ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

রোহিঙ্গাদের হামলায় এপিবিএনের ১২ সদস্য আহত

  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার সংবাদদাতা : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়ার নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে এপিবিএনের ১২ সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হয়। বিষয়টি জানান কক্সবাজার ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম। জানা গেছে, রেশন কার্ড নিয়ে গেল কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ বিরাজ করছে কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের মাঝে। গেল এক মাস ধরে রেশন নিতেও আসেনি তারা। রোববার সকাল থেকে ক্যাম্পে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। দুপুরে বিভিন্ন ব্লকে চলমান বিক্ষোভ ঠেকাতে রোহিঙ্গাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। কিন্তু উল্টো রোহিঙ্গারা এপিবিএন সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। কক্সবাজার ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম বলেন, বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে গেলে এপিবিএনের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের ১২ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মূলত এসব রোহিঙ্গারা ১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসে। তারপর তাদের শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধন করে সরকার। এরপর নানা ভাবে তাদের সহযোগীতা দিত বিভিন্ন সংস্থা বা সরকার। ২০১৩ সাল থেকে জাতিসংঘের ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’ (ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বা ডব্লিউএফপি) তাদের খাদ্যসহায়তা দিয়ে আসছে। এ জন্য ডব্লিউএফপির কর্মকর্তারা আলাদা করে তালিকা করেন নিবন্ধিতদের। কিন্তু চলতি জুলাই মাসের শুরু থেকে পুরোনো রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহায়তার কার্ড নিয়ে নেয় সংস্থাটি। ২০১৭ সালে আসা নতুন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের সংযুক্ত করে আবার কার্ড বিতরণ করা হয়। কিন্তু সে কার্ড নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এক মাস ধরে রেশন নিচ্ছে না পুরোনো রোহিঙ্গারা। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে অন্তত ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। নতুন-পুরোনো মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের ৩৪টি শিবিরে। তাদের মধ্যে কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রোহিঙ্গাদের হামলায় এপিবিএনের ১২ সদস্য আহত

আপডেট সময় : ০১:৫৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১

কক্সবাজার সংবাদদাতা : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়ার নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে এপিবিএনের ১২ সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হয়। বিষয়টি জানান কক্সবাজার ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম। জানা গেছে, রেশন কার্ড নিয়ে গেল কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ বিরাজ করছে কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের মাঝে। গেল এক মাস ধরে রেশন নিতেও আসেনি তারা। রোববার সকাল থেকে ক্যাম্পে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। দুপুরে বিভিন্ন ব্লকে চলমান বিক্ষোভ ঠেকাতে রোহিঙ্গাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। কিন্তু উল্টো রোহিঙ্গারা এপিবিএন সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। কক্সবাজার ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম বলেন, বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে গেলে এপিবিএনের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের ১২ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মূলত এসব রোহিঙ্গারা ১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসে। তারপর তাদের শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধন করে সরকার। এরপর নানা ভাবে তাদের সহযোগীতা দিত বিভিন্ন সংস্থা বা সরকার। ২০১৩ সাল থেকে জাতিসংঘের ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’ (ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বা ডব্লিউএফপি) তাদের খাদ্যসহায়তা দিয়ে আসছে। এ জন্য ডব্লিউএফপির কর্মকর্তারা আলাদা করে তালিকা করেন নিবন্ধিতদের। কিন্তু চলতি জুলাই মাসের শুরু থেকে পুরোনো রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহায়তার কার্ড নিয়ে নেয় সংস্থাটি। ২০১৭ সালে আসা নতুন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের সংযুক্ত করে আবার কার্ড বিতরণ করা হয়। কিন্তু সে কার্ড নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এক মাস ধরে রেশন নিচ্ছে না পুরোনো রোহিঙ্গারা। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে অন্তত ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। নতুন-পুরোনো মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের ৩৪টি শিবিরে। তাদের মধ্যে কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত।