ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতল পিএসজি

  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : দুই গোলে এগিয়ে থেকে সহজ জয়ের পথেই ছিল পিএসজি। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলে স্তাদ ব্রেস্তওয়া। শক্তি-সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা দলটি শেষ রক্ষা করতে পারেনি। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তাদের হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। লিগ ওয়ানের ম্যাচে শুক্রবার রাতে ৪-২ গোলে জিতেছে পিএসজি। একটি করে গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপে, আনহেল দি মারিয়া, আন্দের এররেরা ও ইদ্রিসা গেয়ি। চলতি আসরে আগের দুই ম্যাচ ড্র করা ব্রেস্তের গোল দুটি করেন ফাঁঙ্ক উনুবা ও স্টিভ মুনিয়ে। প্রতিপক্ষের মাঠে পঞ্চম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় পিএসজি। এমবাপের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ব্রেস্তের ত্রাতা গোলরক্ষক। বল দখলে রেখে অনুমিত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে পিএসজি। লিগ ওয়ানে তাদের বিপক্ষে টানা সাত ম্যাচে হারা ব্রেস্ত বেছে নেয় প্রতি আক্রমণের পথ। ২১তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো সফরকারীরা। গোলমুখে মাউরো ইকার্দির কেবল একটা টোকা দরকার ছিল। কিন্তু পারেননি আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। প্রায় ৮০ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা পিএসজি গোছানোর আক্রমণে এগিয়ে যায় দুই মিনিট পরেই।
তবে ভাগ্যের একটু ছোঁয়াও ছিল। ব্রেস্তের গোলকিক থেকে নিজেদের ডিফেন্স ঘুরে বল পান এমবাপে। তার ক্রস স্বাগতিকদের একজনের মাথায় লাগলে ডি বক্সের বাইরে পেয়ে যান এররেরা। তার বুলেট গতির ভলি ঝাঁপিয়ে ঠেকাতে পারেননি গোলরক্ষক। পোস্টে লেগে জড়ায় জালে। খানিক পর খুব কাছ থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন আশরাফ হাকিমি। ৩৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপে। দারুণ ক্রসে এই ফরোয়ার্ড খুঁজে নেন হাকিমিকে। তার হেডে ডি বক্সে বল পেয়ে শট করেন জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম। ব্রেস্ত ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে প্রতিহত হলে ছুটে গিয়ে চমৎকার হেডে ফিরতি বল জালে পাঠান এমবাপে। চলতি আসরে এটি তার দ্বিতীয় গোল। হেডে লিগ ওয়ানে গোল করলেন চার বছরের বেশি সময় পর। ৪২তম মিনিটে অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে ব্যবধান কমায় ব্রেস্ত। প্রতি আক্রমণ থেকে স্টিভ মুনিয়ে খুঁজে নেন রোমাঁ ফেভারকে। অসাধারণ ব্যাক হিলে বল পান দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসা অরক্ষিত উনুবাকে। তার কোনাকুনি শট জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা চলে প্রায় একই গতিতে। স্বাগতিকদের পায়ে বেশিক্ষণ বল ছিল না। কিন্তু যখনই বল পেয়েছে তখনই পিএসজির রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েছে। খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে না পারা সফরকারীরা ৭৩তম মিনিটে গেয়ির আচমকা দূর পাল্লার শটে ব্যবধান বাড়ায়। মাঝ রেখার কাছে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে যান সেনেগালের এই মিডফিল্ডার। প্রতিপক্ষের কেউই আসেনি বাধা দিতে। যথেষ্ট সময় পেয়ে দেখেশুনে বুলেট গতির শটে জাল খুজে নেন গেয়ি। ৮৫তম মিনিটে আবার ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলে ব্রেস্ত। প্রতি আক্রমণ থেকে ফেভারের ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মুনিয়ে। ঠেকাতে পারেননি নাভাস। ব্যবধান এক গোলে নেমে আসার পর পিএসজির রক্ষণে প্রচ- চাপ তৈরি করে ব্রেস্ত। কিন্তু বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনে। প্রতি আক্রমণে ৯০তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন দি মারিয়া। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে দ্রুত এগিয়ে খুঁজে নেন হাকিমিকে। তার কাছ থেকে বল ফিরে পেয়ে চমৎকার লবে জালে পাঠান দি মারিয়া। চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো নেমেই গোল পেলেন এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। যোগ করা চার মিনিটে জালের দেখা পায়নি কোনো দলই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর: গুরুত্ব পাবে দক্ষ কর্মী পাঠানো ও বিনিয়োগ

