ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

র‌্যাব কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী: রিজভী

  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে একটি গণতন্ত্র সম্মেলন হয়ে গেল, অথচ বাংলাদেশকে ডাকা হলো না। এরপর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাত কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লেখাপড়ার জন্য তাঁদের সন্তানদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মার্কিন অর্থ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এসব কর্মকর্তার অর্থ থাকলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত হবে। এর বাইরে থাকলেও সেগুলো বাজেয়াপ্ত হবে। এর জন্য দায়ী কে? এর জন্য দায়ী আপনি (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা জানান রিজভী। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসা, তাঁর স্থায়ী মুক্তি ও জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নামে রুচিহীন বক্তব্যের প্রতিবাদে এ মানববন্ধন হয়।
রিজভী আরও বলেন, ‘কেন তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নিষিদ্ধ করেছে? তারা তো চোখ বন্ধ করে নেই। বাংলাদেশে কি হচ্ছে তারা সবাই দেখছে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ অনেকে গুম হয়েছেন। তারা কি জানে না, কেন গুম হয়েছে, কে গুম করেছে? আপনারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) মনে করেছেন, চোখ বন্ধ করলে প্রলয় বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু চোখ বন্ধ করলে প্রলয় বন্ধ হয় না, সেটা এখন শুরু হয়েছে।’
বিএনপির প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষা নেওয়া উচিত—তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন মন্তব্যের জবাবে বিএনপির রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে শিক্ষা আপনাদের দিচ্ছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা তার উল্টো শিক্ষা নেবে। তাহলেই তাঁরা হবে মানবিক ও গণতান্ত্রিক এবং জনগণ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে থাকবে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা নিলে আমাদের বন্দুকযুদ্ধ দেওয়া শিখতে হবে, সন্ত্রাসী হতে হবে, কী করে লগি-বইঠা দিয়ে লাশের ওপর নাচতে হয় সেটা শিখতে হবে। খুন, গুম করা শিখতে হবে।’
খালেদা জিয়াকে কোনো আইনের মাধ্যমে আটকানো যাবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা রিজভী জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য অনেকে দাবি তুলেছেন। এ জন্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টসহ বিদেশের অনেক আইনপ্রণেতা আবেদন করে চিঠি দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার এমপি পার্লামেন্টে এ নিয়ে কথা বলেছেন। তাতেও প্রধানমন্ত্রীর কানে যায় না। তিনি ৪০১ ধারা দেখান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানান, সরকার আইনের নামে প্রতিহিংসা বাস্তবায়নে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যেতে দিচ্ছে না। সরকারের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়া। তাঁর জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতাকে ভয় পায় সরকার— যেটা তারা অনেক চেষ্টার পরও অর্জন করতে পারেনি। ড্যাবের সভাপতি হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও অংশ নেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

র‌্যাব কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী: রিজভী

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে একটি গণতন্ত্র সম্মেলন হয়ে গেল, অথচ বাংলাদেশকে ডাকা হলো না। এরপর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাত কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লেখাপড়ার জন্য তাঁদের সন্তানদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মার্কিন অর্থ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এসব কর্মকর্তার অর্থ থাকলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত হবে। এর বাইরে থাকলেও সেগুলো বাজেয়াপ্ত হবে। এর জন্য দায়ী কে? এর জন্য দায়ী আপনি (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা জানান রিজভী। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসা, তাঁর স্থায়ী মুক্তি ও জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নামে রুচিহীন বক্তব্যের প্রতিবাদে এ মানববন্ধন হয়।
রিজভী আরও বলেন, ‘কেন তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নিষিদ্ধ করেছে? তারা তো চোখ বন্ধ করে নেই। বাংলাদেশে কি হচ্ছে তারা সবাই দেখছে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ অনেকে গুম হয়েছেন। তারা কি জানে না, কেন গুম হয়েছে, কে গুম করেছে? আপনারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) মনে করেছেন, চোখ বন্ধ করলে প্রলয় বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু চোখ বন্ধ করলে প্রলয় বন্ধ হয় না, সেটা এখন শুরু হয়েছে।’
বিএনপির প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষা নেওয়া উচিত—তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন মন্তব্যের জবাবে বিএনপির রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে শিক্ষা আপনাদের দিচ্ছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা তার উল্টো শিক্ষা নেবে। তাহলেই তাঁরা হবে মানবিক ও গণতান্ত্রিক এবং জনগণ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে থাকবে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা নিলে আমাদের বন্দুকযুদ্ধ দেওয়া শিখতে হবে, সন্ত্রাসী হতে হবে, কী করে লগি-বইঠা দিয়ে লাশের ওপর নাচতে হয় সেটা শিখতে হবে। খুন, গুম করা শিখতে হবে।’
খালেদা জিয়াকে কোনো আইনের মাধ্যমে আটকানো যাবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা রিজভী জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য অনেকে দাবি তুলেছেন। এ জন্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টসহ বিদেশের অনেক আইনপ্রণেতা আবেদন করে চিঠি দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার এমপি পার্লামেন্টে এ নিয়ে কথা বলেছেন। তাতেও প্রধানমন্ত্রীর কানে যায় না। তিনি ৪০১ ধারা দেখান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানান, সরকার আইনের নামে প্রতিহিংসা বাস্তবায়নে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যেতে দিচ্ছে না। সরকারের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়া। তাঁর জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতাকে ভয় পায় সরকার— যেটা তারা অনেক চেষ্টার পরও অর্জন করতে পারেনি। ড্যাবের সভাপতি হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও অংশ নেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।