ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

রোহিঙ্গা বিরোধী কন্টেন্টের নথি উন্মুক্ত করার নির্দেশ ফেইসবুককে

  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : ফেইসবুককে রোহিঙ্গা বিরোধী সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অ্যাকাউন্টের নথি উন্মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন এক মার্কিন বিচারক। রোহিঙ্গা বিরোধী সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে ওই অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলো বিশ্বের শীর্ষ সামাজিক মাধ্যমটি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, তদন্তকারীদের তথ্য সরবরাহ করতে ফেইসবুকের ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা করেছেন ওয়াশিংটন ডিসির ওই বিচারক। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর দমন-পীড়নের কারণে দেশটিকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এনে বিচারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে মার্কিন আইনের দোহাই দিয়ে ওই ডেটার প্রকাশ প্রত্যাখ্যান করেছিলো ফেইসবুক। প্রতিষ্ঠানটির দাবি ছিলো, ওই ডেটা প্রকাশ করা হলে তা মার্কিন আইনের লঙ্ঘন হবে।
তবে ওই মার্কিন বিচারক বলছেন, যেহেতু সহিংসতার সঙ্গে জড়িত কন্টেন্টগুলো মুছে দেওয়া হয়েছে, সেই নথি প্রকাশ করা হলে সেটি আইনের লঙ্ঘন হবে না।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, এই প্রসঙ্গে ফেইসবুক তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘ সম্মেলনের গনহত্যা নীতিমালা লঙ্ঘন করছে অভিযোগ এনে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস-এ মামলা করেছে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। ওই মামলার অংশ হিসেবেই ফেইসবুকের কাছে মুছে দেওয়া কন্টেন্টের নথি চেয়েছেন তদন্তকারীরা।
এই প্রসঙ্গে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর দাবি, বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই চলছিলো তাদের, তবে পরিকল্পিত নৃশংসতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তারা।
২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে মিয়ারমারের সামরিক বাহিনীর আকস্মিক দমন-পীড়নের মুখে দেশত্যাগে বাধ্য হন সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি সংখ্যালঘু মুসলিম নাগরিক। ওই সময়ে দেশটির সামরিক বাহিনী তাদের উপর গনহত্যা ও ধর্ষণ চালিয়েছে বলে জানান শরণার্থীরা।
অন্যদিকে, বিভিন্ন সময়ে অসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে একাধিক মানবাধিকার সংস্থা।
মার্কিন বিচারকের ওই নির্দেশকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন টুইটারের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা শ্যানন রাজ সিং। তিনি টুইট করেছেন, ‘আধুনিক জীবনে নৃশংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া জানাতে সামাজিক মাধ্যমে গুরুত্বের উদাহরণ এটি’।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক নারীকে দুই ভাই বিয়ে করে বললেন- আমরা গর্বিত

রোহিঙ্গা বিরোধী কন্টেন্টের নথি উন্মুক্ত করার নির্দেশ ফেইসবুককে

আপডেট সময় : ০৯:০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : ফেইসবুককে রোহিঙ্গা বিরোধী সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অ্যাকাউন্টের নথি উন্মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন এক মার্কিন বিচারক। রোহিঙ্গা বিরোধী সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে ওই অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলো বিশ্বের শীর্ষ সামাজিক মাধ্যমটি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, তদন্তকারীদের তথ্য সরবরাহ করতে ফেইসবুকের ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা করেছেন ওয়াশিংটন ডিসির ওই বিচারক। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর দমন-পীড়নের কারণে দেশটিকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এনে বিচারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে মার্কিন আইনের দোহাই দিয়ে ওই ডেটার প্রকাশ প্রত্যাখ্যান করেছিলো ফেইসবুক। প্রতিষ্ঠানটির দাবি ছিলো, ওই ডেটা প্রকাশ করা হলে তা মার্কিন আইনের লঙ্ঘন হবে।
তবে ওই মার্কিন বিচারক বলছেন, যেহেতু সহিংসতার সঙ্গে জড়িত কন্টেন্টগুলো মুছে দেওয়া হয়েছে, সেই নথি প্রকাশ করা হলে সেটি আইনের লঙ্ঘন হবে না।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, এই প্রসঙ্গে ফেইসবুক তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘ সম্মেলনের গনহত্যা নীতিমালা লঙ্ঘন করছে অভিযোগ এনে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস-এ মামলা করেছে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। ওই মামলার অংশ হিসেবেই ফেইসবুকের কাছে মুছে দেওয়া কন্টেন্টের নথি চেয়েছেন তদন্তকারীরা।
এই প্রসঙ্গে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর দাবি, বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই চলছিলো তাদের, তবে পরিকল্পিত নৃশংসতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তারা।
২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে মিয়ারমারের সামরিক বাহিনীর আকস্মিক দমন-পীড়নের মুখে দেশত্যাগে বাধ্য হন সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি সংখ্যালঘু মুসলিম নাগরিক। ওই সময়ে দেশটির সামরিক বাহিনী তাদের উপর গনহত্যা ও ধর্ষণ চালিয়েছে বলে জানান শরণার্থীরা।
অন্যদিকে, বিভিন্ন সময়ে অসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে একাধিক মানবাধিকার সংস্থা।
মার্কিন বিচারকের ওই নির্দেশকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন টুইটারের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা শ্যানন রাজ সিং। তিনি টুইট করেছেন, ‘আধুনিক জীবনে নৃশংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া জানাতে সামাজিক মাধ্যমে গুরুত্বের উদাহরণ এটি’।