ঢাকা ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

রোজার প্রথম কর্মদিবসে পথে পথে ইফতার

  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :রমজানের প্রথম তিনদিন সরকারি ছুটিতে রাজধানীর সড়ক ছিল প্রায় ফাঁকা। গতকাল সোমবার প্রথম কর্মদিবসে সকাল থেকে সড়ক ফিরে পায় পুরনো রূপ। অফিস সময়ে রাজধানীতে দেখা দেয় তীব্র যানজট। যার রেশ ছিল সারাদিন। এমনকি ইফরাতির সময়ও রাজধানীর সড়কে ছিল তীব্র জট। কর্মদিবসের প্রথম দিনেই অনেকের ইফতার করতে হয়েছে পথে পথে।
সকালে অফিসমুখো মানুষের চাপে নগরীতে যানজট বেড়ে যায়। মূল সড়ক থেকে অলি-গলি পর্যন্ত ছিল যানবাহনের চাপ। আর বিকেলে অফিস শেষে ঘরমুখো মানুষের চাপে পুরো নগরীতে নেমে আসে স্থবিরতা। ঢাকায় এমন কোনো সড়ক বা অলিগলি খুঁজে পাওয়া মুশকিল যেখানে যানজট নেই। দুপুরের দিকে যানজটের মাত্রা কিছুটা কমে আসে। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে রাস্তায়। ঘরমুখো মানুষকে সড়কে আটকে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মধ্যবাড্ডা এলাকায় ভিক্টর বাসে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে। বিকেল ৩টায় রামপুরা ব্রিজ থেকে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন তিনি। গন্তব্য কুড়িল। দেড় ঘণ্টা সময়েও তিনি কুড়িল বিশ্বরোড পৌঁছাতে পারেননি। তিনি বলেন, আজ আর বাসার ইফতার কপালে নেই মনে হয়। কী আর বলব, এত রাগ লাগছে। বসে থাকা ছাড়া উপায়ও নেই। সন্ধ্যার আগে সড়কের পাশে বসে অস্থায়ী ইফতারি দোকান। সেখানে পড়ে উপচে পড়া ভিড়। যার কারণে যানজট বাড়ে কিছুটা। এতেই আটকা পড়ে ঘরমুখো মানুষ। অনেকের করতে হয়েছে পথে ইফতারি। যাত্রীরা বলছেন, প্রথম দিনে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে ধারণা ছিল না। বাধ্য হয়ে পরিবার ছাড়া পথেই ইফতারি করে নিতে হচ্ছে তাদের। এই সড়কে দায়িত্বরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, যানজটের মূল কারন তিন দিনের ছুটি। সঙ্গে যোগ হয়েছে ইফতারের বিষয়টা। মানুষ সবাই চাচ্ছে বাসায় গিয়ে ইফতার করতে। এতে সড়কে চাপ বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখার। কিন্তু এই সময়ে এত মানুষ একত্রে বের হন, আমাদের আসলে কিছু করার থাকে না। রমজান মাসে নতুন সময়সূচি সোমবার প্রথমবার চলল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী রমজানে সকাল ৯টায় অফিস শুরু হয়ে চলে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট ছিল নামাজের বিরতি। গত ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্টের এক সার্কুলারে রমজান মাসের জন্য ব্যাংকের অফিস ও লেনদেনের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সূচি অনুযায়ী রমজান মাসে লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। আর অফিস চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আজ সোমবার রোজায় প্রথম লেনদেন হলো ব্যাংকে।
ট্রাফিক গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অন্যদিনের তুলনায় গাড়ির চাপ আজ একটু বেশি। তিনদিন বন্ধ থাকার পর আজ রাজধানীতে সব অফিস খুলেছে। এছাড়া রমজানের কারণে অফিস টাইম একটু পরিবর্তন হয়েছে। সবমিলিয়ে একসঙ্গে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তাই এ যানজট। জানতে চাইলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, রমজান মাস এলেই ঢাকা শহরে যানজট বেড়ে যায়। যানজট নিরসনে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশসহ থানা পুলিশের সদস্যরাও সড়কে বাড়তি ডিউটি করেন। কিন্তু সড়কের দুই পাশ দিয়ে অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাথ দখলসহ যত্রতত্র গাড়ি চলাচলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা শহরের যানজট নিরসন পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা যারা সড়কে চলাচল করি এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