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতল পিএসজি

আপডেট সময় : ১১:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : দুই গোলে এগিয়ে থেকে সহজ জয়ের পথেই ছিল পিএসজি। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলে স্তাদ ব্রেস্তওয়া। শক্তি-সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা দলটি শেষ রক্ষা করতে পারেনি। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তাদের হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। লিগ ওয়ানের ম্যাচে শুক্রবার রাতে ৪-২ গোলে জিতেছে পিএসজি। একটি করে গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপে, আনহেল দি মারিয়া, আন্দের এররেরা ও ইদ্রিসা গেয়ি। চলতি আসরে আগের দুই ম্যাচ ড্র করা ব্রেস্তের গোল দুটি করেন ফাঁঙ্ক উনুবা ও স্টিভ মুনিয়ে। প্রতিপক্ষের মাঠে পঞ্চম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় পিএসজি। এমবাপের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ব্রেস্তের ত্রাতা গোলরক্ষক। বল দখলে রেখে অনুমিত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে পিএসজি। লিগ ওয়ানে তাদের বিপক্ষে টানা সাত ম্যাচে হারা ব্রেস্ত বেছে নেয় প্রতি আক্রমণের পথ। ২১তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো সফরকারীরা। গোলমুখে মাউরো ইকার্দির কেবল একটা টোকা দরকার ছিল। কিন্তু পারেননি আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। প্রায় ৮০ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা পিএসজি গোছানোর আক্রমণে এগিয়ে যায় দুই মিনিট পরেই।
তবে ভাগ্যের একটু ছোঁয়াও ছিল। ব্রেস্তের গোলকিক থেকে নিজেদের ডিফেন্স ঘুরে বল পান এমবাপে। তার ক্রস স্বাগতিকদের একজনের মাথায় লাগলে ডি বক্সের বাইরে পেয়ে যান এররেরা। তার বুলেট গতির ভলি ঝাঁপিয়ে ঠেকাতে পারেননি গোলরক্ষক। পোস্টে লেগে জড়ায় জালে। খানিক পর খুব কাছ থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন আশরাফ হাকিমি। ৩৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপে। দারুণ ক্রসে এই ফরোয়ার্ড খুঁজে নেন হাকিমিকে। তার হেডে ডি বক্সে বল পেয়ে শট করেন জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম। ব্রেস্ত ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে প্রতিহত হলে ছুটে গিয়ে চমৎকার হেডে ফিরতি বল জালে পাঠান এমবাপে। চলতি আসরে এটি তার দ্বিতীয় গোল। হেডে লিগ ওয়ানে গোল করলেন চার বছরের বেশি সময় পর। ৪২তম মিনিটে অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে ব্যবধান কমায় ব্রেস্ত। প্রতি আক্রমণ থেকে স্টিভ মুনিয়ে খুঁজে নেন রোমাঁ ফেভারকে। অসাধারণ ব্যাক হিলে বল পান দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসা অরক্ষিত উনুবাকে। তার কোনাকুনি শট জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা চলে প্রায় একই গতিতে। স্বাগতিকদের পায়ে বেশিক্ষণ বল ছিল না। কিন্তু যখনই বল পেয়েছে তখনই পিএসজির রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েছে। খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে না পারা সফরকারীরা ৭৩তম মিনিটে গেয়ির আচমকা দূর পাল্লার শটে ব্যবধান বাড়ায়। মাঝ রেখার কাছে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে যান সেনেগালের এই মিডফিল্ডার। প্রতিপক্ষের কেউই আসেনি বাধা দিতে। যথেষ্ট সময় পেয়ে দেখেশুনে বুলেট গতির শটে জাল খুজে নেন গেয়ি। ৮৫তম মিনিটে আবার ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলে ব্রেস্ত। প্রতি আক্রমণ থেকে ফেভারের ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মুনিয়ে। ঠেকাতে পারেননি নাভাস। ব্যবধান এক গোলে নেমে আসার পর পিএসজির রক্ষণে প্রচ- চাপ তৈরি করে ব্রেস্ত। কিন্তু বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনে। প্রতি আক্রমণে ৯০তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন দি মারিয়া। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে দ্রুত এগিয়ে খুঁজে নেন হাকিমিকে। তার কাছ থেকে বল ফিরে পেয়ে চমৎকার লবে জালে পাঠান দি মারিয়া। চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো নেমেই গোল পেলেন এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। যোগ করা চার মিনিটে জালের দেখা পায়নি কোনো দলই।