লাইফস্টাইল ডেস্ক: কখনো কোনো ফ্যাশন শোতে গিয়েছেন কিংবা টেলিভিশন বা ফোনের পর্দায় দেখেছেন সুন্দর নারীর আত্মবিশ্বাস নিয়ে হেঁটে চলার ছবি কিংবা ভিডিও? খেয়াল করে দেখবেন, র্যাম্পে হাঁটার সময় লাস্যময়ী নারীরা কখনো হাসেন না। মুখে কেমন একটা গম্ভীরভাব নিয়ে থাকেন।
আপনার মনে কি কখনো প্রশ্ন জেগেছে, কেন হাসেন না তারা? মডেলদের এমন কাঠখোট্টা অভিব্যক্তি প্রকাশের পেছনে দারুণ ব্যাখ্যা রয়েছে। তা বেশির ভাগ মানুষেরই অজানা। হলোÑ
১৯ শতকের কথা। একই সঙ্গে গম্ভীর মুখ, রাগান্বিত চেহারাকে উচ্চ মর্যাদা ও সম্পদশালীর ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হতো। ধারণা করা হয়, তখন থেকে আজ পর্যন্ত এই কারণেই এমন অভিব্যক্তি অনুশীলন করা হয়।
আগের দিনে হাসিখুশি মুখশ্রী মানে বোঝা হতো সে অন্যপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী। কিন্তু র্যাম্পে হাঁটার সময় মডেলদের সবার চেয়ে আলাদা করে তোলার জন্য গম্ভীর মুখকেই মান্যতা দেওয়া হয়।
হাসা এক ধরনের আবেগের বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে মডেলদের মূল কাজ র্যাম্পে হাঁটা। তারা যে সেই কাজের প্রতি পুরোপুরি সিরিয়াস, যেখানে আবেগের কোনো স্থান নেই— এই বিষয়টি বোঝাতেই এই প্রচেষ্টা বলে মনে করা হয়। তবে কখনো কখনো মডেলরা স্মিত হেসে থাকেন।
মডেলরা না হাসার আরেকটি সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। তারা হাসলে সুন্দর অভিব্যক্তি বা মুখশ্রীর দিকে সবার দৃষ্টি চলে যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পোশাক, গয়না বা অনুষঙ্গ ডিজাইনারদের জন্যই তারা হাঁটেন। তাই পোশাক বা গয়নার দিকেই যেন সবার দৃষ্টি থাকে, তাই মুখের অভিব্যক্তি গম্ভীর করা হয়।
কেবল র্যাম্প নয়, পোশাকের জন্য ফটোসেশন করার ক্ষেত্রেও একই কারণে বেশিরভাগ সময় মডেলদের হাসতে দেওয়া হয় না। সূত্র: ফ্যাশন ম্যাগাজিন।
র্যাম্পে হাঁটার সময় হাসার চেয়ে গম্ভীর মুখই মান্যতা
জনপ্রিয় সংবাদ