার মানসিকতা। বিশ্বে যত সফল ও ধনী ব্যক্তি আছেন, তাদের বেশিরভাগই কঠোর পরিশ্রমী এবং কাজকে অবহেলা করে না। তারা আলাদা কোনো গ্রহের নয়; বরং কিছু বৈশিষ্ট্যই তাদের সফলতার শিখরে নিয়ে এসেছে। তাদের সেই বৈশিষ্ট্যগুলো খেয়াল করে দেখলে এবং মেনে চলার চেষ্টা করলে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠা সম্ভব। যে অভ্যাসগুলো মানুষকে ধনী বানাতে সাহায্য করে, তা হলো-
বই পড়ার অভ্যাস: বিশ্বের সব সফল ও ধনী ব্যক্তিই আগ্রহী পাঠক হয়ে থাকেন। তাদের বেশিরভাগই বছরে প্রায় ৫০টি বই পড়েন যা জ্ঞান প্রসারিত করতে, অবগত থাকতে এবং সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করে। তাই বিজ্ঞান, ব্যবসা, কল্পকাহিনী বা ব্যক্তিগত উন্নয়নের মতো বিভিন্ন ধরণের বই পড়ার প্রতিদিনের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

লক্ষ্য নির্ধারণ-কঠোর পরিশ্রম: বিল গেটসের মাইক্রোসফটের জন্য একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ছিল এবং তিনি এর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। মাইক্রোসফটকে আজকের কোম্পানিতে পরিণত করার জন্য তিনি বছরের পর বছর ধরে কঠোর এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। তার কঠোর পরিশ্রম, মনোযোগ এবং স্থিতিস্থাপকতা এমন গুণাবলী যা তার কাছ থেকে শেখা উচিত এবং আমাদের জীবনেও অনুশীলন করা উচিত।
ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ: সফল ও ধনী ব্যক্তিরা তাদের নিজ ব্যর্থতা স্বীকার করেন যা তাদেরকে মূল্যবান করে তোলে এবং একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে। নিজের ব্যর্থতা এবং ভুলকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করলে তা কাজ এবং জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত এবং পরিমার্জিত করতে সাহায্য করতে পারে।
দান করার মানসিকতা: বিশ্বের অধিকাংশ সফল ও ধনী ব্যক্তিই দানশীল হয়ে থাকেন। তারা গভীরভাবে বিশ্বাস করেন যে প্রকৃত সুখ সম্পদ সঞ্চয় করার বিষয়ে নয়, বরং অর্থপূর্ণ এবং সঠিক উদ্যোগের জন্য সম্পদ ব্যবহার করার মধ্যেই এটি লুকিয়ে আছে। ধনী ব্যক্তিরা বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনাও করে থাকেন। সম্পদ সংগ্রহ করাই ধনী হওয়ার উদ্দেশ্য নয়, বরং সমাজের উন্নতির জন্য সেই অর্থ ব্যবহার করা আসল ধনী মানুষের বৈশিষ্ট্য।
সরল জীবনযাপন: প্রয়াত স্টিভ জবস, মার্ক জাকারবার্গ অথবা বিল গেটসের মতো বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে সাধারণ মিল কোথায়? এই সমস্ত বিলিয়নেয়ার প্রযুক্তিবিদরা সাধারণ পোশাকের নিয়ম অনুসরণ করেন। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বিল গেটস প্রায়শই একটি সাধারণ ভি-নেক সোয়েটার এবং একটি কলারযুক্ত শার্ট পরেন। তিনি বিলিয়নেয়ার হওয়া সত্ত্বেও এখনো ১০ ডলারের ঘড়ি পরেন। গেটস আমাদের শেখান, কীভাবে একটি সাধারণ জীবনযাপন করতে হয় এবং জীবনের জন্য সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোতে বিনিয়োগ করতে হয়- যেমন জ্ঞান এবং সমাজকে প্রতিদান দেওয়া।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লক্ষ্য নির্ধারণ ও সরল জীবনযাপনে বানাবে ধনী