রমজান শুরু আগে যানজট নিরসনে ১৫টি নির্দেশনা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশনাগুলো হলো: ১. ঢাকা মহানগরীতে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের অভ্যন্তরে কোনো বাসই সড়কে রেখে বা থামিয়ে যাত্রী ওঠানো যাবে না। টার্মিনালের ভেতরে থাকা অবস্থায় যাত্রীদের বাসের আসনগ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বাসের প্রতিনিধিদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। ২. ঢাকা মহানগরীতে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাসগুলো টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কের অংশ দখল করে দাঁড়াবে না। ৩. ভ্রমণকালে ঢাকা মহানগরের প্রবেশ ও বাহির পথের গণপরিবহনগুলো শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে যেন কোনো অযাচিত যানজটের সৃষ্টি না হয়। ৪. ঢাকা মহানগরী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে নিবৃত থাকতে হবে। ৫. আন্তঃজেলা পরিবহনের যাত্রীরা বা গমনপ্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভেতরে অবস্থান করতে হবে। ৬. ঢাকা মহানগর থেকে দূরপাল্লার রুট পারমিটবিহীন বা অননুমোদিত রুটে কোনো বাস চলাচল করবে না। বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলবেন এবং কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবেন। ৭. বাসের ভেতরে যাত্রীদের অপরিচিত কারও কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। ৮. সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে টিকিট সঙ্গে রাখবেন। ৯. যাত্রীদের মালামাল নিজ হেফাজতে সাবধানে রাখবেন। ১০. কোনো যানবাহনেই ছাদের ওপর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না। ১১. যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসচালকরা এমন কোনো অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না। এতে সড়কের শৃঙ্খলায় বিঘœ ঘটে ও জীবনহানির শঙ্কা থাকে। ১২. সকালে অফিসে গমনকারীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে রেব হওয়া। ১৩. ইফতার সন্নিকটে বাসায় রওয়ানা না দিয়ে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া। ১৪. স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের ক্ষেত্রে রিকশা, সিএনজি, বাস ইত্যাদি বাহন ব্যবহার না করে হেঁটে যাওয়া। ১৫. টার্মিনালভিত্তিক কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন করতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রোজার প্রথম কর্মদিবসে পথে পথে ইফতার

আপডেট সময় : ০২:৪১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :রমজানের প্রথম তিনদিন সরকারি ছুটিতে রাজধানীর সড়ক ছিল প্রায় ফাঁকা। গতকাল সোমবার প্রথম কর্মদিবসে সকাল থেকে সড়ক ফিরে পায় পুরনো রূপ। অফিস সময়ে রাজধানীতে দেখা দেয় তীব্র যানজট। যার রেশ ছিল সারাদিন। এমনকি ইফরাতির সময়ও রাজধানীর সড়কে ছিল তীব্র জট। কর্মদিবসের প্রথম দিনেই অনেকের ইফতার করতে হয়েছে পথে পথে।
সকালে অফিসমুখো মানুষের চাপে নগরীতে যানজট বেড়ে যায়। মূল সড়ক থেকে অলি-গলি পর্যন্ত ছিল যানবাহনের চাপ। আর বিকেলে অফিস শেষে ঘরমুখো মানুষের চাপে পুরো নগরীতে নেমে আসে স্থবিরতা। ঢাকায় এমন কোনো সড়ক বা অলিগলি খুঁজে পাওয়া মুশকিল যেখানে যানজট নেই। দুপুরের দিকে যানজটের মাত্রা কিছুটা কমে আসে। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে রাস্তায়। ঘরমুখো মানুষকে সড়কে আটকে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মধ্যবাড্ডা এলাকায় ভিক্টর বাসে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে। বিকেল ৩টায় রামপুরা ব্রিজ থেকে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন তিনি। গন্তব্য কুড়িল। দেড় ঘণ্টা সময়েও তিনি কুড়িল বিশ্বরোড পৌঁছাতে পারেননি। তিনি বলেন, আজ আর বাসার ইফতার কপালে নেই মনে হয়। কী আর বলব, এত রাগ লাগছে। বসে থাকা ছাড়া উপায়ও নেই। সন্ধ্যার আগে সড়কের পাশে বসে অস্থায়ী ইফতারি দোকান। সেখানে পড়ে উপচে পড়া ভিড়। যার কারণে যানজট বাড়ে কিছুটা। এতেই আটকা পড়ে ঘরমুখো মানুষ। অনেকের করতে হয়েছে পথে ইফতারি। যাত্রীরা বলছেন, প্রথম দিনে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে ধারণা ছিল না। বাধ্য হয়ে পরিবার ছাড়া পথেই ইফতারি করে নিতে হচ্ছে তাদের। এই সড়কে দায়িত্বরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, যানজটের মূল কারন তিন দিনের ছুটি। সঙ্গে যোগ হয়েছে ইফতারের বিষয়টা। মানুষ সবাই চাচ্ছে বাসায় গিয়ে ইফতার করতে। এতে সড়কে চাপ বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখার। কিন্তু এই সময়ে এত মানুষ একত্রে বের হন, আমাদের আসলে কিছু করার থাকে না। রমজান মাসে নতুন সময়সূচি সোমবার প্রথমবার চলল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী রমজানে সকাল ৯টায় অফিস শুরু হয়ে চলে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট ছিল নামাজের বিরতি। গত ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্টের এক সার্কুলারে রমজান মাসের জন্য ব্যাংকের অফিস ও লেনদেনের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সূচি অনুযায়ী রমজান মাসে লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। আর অফিস চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আজ সোমবার রোজায় প্রথম লেনদেন হলো ব্যাংকে।
ট্রাফিক গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অন্যদিনের তুলনায় গাড়ির চাপ আজ একটু বেশি। তিনদিন বন্ধ থাকার পর আজ রাজধানীতে সব অফিস খুলেছে। এছাড়া রমজানের কারণে অফিস টাইম একটু পরিবর্তন হয়েছে। সবমিলিয়ে একসঙ্গে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তাই এ যানজট। জানতে চাইলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, রমজান মাস এলেই ঢাকা শহরে যানজট বেড়ে যায়। যানজট নিরসনে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশসহ থানা পুলিশের সদস্যরাও সড়কে বাড়তি ডিউটি করেন। কিন্তু সড়কের দুই পাশ দিয়ে অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাথ দখলসহ যত্রতত্র গাড়ি চলাচলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা শহরের যানজট নিরসন পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা যারা সড়কে চলাচল করি এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
রমজান শুরু আগে যানজট নিরসনে ১৫টি নির্দেশনা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশনাগুলো হলো: ১. ঢাকা মহানগরীতে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের অভ্যন্তরে কোনো বাসই সড়কে রেখে বা থামিয়ে যাত্রী ওঠানো যাবে না। টার্মিনালের ভেতরে থাকা অবস্থায় যাত্রীদের বাসের আসনগ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বাসের প্রতিনিধিদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। ২. ঢাকা মহানগরীতে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাসগুলো টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কের অংশ দখল করে দাঁড়াবে না। ৩. ভ্রমণকালে ঢাকা মহানগরের প্রবেশ ও বাহির পথের গণপরিবহনগুলো শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে যেন কোনো অযাচিত যানজটের সৃষ্টি না হয়। ৪. ঢাকা মহানগরী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে নিবৃত থাকতে হবে। ৫. আন্তঃজেলা পরিবহনের যাত্রীরা বা গমনপ্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভেতরে অবস্থান করতে হবে। ৬. ঢাকা মহানগর থেকে দূরপাল্লার রুট পারমিটবিহীন বা অননুমোদিত রুটে কোনো বাস চলাচল করবে না। বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলবেন এবং কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবেন। ৭. বাসের ভেতরে যাত্রীদের অপরিচিত কারও কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। ৮. সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে টিকিট সঙ্গে রাখবেন। ৯. যাত্রীদের মালামাল নিজ হেফাজতে সাবধানে রাখবেন। ১০. কোনো যানবাহনেই ছাদের ওপর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না। ১১. যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসচালকরা এমন কোনো অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না। এতে সড়কের শৃঙ্খলায় বিঘœ ঘটে ও জীবনহানির শঙ্কা থাকে। ১২. সকালে অফিসে গমনকারীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে রেব হওয়া। ১৩. ইফতার সন্নিকটে বাসায় রওয়ানা না দিয়ে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া। ১৪. স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের ক্ষেত্রে রিকশা, সিএনজি, বাস ইত্যাদি বাহন ব্যবহার না করে হেঁটে যাওয়া। ১৫. টার্মিনালভিত্তিক কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন করতে হবে।