ক্রীড়া ডেস্ক: ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার ফিটনেস নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি তার নেতৃত্ব নিয়েও বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু এবার বিষয়টি রীতিমতো রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর খবরে বলা হয়েছে, ভারতীয় ন্যাশনাল কংগ্রেসের মুখপাত্র ড. শামা মোহামেদ রোহিত শর্মার ফিটনেস ও অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। গতকাল রোববার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রোহিতের ১৭ বলে ১৫ রান করে আউট হওয়ার পর শামা এক্স-এ লিখেছিলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে রোহিত যথেষ্ট মোটা!
তার ওজন কমানো উচিত! এবং অবশ্যই (রোহিত) ভারতের সবচেয়ে সাদামাটা অধিনায়ক।’ শামা সেখানেই থামেননি। রোহিতের নেতৃত্বের সমালোচনায় তিনি লিখেছেন, ‘তার পূর্বসূরিদের তুলনায় তার মধ্যে বিশ্বমানের কী আছে? সে মাঝারি মানের অধিনায়ক এবং খেলোয়াড়, যে ভাগ্যের জোরে ভারতের অধিনায়ক হয়েছে।’
শামার এই পোস্টে ভারতে রীতিমতো ঝড় বয়ে যায়। কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এটিকে হাতিয়ার বানিয়ে পাল্টা সমালোচনা শুরু করে। বিশেষ করে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষ থেকে শামা ও কংগ্রেসের দিকে একের পর এক সমালোচনার তীর ছুটে আসে। বিজেপি নেতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, ‘যে দলটি (কংগ্রেস) কিনা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ৯০টি নির্বাচনে হেরেছে, তারা কিনা বলে রোহিত শর্মার অধিনায়কত্ব সাদামাটা! দিল্লিতে ৬ শূন্য এবং ৯০টি নির্বাচনে হারা বিশাল ব্যাপার, কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা নয়! অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের রেকর্ড কিন্তু অসাধারণ!’ এদিকে তীব্র সমালোচনার মুখে শামা পোস্ট সরিয়ে ফেলেন। এরপর তার দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও শামার মন্তব্যের বিরোধিতা করা হয়। দলটির শীর্ষ নেতা পভন খেরা এক্স-এ লিখেছেন, ‘কংগ্রেসের মুখপাত্র শামা মোহামেদ দেশের ক্রিকেটের একজন কিংবদন্তিকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা কোনোভাবেই দলের অবস্থান নয়। তাকে সেই পোস্ট সরিয়ে ফেলতে এবং ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কংগ্রেস ক্রীড়া আইকনদের অবদানকে সর্বোচ্চ সম্মানের চোখে দেখে এবং তাদের অর্জনকে খাটো করার মতো কোনো মন্তব্যকে প্রশ্রয় দেয় না।’ এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রোহিতের নেতৃত্বেই সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত। আগামীকাল শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। তবে ব্যাটার রোহিত সুবিধা করতে পারছেন না। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৬ বলে ৪১ রান করলেও পরের দুই ম্যাচে করেছেন যথাক্রমে ২০ ও ১৫ রান।