স্পোর্টস ডেস্ক: বয়স যে কেবল একটা সংখ্যা মাত্র তার প্রমাণ প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এক হাজার গোলের মাইলফলটে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছেন তিনি। ইতোমধ্যে ফুটবল ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৯৫০ গোলের মাইলফলকে পা রেখেছেন তিনি।
সৌদি প্রো লিগে শনিবার (২৫ অক্টোবর) আল হাজমের বিপক্ষে গোল করে ফুটবল ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৯৫০ গোলের মাইলফলকে পা রেখেছেন তিনি।
৮৮ মিনিটে গোলটি করেন পর্তুগিজ তারকা। এই গোল আল নাসরকে এনে দেয় ২-০ ব্যবধানের নিশ্চিত জয়ও। চলতি মৌসুমে এটি ছিল রোনালদোর ষষ্ঠ লিগ গোল ও মোট সপ্তম।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ার পর আল নাসরে যোগ দিয়েই যেন নতুন করে জ্বলে উঠেছেন সিআরসেভেন। সৌদি ক্লাবটির জার্সিতে ইতোমধ্যে শতাধিক গোল করে ফেলেছেন তিনি।
এই কীর্তি গড়ার একদিন আগেই অবশ্য তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি রোনালদোরই পূর্বের কীর্তি নিজের করে নিয়েছেন। সবচেয়ে দ্রুত ৮৯০ গোলের মালিক এখন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। মেজর লিগ সকারে ন্যাশভিলের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির ৩-১ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল করে মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ৮৯১।
দু’জন ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে পৌঁছালেও কোনওভাবেই তাদের থামানো যাচ্ছে না। ৩৮ বছর ১২২ দিনে মেসি হয়েছেন সবচেয়ে কম বয়সে ৮৯০ গোলের মালিক, আর ৩৯ বছর ৮৯ দিনে সেই সংখ্যা ছুঁয়েছিলেন রোনালদো। আর্জেন্টাইন তারকা এই মাইলফলক পেতে ১ হাজার ১৩১ ম্যাচ খেলেছেন, তুলনায় রোনালদোর লেগেছে ১ হাজার ২২০ ম্যাচ।
অবস্থা এখন এমন যে, লা লিগা থেকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ ছড়িয়ে পড়েছে দুই মহাদেশে। তাতে আগ্রহ কিংবা আবেগ একটুও কমেনি। মেসি ২০২৮ সাল পর্যন্ত ইন্টার মায়ামির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন, আর রোনালদো থাকছেন আল নাসরে ২০২৭ পর্যন্ত।
রোনালদোর ক্যারিয়ারে গোলসংখ্যা (ক্লাব ও দেশভিত্তিক):
* স্পোর্টিং সিপি (পর্তুগাল): ৫
* ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (ইংল্যান্ড): ১৪৫
* রিয়াল মাদ্রিদ (স্পেন): ৪৫০
* জুভেন্টাস (ইতালি): ১০১
* আল নাসর (সৌদি আরব): ১০৬
* পর্তুগাল জাতীয় দল: ১৪৩
মোট: ৯৫০ গোল
পুরুষদের ফুটবলে সর্বাধিক গোলদাতা:
১. ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো – ৯৫০
২. লিওনেল মেসি – ৮৯১
৩. পেলে – ৭৬২
৪. রোমারিও – ৭৫৬
৫. ফেরেঙ্ক পুসকাস –৭২৫
এসি/আপ্র/২৬/১০/২০২৫





















