ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ ভিয়ারিয়ালের

  • আপডেট সময় : ০১:৪১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ইতিহাস-ঐতিহ্যে তো বটেই, শক্তিতেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ভিয়ারিয়াল। সেই দলই গড়ল দারুণ এক ইতিহাস। রোমাঞ্চ ছড়ানো টাইব্রেকারে প্রিমিয়ার লিগের সফলতম ক্লাবটিকে হারিয়ে ইউরোপা লিগের মুকুট পরল স্প্যানিশ দলটি। তাদের ৯৮ বছরের ক্লাব ইতিহাসে জিতল প্রথম কোনো বড় শিরোপা। ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতার ফাইনালে বুধবার রাতে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষের পর টাইব্রেকারে ১১-১০ ব্যবধানে জেতে ভিয়ারিয়াল। জেরার্দ মরেনোর গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরান এদিনসন কাভানি। টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচ শটে জালের দেখা পায় দুই দলই। ‘সাডেন ডেথে’ও প্রথম পাঁচটি করে শটে সবাই গোল করেন। ১১তম শটে বল জালে পাঠান ভিয়ারিয়ালের গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। পরে ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়ার শট ঠেকিয়ে জয়ের নায়ক তিনিই।
ভিয়ারিয়ালের পাশাপাশি ইতিহাস গড়লেন দলটির কোচ উনাই এমেরিও। প্রথম কোচ হিসেবে জিতলেন চারটি ইউরোপা লিগ শিরোপা। এর আগে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সেভিয়ার কোচ হিসেবে এর শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। ইউনাইটেডের শিরোপা খরা আরও দীর্ঘ হলো। দলটির কোচ হিসেবে প্রথম শিরোপার অপেক্ষা বাড়ল উলে গুনার সুলশারেরও। দলটি সবশেষ শিরোপা জিতেছিল ইউরোপা লিগেই, ২০১৭ সালে। প্রতিযোগিতাটির শিরোপা জেতায় আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাও নিশ্চিত হলো এবার লা লিগায় সপ্তম হওয়া ভিয়ারিয়ালের। পোল্যান্ডের গোডাইন্সকে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ পান প্রায় ১০ হাজার দর্শক। শুরু থেকে বল দখলে ইউনাইটেড এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দলই। সপ্তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইউনাইটেডের স্কট ম্যাকটমিনে। ২৯তম মিনিটে লক্ষ্যে নিজেদের প্রথম শটেই সাফল্য পায় ভিয়ারিয়াল। দানি পারেহোর ফ্রি-কিকে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে হাফ ভলিতে বল জালে পাঠান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মরেনো।
দুই দলের পাঁচবারের দেখায় এই প্রথম জালের দেখা পেল কোনো দল। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মরেনোর গোল হলো ৩০টি। প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশে মাত্র ৩টি শট নিতে পারে ইউনাইটেড, লক্ষ্যে ছিল একটি। ভিয়ারিয়ালের ৫ শটের একটি লক্ষ্যে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়ে ইউনাইটেডের। ৫৫তম মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। কর্নার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি ভিয়ারিয়াল। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মার্কাস র‌্যাশফোর্ডের শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে ম্যাকটমিনের পা ছুঁয়ে ছয় গজ বক্সের মুখে পান কাভানি। র‌্যাশফোর্ডের শট ঠেকাতে গোলরক্ষক আগেই এক পাশে ঝাঁপ দেওয়ায় ফাঁকা জালে বল পাঠান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। প্রতিযোগিতাটিতে শুরুর একাদশে নেমে নিজের শেষ ১১ ম্যাচে ১৬ গোল করলেন ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার। ৭২তম মিনিটে কাছ থেকে কাভানির হেড লাগে এক ডিফেন্ডারের গায়ে। আট মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি র‌্যাশফোর্ড। ১১৪তম মিনিটে ডি-বক্সে ফ্রেদের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির আবেদন করে ভিয়ারিয়াল। শরীর থেকে হাত বেশ দূরেই ছিল তার। তবে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেননি রেফারি। পরে টাইব্রেকারে জিতে পুরো আসরে অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হলো ভিয়ারিয়াল। প্রথমবার বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেই শিরোপা উৎসব করল ৫০ হাজার মানুষের শহরের ক্লাবটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ ভিয়ারিয়ালের

