ঢাকা ০১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

রোষের মুখে জাভেদ আখতার

  • আপডেট সময় : ১২:২০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : সরকার বিরোধী অবস্থানের জন্য প্রায়ই বিতর্কে নাম জড়ায় কবি, গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার ও তার পরিবারের। তারই প্রেক্ষিতে আরো একবার বিতর্কে নাম জড়ালো তার। বর্তমানে ‘বুল্লি বাই’ ইস্যুতে তোলপাড় পুরো ভারত। এই অ্যাপে নাকি প্রচুর মুসলিম মহিলাকে নিলামে তোলা হয়। ব্যবহার করা হয় তাদের ছবি। আর এই নিয়েই এবার সরব হয়েছেন কবি গীতিকার জাভেদ আখতার। শুধু তাই নয় সোশ্যাল মিডিয়ায় হওয়া ট্রোলিংয়ের বিরুদ্ধেও কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও নিশানা করেছেন তিনি। মূলত বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন জাভেদ আখতার। একই সঙ্গে গত মাসে হরিদ্বারের ধর্ম সংসদ প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। সেই সম্মেলনে মুসলিম বিরোধী মন্তব্য পেশ করেছিলেন সাধু-সন্তরা। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে আরও বেশি রোষের মুখে পড়েন জাভেদ আখতার। তবে সমস্যার সৃষ্টি জনৈক এক ব্যক্তির করা টুইটকে ঘিরে। সেই টুইটে লেখা ছিল জাভেদ আখতারের প্রপিতামহ ফজলে হক ১৮৫৫ সালে হিন্দুদের হনুমান মন্দির ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করেছিলেন। আর এই টুইট জ্বলন্ত আগুনের মত ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে।
এই টুইটের প্রেক্ষিতে শাবানা আজমি জবাব দিয়ে লেখেন, ফজলে হক একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, তার কালাপানির সাজা হয়েছিল এবং তিনি আন্দামানেই মৃত্যুবরণ করেন। সেখানে একজন শহীদ হিসাবে তার সমাধিও রয়েছে। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ওই ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও লেখেন এর থেকেও বেশি তথ্য জানতে হলে ‘বাগি হিন্দুস্থান’ পড়তে পারেন। শাবানার পাশাপাশি আওয়াজ তুলেছেন জাভেদ আখতারও। পূর্বপুরুষের নামে এমন অভিযোগ তিনি একেবারে সহ্য করেননি। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন ‘আমি যখন এমন এক বিষয়ে গলা চড়ালাম যেখানে মুসলিম মহিলাদের নিলামে তোলা হয় টাকার বিনিময়ে, ঠিক তারাই ধর্মান্ধ হয়ে এমন অভিযোগ আসার পরেই আমার পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে খারাপ উক্তি ও তথ্য ছড়াচ্ছে। তাও এমন একজনকে নিয়ে বলা হচ্ছে যিনি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন এবং যিনি কালাপানির সাজা কাটিয়েছিলেন ও সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। এমন এক মানুষকে নিয়ে যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন তাদের কি বলা উচিত?’। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে এই অ্যাপ ব্লক করা হয়েছে। তবুও যেন জল্পনা থামছে না। শাবানা আজমি ও জাভেদ আখতারের পাশাপাশি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাভেদপুত্র ফারহান আখতার ও কন্যা জোয়া আখতার ছাড়াও বলিউডের বহু ব্যাক্তিত্বরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রোষের মুখে জাভেদ আখতার

আপডেট সময় : ১২:২০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

বিনোদন ডেস্ক : সরকার বিরোধী অবস্থানের জন্য প্রায়ই বিতর্কে নাম জড়ায় কবি, গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার ও তার পরিবারের। তারই প্রেক্ষিতে আরো একবার বিতর্কে নাম জড়ালো তার। বর্তমানে ‘বুল্লি বাই’ ইস্যুতে তোলপাড় পুরো ভারত। এই অ্যাপে নাকি প্রচুর মুসলিম মহিলাকে নিলামে তোলা হয়। ব্যবহার করা হয় তাদের ছবি। আর এই নিয়েই এবার সরব হয়েছেন কবি গীতিকার জাভেদ আখতার। শুধু তাই নয় সোশ্যাল মিডিয়ায় হওয়া ট্রোলিংয়ের বিরুদ্ধেও কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও নিশানা করেছেন তিনি। মূলত বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন জাভেদ আখতার। একই সঙ্গে গত মাসে হরিদ্বারের ধর্ম সংসদ প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। সেই সম্মেলনে মুসলিম বিরোধী মন্তব্য পেশ করেছিলেন সাধু-সন্তরা। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে আরও বেশি রোষের মুখে পড়েন জাভেদ আখতার। তবে সমস্যার সৃষ্টি জনৈক এক ব্যক্তির করা টুইটকে ঘিরে। সেই টুইটে লেখা ছিল জাভেদ আখতারের প্রপিতামহ ফজলে হক ১৮৫৫ সালে হিন্দুদের হনুমান মন্দির ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করেছিলেন। আর এই টুইট জ্বলন্ত আগুনের মত ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে।
এই টুইটের প্রেক্ষিতে শাবানা আজমি জবাব দিয়ে লেখেন, ফজলে হক একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, তার কালাপানির সাজা হয়েছিল এবং তিনি আন্দামানেই মৃত্যুবরণ করেন। সেখানে একজন শহীদ হিসাবে তার সমাধিও রয়েছে। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ওই ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও লেখেন এর থেকেও বেশি তথ্য জানতে হলে ‘বাগি হিন্দুস্থান’ পড়তে পারেন। শাবানার পাশাপাশি আওয়াজ তুলেছেন জাভেদ আখতারও। পূর্বপুরুষের নামে এমন অভিযোগ তিনি একেবারে সহ্য করেননি। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন ‘আমি যখন এমন এক বিষয়ে গলা চড়ালাম যেখানে মুসলিম মহিলাদের নিলামে তোলা হয় টাকার বিনিময়ে, ঠিক তারাই ধর্মান্ধ হয়ে এমন অভিযোগ আসার পরেই আমার পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে খারাপ উক্তি ও তথ্য ছড়াচ্ছে। তাও এমন একজনকে নিয়ে বলা হচ্ছে যিনি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন এবং যিনি কালাপানির সাজা কাটিয়েছিলেন ও সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। এমন এক মানুষকে নিয়ে যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন তাদের কি বলা উচিত?’। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে এই অ্যাপ ব্লক করা হয়েছে। তবুও যেন জল্পনা থামছে না। শাবানা আজমি ও জাভেদ আখতারের পাশাপাশি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাভেদপুত্র ফারহান আখতার ও কন্যা জোয়া আখতার ছাড়াও বলিউডের বহু ব্যাক্তিত্বরা।