ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

লকডাউনে যেভাবে টিকা কার্যক্রম চলবে

  • আপডেট সময় : ০২:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ও মৃত্যুরোধে আজ ১ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে সাতদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। একইদিন থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে চীনের সিনোফার্ম ও রাজধানী ঢাকার সাতটি হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের টিকাদান কার্যক্রমও শুরু হবে।
এই কঠোর লকডাউনের সময়ও টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে। করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. শামসুল হক বুধবার (৩০ জুন) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে বক্তব্যকালে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘যারা টিকা নিতে আসবেন তারা রেজিস্ট্রেশন কার্ডটি সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। পথে এটি দেখালেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আর কিছু করবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা টিকার জন্য আগে রেজিস্ট্রেশন করে আজ বা আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে টিকা নিতে যাওয়ার মেসেজ পেয়েছেন তারা অবশ্যই মেসেজটি সঙ্গে নিয়ে যাবেন।’
ঢাকার যে ৭ কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু : সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘যেহেতু এই টিকা পরিবহন করা কঠিন, তাই আমরা কেবলমাত্র রাজধানী ঢাকায় সাতটি কেন্দ্র নির্ধারণ করেছি। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে— ঢাকা মেডিক্যাল কক্যা কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।’

শামসুল হক বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিক যারা ফাইরাজের টিকা ছাড়া বিদেশে যেতে পারছেন না, এই মুহূর্তে শুধু তারা এই কেন্দ্রগুলো থেকে টিকা নিতে পারবেন। এজন্য জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো থেকে আমাদের তালিকা দেওয়া হবে। এসব কেন্দ্রে অগ্রাধিকার তালিকায় যারা আছেন, তাদেরকে সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের জন্য অন্য কেন্দ্রে যেতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজার বায়োএনটেকের এক লাখ ৬০২ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছানোর পর গত ২১ জুন এই টিকা দেওয়া শুরু হয়। তবে যারা এই টিকা নিয়েছেন, তাদেরকে সাত দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছিল, ফাইজারের এই বিশেষ টিকা কেবল ঢাকাতেই সংরক্ষণ করা হবে। মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটা রাখতে হয়। ডা. শামসুল হক তখন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, ‘এই টিকার বড় চ্যালেঞ্জ সংরক্ষণ ব্যবস্থা। বাংলাদেশে যা অপ্রতুল। পরিবহনের জন্যও দরকার হবে থার্মাল শিপিং কনটেইনার বা আল্ট্রা ফ্রিজার ভ্যান। এ কারণেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফাইজিারের টিকা সরবরাহ করা কঠিন হবে।’
জেলা পর্যায়ে সিনোফার্মের টিকা মিলবে আজ থেকে : সারাদেশে জেলা পর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সব জেলা হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে এই টিকা দেওয়া হবে বলে বুধবার অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে জানানো হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লকডাউনে যেভাবে টিকা কার্যক্রম চলবে

আপডেট সময় : ০২:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ও মৃত্যুরোধে আজ ১ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে সাতদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। একইদিন থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে চীনের সিনোফার্ম ও রাজধানী ঢাকার সাতটি হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের টিকাদান কার্যক্রমও শুরু হবে।
এই কঠোর লকডাউনের সময়ও টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে। করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. শামসুল হক বুধবার (৩০ জুন) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে বক্তব্যকালে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘যারা টিকা নিতে আসবেন তারা রেজিস্ট্রেশন কার্ডটি সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। পথে এটি দেখালেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আর কিছু করবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা টিকার জন্য আগে রেজিস্ট্রেশন করে আজ বা আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে টিকা নিতে যাওয়ার মেসেজ পেয়েছেন তারা অবশ্যই মেসেজটি সঙ্গে নিয়ে যাবেন।’
ঢাকার যে ৭ কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু : সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘যেহেতু এই টিকা পরিবহন করা কঠিন, তাই আমরা কেবলমাত্র রাজধানী ঢাকায় সাতটি কেন্দ্র নির্ধারণ করেছি। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে— ঢাকা মেডিক্যাল কক্যা কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।’

শামসুল হক বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিক যারা ফাইরাজের টিকা ছাড়া বিদেশে যেতে পারছেন না, এই মুহূর্তে শুধু তারা এই কেন্দ্রগুলো থেকে টিকা নিতে পারবেন। এজন্য জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো থেকে আমাদের তালিকা দেওয়া হবে। এসব কেন্দ্রে অগ্রাধিকার তালিকায় যারা আছেন, তাদেরকে সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের জন্য অন্য কেন্দ্রে যেতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজার বায়োএনটেকের এক লাখ ৬০২ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছানোর পর গত ২১ জুন এই টিকা দেওয়া শুরু হয়। তবে যারা এই টিকা নিয়েছেন, তাদেরকে সাত দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছিল, ফাইজারের এই বিশেষ টিকা কেবল ঢাকাতেই সংরক্ষণ করা হবে। মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটা রাখতে হয়। ডা. শামসুল হক তখন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, ‘এই টিকার বড় চ্যালেঞ্জ সংরক্ষণ ব্যবস্থা। বাংলাদেশে যা অপ্রতুল। পরিবহনের জন্যও দরকার হবে থার্মাল শিপিং কনটেইনার বা আল্ট্রা ফ্রিজার ভ্যান। এ কারণেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফাইজিারের টিকা সরবরাহ করা কঠিন হবে।’
জেলা পর্যায়ে সিনোফার্মের টিকা মিলবে আজ থেকে : সারাদেশে জেলা পর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সব জেলা হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে এই টিকা দেওয়া হবে বলে বুধবার অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে জানানো হয়।