আপডেট সময় : ০১:৪১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : ইতিহাস-ঐতিহ্যে তো বটেই, শক্তিতেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ভিয়ারিয়াল। সেই দলই গড়ল দারুণ এক ইতিহাস। রোমাঞ্চ ছড়ানো টাইব্রেকারে প্রিমিয়ার লিগের সফলতম ক্লাবটিকে হারিয়ে ইউরোপা লিগের মুকুট পরল স্প্যানিশ দলটি। তাদের ৯৮ বছরের ক্লাব ইতিহাসে জিতল প্রথম কোনো বড় শিরোপা। ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতার ফাইনালে বুধবার রাতে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষের পর টাইব্রেকারে ১১-১০ ব্যবধানে জেতে ভিয়ারিয়াল। জেরার্দ মরেনোর গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরান এদিনসন কাভানি। টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচ শটে জালের দেখা পায় দুই দলই। ‘সাডেন ডেথে’ও প্রথম পাঁচটি করে শটে সবাই গোল করেন। ১১তম শটে বল জালে পাঠান ভিয়ারিয়ালের গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। পরে ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়ার শট ঠেকিয়ে জয়ের নায়ক তিনিই।
ভিয়ারিয়ালের পাশাপাশি ইতিহাস গড়লেন দলটির কোচ উনাই এমেরিও। প্রথম কোচ হিসেবে জিতলেন চারটি ইউরোপা লিগ শিরোপা। এর আগে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সেভিয়ার কোচ হিসেবে এর শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। ইউনাইটেডের শিরোপা খরা আরও দীর্ঘ হলো। দলটির কোচ হিসেবে প্রথম শিরোপার অপেক্ষা বাড়ল উলে গুনার সুলশারেরও। দলটি সবশেষ শিরোপা জিতেছিল ইউরোপা লিগেই, ২০১৭ সালে। প্রতিযোগিতাটির শিরোপা জেতায় আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাও নিশ্চিত হলো এবার লা লিগায় সপ্তম হওয়া ভিয়ারিয়ালের। পোল্যান্ডের গোডাইন্সকে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ পান প্রায় ১০ হাজার দর্শক। শুরু থেকে বল দখলে ইউনাইটেড এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দলই। সপ্তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইউনাইটেডের স্কট ম্যাকটমিনে। ২৯তম মিনিটে লক্ষ্যে নিজেদের প্রথম শটেই সাফল্য পায় ভিয়ারিয়াল। দানি পারেহোর ফ্রি-কিকে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে হাফ ভলিতে বল জালে পাঠান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মরেনো।
দুই দলের পাঁচবারের দেখায় এই প্রথম জালের দেখা পেল কোনো দল। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মরেনোর গোল হলো ৩০টি। প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশে মাত্র ৩টি শট নিতে পারে ইউনাইটেড, লক্ষ্যে ছিল একটি। ভিয়ারিয়ালের ৫ শটের একটি লক্ষ্যে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়ে ইউনাইটেডের। ৫৫তম মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। কর্নার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি ভিয়ারিয়াল। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মার্কাস র‌্যাশফোর্ডের শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে ম্যাকটমিনের পা ছুঁয়ে ছয় গজ বক্সের মুখে পান কাভানি। র‌্যাশফোর্ডের শট ঠেকাতে গোলরক্ষক আগেই এক পাশে ঝাঁপ দেওয়ায় ফাঁকা জালে বল পাঠান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। প্রতিযোগিতাটিতে শুরুর একাদশে নেমে নিজের শেষ ১১ ম্যাচে ১৬ গোল করলেন ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার। ৭২তম মিনিটে কাছ থেকে কাভানির হেড লাগে এক ডিফেন্ডারের গায়ে। আট মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি র‌্যাশফোর্ড। ১১৪তম মিনিটে ডি-বক্সে ফ্রেদের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির আবেদন করে ভিয়ারিয়াল। শরীর থেকে হাত বেশ দূরেই ছিল তার। তবে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেননি রেফারি। পরে টাইব্রেকারে জিতে পুরো আসরে অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হলো ভিয়ারিয়াল। প্রথমবার বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেই শিরোপা উৎসব করল ৫০ হাজার মানুষের শহরের ক্লাবটি।