ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনে সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার টমাস অ্যান্ড্রুজের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার টমাস অ্যান্ড্রুজের সঙ্গে সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা এ সহায়তা চান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিন দফা প্রস্তাবের জন্য বিশেষ র‌্যাপোর্টার অ্যান্ড্রুজ প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সহিংসতা রাখাইন রাজ্যে একটি বিশাল সংকট তৈরি করেছে। রোহিঙ্গাসহ বাস্তুচ্যুত ও ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার বলেন, মিয়ানমারে অন্তত ৩.১ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে কয়েক হাজার রাখাইন রাজ্যে রয়েছে। যেখানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো বছরের পর বছর ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইনে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রাখাইনে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য জাতিসংঘের দ্বারা নিশ্চিত একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করা এবং তাদের সমর্থন করার উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাখাইনের সংকট সমাধানের জন্য এটি একটি ভালো সূচনা হতে পারে এবং এটি হাজার হাজার নতুন শরণার্থীকে বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দিতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা রাখাইনে সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুত মানুষের বিষয়ে আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনারও পরামর্শ দেন। আলোচনার সময় প্রধান উপদেষ্টা হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করার জন্য বিশেষ র‌্যাপোর্টারের সহায়তাও চেয়েছেন।
নিরাপদ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে এ কথা বলেন।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রতিবছরের মতো এবারও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। সে লক্ষে ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস’ যথাযথভাবে পালন ও হাইজিন প্রসারের সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের’ এবারের প্রতিপাদ্য-‘পরিছন্ন হাত কেন এখনও গুরুত্বপূর্ণ ?’ যথার্থ হয়েছে বলেও প্রফেসর ইউনূস মনে করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক এ আয়োজন সবার জন্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে। সামাজিক এ আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও গণমাধ্যমসহ দেশের প্রতিটি নাগরিককে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি। প্রফেসর ইউনূস ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনে সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৯:০৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার টমাস অ্যান্ড্রুজের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার টমাস অ্যান্ড্রুজের সঙ্গে সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা এ সহায়তা চান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিন দফা প্রস্তাবের জন্য বিশেষ র‌্যাপোর্টার অ্যান্ড্রুজ প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সহিংসতা রাখাইন রাজ্যে একটি বিশাল সংকট তৈরি করেছে। রোহিঙ্গাসহ বাস্তুচ্যুত ও ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার বলেন, মিয়ানমারে অন্তত ৩.১ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে কয়েক হাজার রাখাইন রাজ্যে রয়েছে। যেখানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো বছরের পর বছর ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইনে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রাখাইনে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য জাতিসংঘের দ্বারা নিশ্চিত একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করা এবং তাদের সমর্থন করার উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাখাইনের সংকট সমাধানের জন্য এটি একটি ভালো সূচনা হতে পারে এবং এটি হাজার হাজার নতুন শরণার্থীকে বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দিতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা রাখাইনে সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুত মানুষের বিষয়ে আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনারও পরামর্শ দেন। আলোচনার সময় প্রধান উপদেষ্টা হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করার জন্য বিশেষ র‌্যাপোর্টারের সহায়তাও চেয়েছেন।
নিরাপদ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে এ কথা বলেন।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রতিবছরের মতো এবারও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। সে লক্ষে ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস’ যথাযথভাবে পালন ও হাইজিন প্রসারের সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের’ এবারের প্রতিপাদ্য-‘পরিছন্ন হাত কেন এখনও গুরুত্বপূর্ণ ?’ যথার্থ হয়েছে বলেও প্রফেসর ইউনূস মনে করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক এ আয়োজন সবার জন্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে। সামাজিক এ আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও গণমাধ্যমসহ দেশের প্রতিটি নাগরিককে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি। প্রফেসর ইউনূস ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।