ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

লকডাউন : সাক্ষাৎকার

  • আপডেট সময় : ১০:২৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১
  • ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্র নিউইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ওসমান গণি মাসখানেক আগেই দেশে এসেছেন। বাংলাদেশের লকডাউন নিয়ে আজ তাঁর সাথে কথা হয়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ড. নিজামউদ্দিন জামি।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের লকডাউন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন-
উত্তরঃ “বাংলাদেশের মানুষ লকডাউন মানছে না। এতে দেশের অর্থনীতি যেমন দুর্বল হচ্ছে, তেমনি করোনার ভয়াবহতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর মিছিল চলছে, বাংলাদেশের মানুষ যেন কিছুই জানে না, কিছুই বুঝে না! করোনার চেয়েও ভয়াবহ হলো মানুষের নির্বিকার ভাব! আধুনিক যুগেও মানুষ এতোটা অবৈজ্ঞানিক থাকতে পারে, তা দেশে না এলে বুঝতেই পারতাম না। মাস্ক পরে না, দূরত্ব বজায় রাখে না। সবার মধ্যে কী এক অস্থিরতা দেখতে পাচ্ছি।”
প্রশ্নঃ তাহলে উপায়?
উত্তরঃ “উপায় অনেক আছে। কিন্তু বাস্তবায়ন করার লোক নেই। ৫-১০% মানুষ ছাড়া বাকিরা স্বাস্থ্য সচেতন নয়। প্রশাসনও ঢিমেতালে চলছে। তাতে দেশ হিসেবে আমরা অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ছি, এভাবে চলতে থাকলে আমাদেরকেও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। যা সামাল দেয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। সুতরাং সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি।”
প্রশ্নঃ সরকার কোন ধরনের উদ্যোগ নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তরঃ “প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রথমে বসতে পারেন। সে বৈঠকে “করোনার ভয়াবহতা ও করণীয়” সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের জন্যে আরেকটি বৈঠকে বসবেন।
সে বৈঠকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, মিডিয়া, ব্যবসায়ী সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, স্বরাষ্ট্র, তথ্য, বাণিজ্য, খাদ্য, যোগাযোগ, নৌপরিবহন, বিমান, রেলপথ, সমাজকল্যাণসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে করোনা মোকাবিলায় লকডাউন কার্যকর, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।”
প্রশ্নঃ কোন ধরনের উদ্যোগ?
উত্তরঃ “যেমন সরকার ১৫-২০ দিন আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। ৭-১০ দিন সময় দিতে হবে জনগণকে। ২১ দিন টানা লকডাউন চলবে। এরই মধ্যে জনগণ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে। চাল-ডাল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্টক করবে। যাকে বলে “স্বেচ্ছায় ২১ দিনের কারাবাস!” কেউ নিয়ম ভাঙবে না। আইন অমান্যকারীকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তাহলে তিন সপ্তাহে দেশ থেকে করোনা পালাবে।”
প্রশ্নঃ যারা “দিনে এনে দিনে খায়”- তাদের জন্য কী ব্যবস্থা?
উত্তরঃ “স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষের কথা সরকারকে যেমন ভাবতে হবে, তেমনি সরকারদলীয় শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, সরকার থেকে সুবিধাভোগী ও সমাজের বিত্তবান মানুষরা করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবেলায় যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, ঠিক সেইভাবে এগিয়ে আসবেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।
সরকারের ত্রাণতৎপরতা পরিচালনা করতে সঠিক ও জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকার, দল ও বিত্তবানের সার্বিক সহায়তায় স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
ওএমএস কার্যক্রম এবং টিসিবি সক্ষমতা দ্বিগুণ-চারগুণ বৃদ্ধি করে গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত এর সুবিধা বিস্তৃত করতে হবে।
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় অথবা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে যারা দান করবেন, তাদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর প্রধানমন্ত্রী বরাবর পৌঁছাতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও অন্যান প্রতিনিধিত্বশীল জায়গায় লোক নিয়োগে এসব দাতা ও দানবীরদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যায়।
এতে করে পরীক্ষিত মানুষের যেমন ক্ষমতায়ন হবে, তেমনি করোনা মোকাবিলাও সহজ হবে।”
প্রশ্নঃ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়, অন্তত আমাদের মতো দেশে-
উত্তরঃ “দুর্নীতি সবাই করে না। যারা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবে তারা দুর্নীতি তেমন একটা করে না। যারা বড় হন, তাঁরা সততার সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যান লক্ষ্যে। তারাই বড় হন। আর যারা দুর্নীতি করে বা করবে, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘোষণাই যথেষ্ট!
তাছাড়া প্রচলিত আইনতো আছেই।”
প্রশ্নঃ জীবন আর জীবিকা কি সমার্থক হতে পারে?
উত্তরঃ মোটেও নয়। জীবনের মহিমা জীবিকায় থাকে না। একশতাংশও নয়। মানুষ জীবনের সাথে জীবিকার তুলনা করার কয়কটি কারণ আছে। প্রথমত যারা করছে, তারা জীবনই বুঝে না। দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে- প্রশাসনিক দুর্বলতা। যার কারণে আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা কমে যাচ্ছে বা গেছে।
প্রশ্নঃ আপনার কি মনে হয়, সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা বা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে কিছুটা অদূরদর্শিতা রয়েছে?
উত্তরঃ তাতো আছেই। গ্রামের মানুষের চিৎকার প্রায় সময় সরকার পর্যন্ত পৌঁছে না, অনেকেই তা পৌঁছায় না। এখন দেশ চলছে রাজধানীর সিদ্ধান্তে। এতে যদি জনগণকে সম্পৃক্ত করা যেত, তাহলে সুফল পেতো সরকার। এ জন্য রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা থাকা উচিত।

ধন্যবাদ।

পরিচিতিঃ ওসমান গণি সপরিবারে আমেরিকায় থাকেন। বর্তমান সভাপতি, নিউইংল্যান্ড (৬টি রাজ্য) আওয়ামী লীগ। সাবেক সহসভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা। গ্রামের বাড়িঃ আজম ক্লাব, দৌলতপুর, ফটিকছড়ি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লকডাউন : সাক্ষাৎকার

আপডেট সময় : ১০:২৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১

যুক্তরাষ্ট্র নিউইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ওসমান গণি মাসখানেক আগেই দেশে এসেছেন। বাংলাদেশের লকডাউন নিয়ে আজ তাঁর সাথে কথা হয়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ড. নিজামউদ্দিন জামি।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের লকডাউন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন-
উত্তরঃ “বাংলাদেশের মানুষ লকডাউন মানছে না। এতে দেশের অর্থনীতি যেমন দুর্বল হচ্ছে, তেমনি করোনার ভয়াবহতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর মিছিল চলছে, বাংলাদেশের মানুষ যেন কিছুই জানে না, কিছুই বুঝে না! করোনার চেয়েও ভয়াবহ হলো মানুষের নির্বিকার ভাব! আধুনিক যুগেও মানুষ এতোটা অবৈজ্ঞানিক থাকতে পারে, তা দেশে না এলে বুঝতেই পারতাম না। মাস্ক পরে না, দূরত্ব বজায় রাখে না। সবার মধ্যে কী এক অস্থিরতা দেখতে পাচ্ছি।”
প্রশ্নঃ তাহলে উপায়?
উত্তরঃ “উপায় অনেক আছে। কিন্তু বাস্তবায়ন করার লোক নেই। ৫-১০% মানুষ ছাড়া বাকিরা স্বাস্থ্য সচেতন নয়। প্রশাসনও ঢিমেতালে চলছে। তাতে দেশ হিসেবে আমরা অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ছি, এভাবে চলতে থাকলে আমাদেরকেও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। যা সামাল দেয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। সুতরাং সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি।”
প্রশ্নঃ সরকার কোন ধরনের উদ্যোগ নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তরঃ “প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রথমে বসতে পারেন। সে বৈঠকে “করোনার ভয়াবহতা ও করণীয়” সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের জন্যে আরেকটি বৈঠকে বসবেন।
সে বৈঠকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, মিডিয়া, ব্যবসায়ী সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, স্বরাষ্ট্র, তথ্য, বাণিজ্য, খাদ্য, যোগাযোগ, নৌপরিবহন, বিমান, রেলপথ, সমাজকল্যাণসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে করোনা মোকাবিলায় লকডাউন কার্যকর, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।”
প্রশ্নঃ কোন ধরনের উদ্যোগ?
উত্তরঃ “যেমন সরকার ১৫-২০ দিন আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। ৭-১০ দিন সময় দিতে হবে জনগণকে। ২১ দিন টানা লকডাউন চলবে। এরই মধ্যে জনগণ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে। চাল-ডাল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্টক করবে। যাকে বলে “স্বেচ্ছায় ২১ দিনের কারাবাস!” কেউ নিয়ম ভাঙবে না। আইন অমান্যকারীকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তাহলে তিন সপ্তাহে দেশ থেকে করোনা পালাবে।”
প্রশ্নঃ যারা “দিনে এনে দিনে খায়”- তাদের জন্য কী ব্যবস্থা?
উত্তরঃ “স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষের কথা সরকারকে যেমন ভাবতে হবে, তেমনি সরকারদলীয় শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, সরকার থেকে সুবিধাভোগী ও সমাজের বিত্তবান মানুষরা করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবেলায় যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, ঠিক সেইভাবে এগিয়ে আসবেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।
সরকারের ত্রাণতৎপরতা পরিচালনা করতে সঠিক ও জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকার, দল ও বিত্তবানের সার্বিক সহায়তায় স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
ওএমএস কার্যক্রম এবং টিসিবি সক্ষমতা দ্বিগুণ-চারগুণ বৃদ্ধি করে গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত এর সুবিধা বিস্তৃত করতে হবে।
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় অথবা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে যারা দান করবেন, তাদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর প্রধানমন্ত্রী বরাবর পৌঁছাতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও অন্যান প্রতিনিধিত্বশীল জায়গায় লোক নিয়োগে এসব দাতা ও দানবীরদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যায়।
এতে করে পরীক্ষিত মানুষের যেমন ক্ষমতায়ন হবে, তেমনি করোনা মোকাবিলাও সহজ হবে।”
প্রশ্নঃ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়, অন্তত আমাদের মতো দেশে-
উত্তরঃ “দুর্নীতি সবাই করে না। যারা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবে তারা দুর্নীতি তেমন একটা করে না। যারা বড় হন, তাঁরা সততার সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যান লক্ষ্যে। তারাই বড় হন। আর যারা দুর্নীতি করে বা করবে, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘোষণাই যথেষ্ট!
তাছাড়া প্রচলিত আইনতো আছেই।”
প্রশ্নঃ জীবন আর জীবিকা কি সমার্থক হতে পারে?
উত্তরঃ মোটেও নয়। জীবনের মহিমা জীবিকায় থাকে না। একশতাংশও নয়। মানুষ জীবনের সাথে জীবিকার তুলনা করার কয়কটি কারণ আছে। প্রথমত যারা করছে, তারা জীবনই বুঝে না। দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে- প্রশাসনিক দুর্বলতা। যার কারণে আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা কমে যাচ্ছে বা গেছে।
প্রশ্নঃ আপনার কি মনে হয়, সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা বা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে কিছুটা অদূরদর্শিতা রয়েছে?
উত্তরঃ তাতো আছেই। গ্রামের মানুষের চিৎকার প্রায় সময় সরকার পর্যন্ত পৌঁছে না, অনেকেই তা পৌঁছায় না। এখন দেশ চলছে রাজধানীর সিদ্ধান্তে। এতে যদি জনগণকে সম্পৃক্ত করা যেত, তাহলে সুফল পেতো সরকার। এ জন্য রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা থাকা উচিত।

ধন্যবাদ।

পরিচিতিঃ ওসমান গণি সপরিবারে আমেরিকায় থাকেন। বর্তমান সভাপতি, নিউইংল্যান্ড (৬টি রাজ্য) আওয়ামী লীগ। সাবেক সহসভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা। গ্রামের বাড়িঃ আজম ক্লাব, দৌলতপুর, ফটিকছড়ি।