আপডেট সময় : ০৫:১২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক: সঠিক পথে উপার্জন করে ধনী হওয়া মুখের কথা নয়। এ জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম ও লেগে থাকার মানসিকতা। বিশ্বে যত সফল ও ধনী ব্যক্তি আছেন, তাদের বেশিরভাগই কঠোর পরিশ্রমী এবং কাজকে অবহেলা করে না। তারা আলাদা কোনো গ্রহের নয়; বরং কিছু বৈশিষ্ট্যই তাদের সফলতার শিখরে নিয়ে এসেছে। তাদের সেই বৈশিষ্ট্যগুলো খেয়াল করে দেখলে এবং মেনে চলার চেষ্টা করলে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠা সম্ভব। যে অভ্যাসগুলো মানুষকে ধনী বানাতে সাহায্য করে, তা হলো-
বই পড়ার অভ্যাস: বিশ্বের সব সফল ও ধনী ব্যক্তিই আগ্রহী পাঠক হয়ে থাকেন। তাদের বেশিরভাগই বছরে প্রায় ৫০টি বই পড়েন যা জ্ঞান প্রসারিত করতে, অবগত থাকতে এবং সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করে। তাই বিজ্ঞান, ব্যবসা, কল্পকাহিনী বা ব্যক্তিগত উন্নয়নের মতো বিভিন্ন ধরণের বই পড়ার প্রতিদিনের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

লক্ষ্য নির্ধারণ-কঠোর পরিশ্রম: বিল গেটসের মাইক্রোসফটের জন্য একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ছিল এবং তিনি এর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। মাইক্রোসফটকে আজকের কোম্পানিতে পরিণত করার জন্য তিনি বছরের পর বছর ধরে কঠোর এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। তার কঠোর পরিশ্রম, মনোযোগ এবং স্থিতিস্থাপকতা এমন গুণাবলী যা তার কাছ থেকে শেখা উচিত এবং আমাদের জীবনেও অনুশীলন করা উচিত।
ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ: সফল ও ধনী ব্যক্তিরা তাদের নিজ ব্যর্থতা স্বীকার করেন যা তাদেরকে মূল্যবান করে তোলে এবং একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে। নিজের ব্যর্থতা এবং ভুলকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করলে তা কাজ এবং জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত এবং পরিমার্জিত করতে সাহায্য করতে পারে।
দান করার মানসিকতা: বিশ্বের অধিকাংশ সফল ও ধনী ব্যক্তিই দানশীল হয়ে থাকেন। তারা গভীরভাবে বিশ্বাস করেন যে প্রকৃত সুখ সম্পদ সঞ্চয় করার বিষয়ে নয়, বরং অর্থপূর্ণ এবং সঠিক উদ্যোগের জন্য সম্পদ ব্যবহার করার মধ্যেই এটি লুকিয়ে আছে। ধনী ব্যক্তিরা বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনাও করে থাকেন। সম্পদ সংগ্রহ করাই ধনী হওয়ার উদ্দেশ্য নয়, বরং সমাজের উন্নতির জন্য সেই অর্থ ব্যবহার করা আসল ধনী মানুষের বৈশিষ্ট্য।
সরল জীবনযাপন: প্রয়াত স্টিভ জবস, মার্ক জাকারবার্গ অথবা বিল গেটসের মতো বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে সাধারণ মিল কোথায়? এই সমস্ত বিলিয়নেয়ার প্রযুক্তিবিদরা সাধারণ পোশাকের নিয়ম অনুসরণ করেন। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বিল গেটস প্রায়শই একটি সাধারণ ভি-নেক সোয়েটার এবং একটি কলারযুক্ত শার্ট পরেন। তিনি বিলিয়নেয়ার হওয়া সত্ত্বেও এখনো ১০ ডলারের ঘড়ি পরেন। গেটস আমাদের শেখান, কীভাবে একটি সাধারণ জীবনযাপন করতে হয় এবং জীবনের জন্য সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোতে বিনিয়োগ করতে হয়- যেমন জ্ঞান এবং সমাজকে প্রতিদান দেওয়া।