ক্রীড়া ডেস্ক: বয়সের ছাপ স্পষ্ট। তারুণ্যের কাছে হার মানতে হচ্ছে প্রায়ই। তবু থামতে আপত্তি নোভাক জোকোভিচের। অবসরের কোনো পরিকল্পনাই নেই রেকর্ড ২৪বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ীর। সার্বিয়ান কিংবদন্তি খেলা চালিয়ে যাওয়ার প্রেরণা নিচ্ছেন ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, এনবিএ তারকা লেব্রন জেমস, সাবেক এনএফএল খেলোয়াড় টম ব্র্যাডির কাছ থেকে।
এ বছর চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের চারটিতেই সেমি ফাইনালে শেষ হয় জোকোভিচের যাত্রা। ইয়ানিক সিনার-কার্লোস আলকারাজের মতো টেনিসের বর্তমানদের কাছে নিয়মিতই আত্মসমর্পন করতে হচ্ছে তাকে। সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা এসেছে ২০২৩ সালে। চোট আর বয়সের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে ৩৮ বছর বয়সী কিংবদন্তিকে। এরপরও দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী জোকোভিচ চালিয়ে যেতে যান খেলা।
জোকোভিচ আছেন এখন সৌদি আরবে। মধ্য প্রাচ্যের দেশটিতে ‘সিক্স কিংস স্ল্যাম’-এর সেমিফাইনালে আরও একবার সিনারের কাছে হেরেছেন তিনি। সেমিতে জোকোকে ৪-৬, ২-৬ সেটে হারিয়েছেন চারবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী ইতালিয়ান। আরেকটি ব্লকবাস্টার ফাইনালে আগামীকাল মুখোমুখি হবেন আলকারাজ-সিনার।
সেমিতে সিনারের কাছে হারের পর রিয়াদে জয় ফোরামে ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেন জোকোভিচ। অবসরের প্রশ্নে বলেন, ‘দীর্ঘ ক্যারিয়ারই এখন আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা। আমি দেখতে চাই, আমি কত দূর যেতে পারি। বিশ্বজুড়ে খেলাধুলায় লেব্রন জেমসকে দেখুন—সে এখনো দারুণ খেলছে, বয়স ৪০। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও তাই, টম ব্র্যাডিও ৪০ বছর পেরিয়ে খেলেছেন। অবিশ্বাস্য! তারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তাই আমিও চালিয়ে যেতে চাই—এটাই আমার অন্যতম অনুপ্রেরণা।’
টেনিসের পরিবর্তনশীল ভবিষ্যতের অংশ হতে চাওয়ার কথাও জানিয়ে জোকোভিচ বলেন, ‘আমি এমন সময়টায় বাঁচতে চাই। অর্থাৎ এখনো পেশাদার টেনিসে খেলতে চাই—যখন এই খেলাটিতে পরিবর্তন আসবে। আমি এতে ভীষণ রোমাঞ্চিত। আমার মনে হয়, টেনিস এমন এক খেলা, যা ব্যাপকভাবে বদলে যেতে পারে এবং যাবে। আমি সেই পরিবর্তনের অংশ হতে চাই, কেবল অংশ নয়, আমি চাই খেলাটির নবজাগরণের সময় কোর্টে থাকতে, যখন নতুন প্রজন্মের জন্য টেনিসের এক নতুন যুগের ভিত্তি তৈরি হবে।”
এই বছর জেনেভায় ক্যারিয়ারের ১০০তম শিরোপা জেতা জোকোভিচকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়—সিনার বা আলকারাজের মতো তরুণরা কি তাকে হারিয়েই অবসরে পাঠাবে? তখন মুচকি হেসে তিনি জবাব দেন, ‘তাদের হতাশ করতেই হচ্ছে—ওটা হতে যাচ্ছে না।’
ওআ/আপ্র/১৭/১০/২০২৫