ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

লকডাউন বাড়ল ১৬ মে পর্যন্ত, ঈদে বন্ধ দূরপাল্লার বাহন

  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। লকডাউনের মধ্যে দূরপাল্লার পরিবহন, ট্রেন ও লঞ্চ আগের মতোই বন্ধ থাকবে। তবে ৬ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার এই খবর সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ‘আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, লকডাউন যেটা আছে, ঈদ তো ১৪ তারিখ , ১৬ মে পর্যন্ত এভাবে কনটিনিউ করবে। আর গণপরিবহন জেলার ভেতর চলাচল করতে পারবে, ৬ মে থেকে চলবে। এক জেলার বাস আরেক জেলায় চলবে না। লঞ্চ ও ট্রেন বন্ধ থাকবে।’
তাতে ঈদে বাড়ি ফেরায় ভোগান্তি বাড়বে কিনা- এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ঈদে সরকারি ছুটি তো তিন দিন, এর মধ্যে দুই দিন পড়ছে শুক্র ও শনিবার। তিন দিনের বাইরে কোনো ছুটি দেওয়া হবে না
মানুষকে মাস্ক পরাতে সরকার ‘কঠোর অ্যাকশনে’ যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজ থেকে পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশন এবং প্রশাসন দেশের প্রত্যেকটি মার্কেটে সুপারভাইজ করবে।
‘যদি কোনো মার্কেটে বেশি লোক হয়, তা কন্ট্রোল করা যাবে না, তবে মাস্ক ছাড়া যদি বেশি লোকজন ঘোরাফেরা করে, তাহলে প্রয়োজনে সেসব মার্কেট বন্ধ করে দেব। দোকান মালিক সমিতি এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন নামে পরিচিতি পায়।
এই বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস ও গণপরিবহন আগের মতই বন্ধ আছে। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালাতে পারবে।
শুরুতে লকডাউনে শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও ‘জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে’ গত ২৫ এপ্রিল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সড়ক, নৌ ও রেলপথে দূরপাল্লার যাত্রী বহন বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ইতোমধ্যে‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচিত দেশগুলো বাদে অন্য সব গন্তব্যে ‘কঠোর শর্তসাপেক্ষে’ নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে। লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকে লেনদেন করা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সতর্কতার অংশ হিসেবে সীমিত জনবল দিয়ে বিভিন্ন শাখা চালু রেখেছে ব্যাংকগুলো।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লকডাউন বাড়ল ১৬ মে পর্যন্ত, ঈদে বন্ধ দূরপাল্লার বাহন

আপডেট সময় : ০৩:১৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১


নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। লকডাউনের মধ্যে দূরপাল্লার পরিবহন, ট্রেন ও লঞ্চ আগের মতোই বন্ধ থাকবে। তবে ৬ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার এই খবর সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ‘আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, লকডাউন যেটা আছে, ঈদ তো ১৪ তারিখ , ১৬ মে পর্যন্ত এভাবে কনটিনিউ করবে। আর গণপরিবহন জেলার ভেতর চলাচল করতে পারবে, ৬ মে থেকে চলবে। এক জেলার বাস আরেক জেলায় চলবে না। লঞ্চ ও ট্রেন বন্ধ থাকবে।’
তাতে ঈদে বাড়ি ফেরায় ভোগান্তি বাড়বে কিনা- এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ঈদে সরকারি ছুটি তো তিন দিন, এর মধ্যে দুই দিন পড়ছে শুক্র ও শনিবার। তিন দিনের বাইরে কোনো ছুটি দেওয়া হবে না
মানুষকে মাস্ক পরাতে সরকার ‘কঠোর অ্যাকশনে’ যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজ থেকে পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশন এবং প্রশাসন দেশের প্রত্যেকটি মার্কেটে সুপারভাইজ করবে।
‘যদি কোনো মার্কেটে বেশি লোক হয়, তা কন্ট্রোল করা যাবে না, তবে মাস্ক ছাড়া যদি বেশি লোকজন ঘোরাফেরা করে, তাহলে প্রয়োজনে সেসব মার্কেট বন্ধ করে দেব। দোকান মালিক সমিতি এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন নামে পরিচিতি পায়।
এই বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস ও গণপরিবহন আগের মতই বন্ধ আছে। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালাতে পারবে।
শুরুতে লকডাউনে শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও ‘জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে’ গত ২৫ এপ্রিল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সড়ক, নৌ ও রেলপথে দূরপাল্লার যাত্রী বহন বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ইতোমধ্যে‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচিত দেশগুলো বাদে অন্য সব গন্তব্যে ‘কঠোর শর্তসাপেক্ষে’ নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে। লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকে লেনদেন করা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সতর্কতার অংশ হিসেবে সীমিত জনবল দিয়ে বিভিন্ন শাখা চালু রেখেছে ব্যাংকগুলো।