ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

রোজা রাখার ৫ স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন

  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: রমজান মাসে রোজা রাখার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গুরুত্বের পাশাপাশি অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এই মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে শরীরকে খাবার থেকে বিরতি দেওয়া হয়। যা আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই পবিত্র মাসে রোজা রাখলে শারীরিক ও আধ্যাত্মিক উভয় উভয় অর্জন করা যায়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রোজা রাখার ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
রোজা রাখার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইনের উৎপাদন হ্রাস করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা অসুস্থতা এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। পুষ্টিবিদদের মতে, রোজা অন্ত্রের আস্তরণকে শক্তিশালী করে। এটি অটোফ্যাজি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষতিকারক এবং ক্ষতিগ্রস্ত উপাদান থেকে কোষকে পরিষ্কার করে।
২. ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
রোজা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
রোজার সময় শক্তির জন্য সঞ্চিত গ্লুকোজের ওপর নির্ভর করলে শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়, যার ফলে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত হয়। গবেষণা অনুসারে, রমজান মাসে রোজা রাখার ইতিবাচক ফলাফল রয়েছে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে।
৩. ওজন কমায়
ওজন কমানোর জন্য রোজা একটি দুর্দান্ত উপায়। সাহরি ও ইফতারে খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্যালোরি গ্রহণ কমিয়ে এই মাসে ওজন কমানো সম্ভব হতে পারে। তবে রমজান মাস ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়েও অতিরিক্ত খাওয়ার প্রলোভন এড়াতে হবে।
৪. হৃদরোগের জন্য ভালো
রোজা রাখলে তা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে, যা প্রদাহ কমাতে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করে। তবে যাদের আগে থেকেই হৃদরোগ আছে তাদের রোজা শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৫. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে
রোজা রাখার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতার মধ্যে একটি হলো মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উন্নতি। রমজান মাসে মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত নিউরোট্রপিক ফ্যাক্টর (ইউঘঋ) উৎপাদন বেশ বৃদ্ধি পায়। ইউঘঋ হলো একটি প্রোটিন যা মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি এবং বেঁচে থাকার জন্য সহায়তা করে। এটি স্মৃতিশক্তি, শেখা এবং মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রোজা রাখার ৫ স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন

আপডেট সময় : ০৪:৫২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: রমজান মাসে রোজা রাখার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গুরুত্বের পাশাপাশি অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এই মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে শরীরকে খাবার থেকে বিরতি দেওয়া হয়। যা আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই পবিত্র মাসে রোজা রাখলে শারীরিক ও আধ্যাত্মিক উভয় উভয় অর্জন করা যায়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রোজা রাখার ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
রোজা রাখার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইনের উৎপাদন হ্রাস করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা অসুস্থতা এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। পুষ্টিবিদদের মতে, রোজা অন্ত্রের আস্তরণকে শক্তিশালী করে। এটি অটোফ্যাজি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষতিকারক এবং ক্ষতিগ্রস্ত উপাদান থেকে কোষকে পরিষ্কার করে।
২. ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
রোজা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
রোজার সময় শক্তির জন্য সঞ্চিত গ্লুকোজের ওপর নির্ভর করলে শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়, যার ফলে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত হয়। গবেষণা অনুসারে, রমজান মাসে রোজা রাখার ইতিবাচক ফলাফল রয়েছে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে।
৩. ওজন কমায়
ওজন কমানোর জন্য রোজা একটি দুর্দান্ত উপায়। সাহরি ও ইফতারে খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্যালোরি গ্রহণ কমিয়ে এই মাসে ওজন কমানো সম্ভব হতে পারে। তবে রমজান মাস ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়েও অতিরিক্ত খাওয়ার প্রলোভন এড়াতে হবে।
৪. হৃদরোগের জন্য ভালো
রোজা রাখলে তা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে, যা প্রদাহ কমাতে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করে। তবে যাদের আগে থেকেই হৃদরোগ আছে তাদের রোজা শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৫. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে
রোজা রাখার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতার মধ্যে একটি হলো মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উন্নতি। রমজান মাসে মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত নিউরোট্রপিক ফ্যাক্টর (ইউঘঋ) উৎপাদন বেশ বৃদ্ধি পায়। ইউঘঋ হলো একটি প্রোটিন যা মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি এবং বেঁচে থাকার জন্য সহায়তা করে। এটি স্মৃতিশক্তি, শেখা এবং মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে।