স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : ছোট-বড় অনেক রোগব্যাধিই হবে পগারপার। তেমনই উপকারী দুটি উদ্ভিদ হলো নিম পাতা আর তুলসী।
সারা পৃথিবীর তাবড় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এই দুটি ভেষজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কারণ এই দুই পাতাতেই রয়েছে অগণিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ছোট-বড় রোগকে দূরে রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই এই দুই পাতা সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মুশকিল হলো, এই দুই পাতার মধ্যেও রয়েছে তুল্যমূল্য প্রতিযোগিতা। কারও কারও কাছে নিমপাতা উপকারী তো কেউ কেউ আবার গুণের বিচারে তুলসীকেই এগিয়ে রাখেন। রোগব্যাধি তাড়াতে এই দুই পাতার মধ্যে কোনটা বেশি উপকারি-জেনে নিন।
গুণের রাজা নিম পাতা: এই পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহে প্রদাহের প্রকোপ কমাতে পারে। ফলে নিয়মিত নিম পাতা সেবন করলে একাধিক গুরুতর রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। সেইসঙ্গে এই পাতা ব্লাড সুগারকে বিপদসীমার নীচে নামিয়ে আনার কাজেও একাই একশো। এখানেই শেষ নয়, নিয়মিত নিম পাতা সেবন করলে ত্বক থেকে পেটের সমস্যারও অনায়াসে ছুটি করে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত নিম পাতা খাওয়া চালিয়ে যান।
কম যায় না তুলসীও: ভিটামিন এ, সি, ই, কে, আয়রন, ক্যালশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো একাধিক উপাদানের ভাণ্ডার রয়েছে তুলসীতে। তাই নিয়মিত এই পাতা সেবন করলেই ইমিউনিটি বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে চাঙ্গা। শুধু তাই নয়, এই পাতার গুণে কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগারের মাত্রাকেও বিপদসীমার নীচে নামিয়ে আনতে পারবেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই পাতার সঙ্গে সন্ধি করে নিন। ব্যস, তাহলেই আর রোগের ফাঁদে পড়ার চিন্তা সইতে হবে না।
কোনটা বেশি উপকারী: আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুই পাতার মধ্যে কোনো একটিকে বেছে নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এই দুই পাতাই স্বাস্থ্যগুণে অনন্য। এদের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরের হাল-হকিকত বদলে দিতে পারে। তাই তুলসী ও নিম, এই দুই পাতাই প্রতিদিন খেতে পারেন। এই কাজটা করলেই ক্যানসারসহ একাধিক ঘাতক রোগ প্রতিরোধ করতে পারবেন। এমনকি নিয়ন্ত্রণে থাকবে বেশ কিছু ক্রনিক অসুখও।
নিম পাতা খাবেন কীভাবে: একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি দিনে তিন থেকে পাঁচটি কচি নিম পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। আর চিবিয়ে খেতে যদি সমস্যা হয়, তাহলে পানি দিয়ে গিলে খেয়ে নিতে পারেন। সকালে খালি পেটে নিম পাতা খেলে বেশি উপকার মিলবে। জব্দ থাকবে ছোট-বড় বহু রোগ।
দিনে কতগুলো তুলসী খাওয়া উচিত: ১০ বছরের নীচের বাচ্চাদের দিনে দুটির বেশি তুলসী খাওয়াবেন না। অন্যদিকে, যে কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি দৈনিক চার থেকে পাঁচটি তুলসী সেবন করতেই পারেন। তবে এর বেশি পরিমাণে তুলসী খেলে কিন্তু সমস্যায় পড়বেন। আর নিমের মতো তুলসীও কিন্তু খালি পেটেই খাবেন।
রোগব্যাধি থেকে দূরে থাকতে নিম-তুলসীর দাওয়াই
জনপ্রিয় সংবাদ