ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রোনালদোকে শুরু থেকে না খেলানোয় আক্ষেপ নেই সান্তোসের

  • আপডেট সময় : ১২:৪০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে শুরুর একাদশে না রেখেও সহজেই জিতেছিল পর্তুগাল। মরক্কোর সঙ্গে শেষ আটের ম্যাচে সেই দলে পরিবর্তন আনতে চাননি ফের্নান্দো সান্তোস। কিন্তু এবার দেখল তারা মুদ্রার উল্টো পিঠ। তবে রোনালদোকে শুরু থেকে না খেলানোয় কোনো আক্ষেপ নেই পর্তুগাল কোচের। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শনিবার মরক্কোর বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে পর্তুগাল। এতে হতাশায় শেষ হয় তাদের বিশ্বকাপে পথচলা। আর প্রথমবারের মতো শেষ চারে কোনো প্রতিনিধি পায় আফ্রিকা। ১৯৫ ম্যাচ খেলে ১১৮ গোল নিয়ে পর্তুগাল তো বটেই, ফুটবল ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ স্কোরার রোনালদো। কিন্তু গত মঙ্গলবার শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইসদের বিপক্ষে তাকে শুরুর একাদশে না রেখে কঠিন এক সিদ্ধান্ত নেন সান্তোস। তাতে অবশ্য লাভও হয়। রোনালদোর জায়গা খেলে রেকর্ড গড়া হ্যাট্রিক করেন ২১ বছর বয়সী গনসালো রামোস। পর্তুগাল ম্যাচটি জেতে ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। মরক্কোর বিপক্ষেও একই দল মাঠে নামান সান্তোস। কিন্তু এবার ফল আসে উল্টো। রামোস এদিন ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। প্রথমার্ধে গোল হজম করা পর্তুগাল ৫১তম মিনিটে রোনালদোকে নামায়। কিন্তু সময়ের সেরা ফরোয়ার্ডদের একজনও ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেননি।
ম্যাচ হারের পর চোখে জল নিয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমের দিকে চলে যান রোনালদো। ধারণা করা হচ্ছে, এটাই ৩৭ বছর বয়সী এই মহাতারকার বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ। ম্যাচ শেষে সান্তোস ব্যাখ্যা দিলেন কেন রোনালদোকে এই ম্যাচেও রেখেছিলেন শুরুর একাদশের বাইরে। “আমি আক্ষেপ করছি না (রোনালদোকে বেঞ্চে রেখে)। এটা কিছুই পরিবর্তন করবে না। দলের কথা চিন্তা করে আমি আমার হৃদয়ের কথা শুনতে পারি না। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে যে দলটি সত্যিই ভালো খেলেছে তাদেরকে ব্যবহার করেছি। এই ম্যাচে (মরক্কোর বিপক্ষে) বদল আনার কোনো কারণ নেই।” “আমাকে যে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল তা ছিল সবচেয়ে কঠিন কিন্তু আমি হৃদয় দিয়ে ভাবতে পারি না, আমাকে মাথা দিয়ে ভাবতে হবে। এমন নয় যে রোনালদো আর দুর্দান্ত খেলোয়াড় নয়। এর সঙ্গে (শুরুর একাদশে না রাখার) কোনো সম্পর্ক নেই।” ২০১৪ সাল থেকে পর্তুগালের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সান্তোস। এবার ৬৮ বছর বয়সী এই কোচের পর্তুগাল অধ্যায়ের সমাপ্তি দেখছেন অনেকেই। যদিও নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ তিনি। জানিয়েছেন, পরের সপ্তাহে বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রোনালদোকে শুরু থেকে না খেলানোয় আক্ষেপ নেই সান্তোসের

আপডেট সময় : ১২:৪০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে শুরুর একাদশে না রেখেও সহজেই জিতেছিল পর্তুগাল। মরক্কোর সঙ্গে শেষ আটের ম্যাচে সেই দলে পরিবর্তন আনতে চাননি ফের্নান্দো সান্তোস। কিন্তু এবার দেখল তারা মুদ্রার উল্টো পিঠ। তবে রোনালদোকে শুরু থেকে না খেলানোয় কোনো আক্ষেপ নেই পর্তুগাল কোচের। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শনিবার মরক্কোর বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে পর্তুগাল। এতে হতাশায় শেষ হয় তাদের বিশ্বকাপে পথচলা। আর প্রথমবারের মতো শেষ চারে কোনো প্রতিনিধি পায় আফ্রিকা। ১৯৫ ম্যাচ খেলে ১১৮ গোল নিয়ে পর্তুগাল তো বটেই, ফুটবল ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ স্কোরার রোনালদো। কিন্তু গত মঙ্গলবার শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইসদের বিপক্ষে তাকে শুরুর একাদশে না রেখে কঠিন এক সিদ্ধান্ত নেন সান্তোস। তাতে অবশ্য লাভও হয়। রোনালদোর জায়গা খেলে রেকর্ড গড়া হ্যাট্রিক করেন ২১ বছর বয়সী গনসালো রামোস। পর্তুগাল ম্যাচটি জেতে ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। মরক্কোর বিপক্ষেও একই দল মাঠে নামান সান্তোস। কিন্তু এবার ফল আসে উল্টো। রামোস এদিন ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। প্রথমার্ধে গোল হজম করা পর্তুগাল ৫১তম মিনিটে রোনালদোকে নামায়। কিন্তু সময়ের সেরা ফরোয়ার্ডদের একজনও ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেননি।
ম্যাচ হারের পর চোখে জল নিয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমের দিকে চলে যান রোনালদো। ধারণা করা হচ্ছে, এটাই ৩৭ বছর বয়সী এই মহাতারকার বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ। ম্যাচ শেষে সান্তোস ব্যাখ্যা দিলেন কেন রোনালদোকে এই ম্যাচেও রেখেছিলেন শুরুর একাদশের বাইরে। “আমি আক্ষেপ করছি না (রোনালদোকে বেঞ্চে রেখে)। এটা কিছুই পরিবর্তন করবে না। দলের কথা চিন্তা করে আমি আমার হৃদয়ের কথা শুনতে পারি না। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে যে দলটি সত্যিই ভালো খেলেছে তাদেরকে ব্যবহার করেছি। এই ম্যাচে (মরক্কোর বিপক্ষে) বদল আনার কোনো কারণ নেই।” “আমাকে যে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল তা ছিল সবচেয়ে কঠিন কিন্তু আমি হৃদয় দিয়ে ভাবতে পারি না, আমাকে মাথা দিয়ে ভাবতে হবে। এমন নয় যে রোনালদো আর দুর্দান্ত খেলোয়াড় নয়। এর সঙ্গে (শুরুর একাদশে না রাখার) কোনো সম্পর্ক নেই।” ২০১৪ সাল থেকে পর্তুগালের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সান্তোস। এবার ৬৮ বছর বয়সী এই কোচের পর্তুগাল অধ্যায়ের সমাপ্তি দেখছেন অনেকেই। যদিও নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ তিনি। জানিয়েছেন, পরের সপ্তাহে বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন।