রেজাউল করিম : দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছে রেল বিভাগ। রেল ভ্রমণ বা রেলে যাতায়াত কোনো বিলাসিতা নয়। বরং এতে অর্থ ও সময়ের অপচয় রোধ হয়। ফলে অধিকাংশ যাত্রী এখন রেলে যাতায়াতে আগ্রহী। সেই সম্ভাবনাময় খাতটি প্রায়ই সমালোচনার হয়ে ওঠে। এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে রেল খাতের অনিয়ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দিন হাওলাদার রনি এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মহানায়ক।
গত ১৩ জুন রাজশাহী ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ রেলের ওয়েবসাইটে ঢাকা-রাজশাহীর টিকিট কাটার চেষ্টা করেন রনি। অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমে বিকাশ থেকে ভ্যারিফিকেশন কোড পাঠানো হয়। কিন্তু পিন নম্বর দিয়ে সেটা নিশ্চিত করার আগেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টিকিটের মূল্য কাটা হয়। ঘটনার পর তিনি দ্রুত কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলের সার্ভার রুমে অভিযোগ করেন। সেখান থেকে কারণ হিসেবে বলা হয়, সিস্টেমের কারণে এমন হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত না পেলে তাকে অভিযোগ করতে বলা হয়। এরপর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তার বুকিং করা ৬৮০ টাকার আসনটি আরেক যাত্রীর কাছে ১২০০ টাকায় বিক্রি করেন স্টেশনের কম্পিউটার অপারেটর। ১৪ এবং ১৫ জুন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে দুবার অভিযোগ করলেও ফল পাননি তিনি।
এরপর অনিয়মের বিরুদ্ধে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রনির আন্দোলন শুরু। রেলের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে থাকা রনির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ট্রেনের টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি সহজ ডটকমকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ৬ দফা দাবি নিয়ে এখন রনির আন্দোলন চলছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে এককভাবে লড়ে যাওয়াটা সাধারণ মানুষের ঘুম ভাঙিয়েছেন রনি। যদিও রনির পাশে এখন সহপাঠীসহ অনেকেই।
রনির আন্দোলন কি পারবে রেল বিভাগের কালো বিড়ালকে সরাতে? এমন আলোচনা এখন সারা দেশে। তবে চেষ্টা করাটাই বা কম কিসের। এ পক্ষেও অনেকে যুক্তি দেখাচ্ছেন। কালো বিড়ালের কথা উঠলেই আলোচনায় আসেন সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তার সময়েই কালো বিড়ালের জন্ম। ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর রেলমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তখন তিনি রেলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের কথা তুলে ধরেছিলেন। এমনকি তিনি মন্তব্য করেছিলেন, রেলে কালো বিড়াল রয়েছে এবং তা খুঁজে বের করা হবে।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস এবং রেলের দুজন কর্মকর্তাকে নিয়ে বড় অঙ্কের টাকাসহ একটি গাড়ি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি সদর দপ্তরে ঢুকে পড়ে। বিজিবির সদর দপ্তর পিলখানার মূল ফটকে বিপুল অঙ্কের টাকাসহ রেলমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদার, রেলের পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ আলী মৃধা ও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর কমাড্যান্ট এনামুল হক আটক হন। তারা দাবি করেন তারা এই টাকা নিয়ে রেলমন্ত্রীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ওই বছরের ১৭ এপ্রিল এই অভিযোগের ভিত্তিতে দপ্তর থেকে পদত্যাগ করেন মন্ত্রী।
অফিস থেকে রেললাইন পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে রেলের অনিয়ম সমালোচনা নতুন নয়।
সম্প্রতি ৫ মে দিবাগত রাতে পাবনার ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠেন ‘রেলপথমন্ত্রীর আত্মীয়’ পরিচয়দানকারী তিন যাত্রী। টিকিট না কাটলেও তারা রেলের এসি কেবিনের সিট দখল করেন। এতে রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) তাদের জরিমানা করেন। পরে ‘রেলপথমন্ত্রীর আত্মীয়’ পরিচয়দানকারী ওই তিন যাত্রী তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয় বলে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। এতে ওই রাতেই ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রথমে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণকারী সেই ৩ যাত্রীকে আত্মীয় হিসেবে অস্বীকার করেন। টিটিই বরখাস্তের পেছনে তার স্ত্রীর সম্পৃক্ততা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সরাসরি ইউটার্ন নিলেন রেলমন্ত্রী। নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী সেই যাত্রীদের আত্মীয় হিসেবে মেনে নেন রেলমন্ত্রী। অতঃপর তদন্ত কমিটির তদন্তে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় শফিকুল ইসলামকে চাকরিতে পুনর্বহাল রাখেন।
২০১৯ সালের ২৩ জুন রাত ১২টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে খালে পড়ে। লাইনচ্যুত হয় আরও তিনটি বগি। এসময় ৭ জন যাত্রী মারাও যান। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট উদ্ধার কাজ করায় ২০ ঘণ্টা পর ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরদিন বড়ছড়া ব্রিজের নিচে পড়ে থাকা আরেকটি বগি উদ্ধার করতে ফের ৭ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এমন দুর্ভোগ নতুন কিছু নয়। প্রায়ই নজরে পড়ছে। এরপর নিয়মিত আয়োজন। রেলের পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে রেল সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন ও রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মন্ত্রিপরিষদের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সবাই বললেন মানুষ হুমড়ি খেয়ে রেলে ওঠে। তাই এই দুর্ঘটনা।
রেল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে থাকা মানুষের কাছ থেকে আরেকটু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য জাতির প্রত্যাশা ছিল। এই ঘটনার পর সংবাদকর্মীরা নিজ উদ্যোগেই রেল লাইন পর্যবেক্ষণ করে। সংবাদকর্মীদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে রেল দুর্ঘটনা হওয়ার মতো নানা অব্যবস্থাপনা। রেললাইনের বিভিন্ন সংযোগে নাটের পরিবর্তে বাঁশের গোজ লাগিয়ে রাখার ছবি বা সংবাদ প্রকাশ হয়। কাঠের পাটাতনের পরিবর্তে বাঁশের খন্ড ফেলে রাখার সংবাদও পাচ্ছিলাম। রেললাইনে লোহার লম্বা পাত অনায়াসে নাড়ানো যাচ্ছিল। লাইনের এমন অব্যবস্থাপনা কি রেল দুর্ঘটনার জন্য যথেষ্ট নয়?
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় না হয় আলোচিত একটি দুর্ঘটনা। তবে রেললাইনে অন্যভাবেও মৃতের মিছিলের সারি কিন্তু খুব একটা খাটো নয়। রেললাইনে রয়েছে অসংখ্য রেলক্রসিং। ক্রসিং ওভার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ । অধিকাংশ ক্রসিংয়ে নেই কোনো ক্রসিং গেট। আবার কোথাও গেট থাকলেও নেই তার জনবল। ফলে ক্রসিং দিয়ে নির্বিঘেœ পারাপার হচ্ছে মালবাহী যানবাহনসহ পথচারী। ফলে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।
রেলমন্ত্রীরা প্রায়ই বলেন, মানুষ হুমড়ি খেয়ে রেলে উঠেন বলে দুর্ঘটনা হয়। এর মানে রেলে পর্যাপ্ত যাত্রী হচ্ছে। বাস্তবেও তাই। রেলে উঠতে প্রায়ই আগাম টিকিট কাটতে হয়। মাঝেমধ্যেই দেখতে হয় টিকিট নেই। প্রশ্ন হচ্ছে হুমড়ি খেয়ে রেলে উঠলে সরকারের লাভবান হওয়ার কথা, কিন্তু এই খাতে লোকসান কেন হচ্ছে?
২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলের নিট লোকসান ছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৯৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। ওই অর্থবছরে রেলের আয় ছিল ১ হাজার ২৮৯ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আর ব্যয় ছিল ৩ হাজার ১৪২ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের ১০ জুন জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে ওই সময়ের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এ তথ্য জানিয়েছিলেন। যাত্রী তো কম ছিল না। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে যাত্রী ছিল ৬ কোটি ৪৯ লাখ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ৬ কোটি ৭৩ লাখ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭ কোটি ৮০ হাজার এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে যাত্রী ছিল ৭ কোটি ৭৮ লাখ। তাহলে কি তদারকির অভাব?
আসা যাক দুর্ঘটনায়। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব অংশ টাঙ্গাইল থকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইনের ১৭৬ কিলোমিটার সড়কে ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সাত বছরে এই রেললাইনে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ২ হাজার ৭ জন। ট্রেনে কাটা পড়া ও ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়াকেই এসব মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রেলওয়ে পুলিশ। ঢাকা রেলওয়ে থানার হিসাবে ২০১৪ সালে ৩১৮ জন মারা যায়। ২০১৫ সালে ২৮৫ জন, ২০১৩ সালে ৩০৫ জন, ২০১২ সালে ৩০৬ জন, ২০১১ সালে ২১৫ জন ও ২০১০ সালে ২০৩ জন মানুষ ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যায়। এছাড়া বাংলাদেশে রেল পুলিশের হিসাবে ২০১৬ সালে সারা দেশে এক হাজার মানুষ রেললাইনে কাটা পড়ে মারা যায়। ২০১৭ সালে সারা দেশে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই হাজার ১০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা কিন্তু কমছে না। বরং বাড়ছে। বেসরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।
এবার আসা যাক আইনকানুনে। রেল আইন ১৮৯০। এ আইনে রেল চলাচলের জন্য পূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। রেললাইনের আশপাশে যেন কোনো অবৈধ স্থাপনা না উঠতে পারে, এ জন্য কার্যকর আছে রেলের সম্পত্তি (অবৈধ দখল উদ্ধার) অধ্যাদেশ ১৯৭৯। রেলে নিরাপত্তা বাহিনী অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী রেলের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে। রয়েছে রেল পুলিশ (জিআরপি)। ১৮৯০ সালের রেল আইনে রেললাইনের দুই পাশে ১০ ফুটের মধ্য দিয়ে মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ। এমনকি এর মধ্যে গরু-ছাগল ঢুকে পড়লে সেটিকেও নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। রেলে কাটা পড়ে কেউ আহত হলে উল্টো ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই মামলা করতে পারে রেল কর্তৃপক্ষ। এতসব কঠোর নিয়ম থাকার পরও প্রতিবছর এত মৃত্যু কেন?
আধুনিক যুগে এক কিলোমিটার সড়ক পায়ে না হেঁটে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে অটোরিকশার জন্য। এ যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থায় যেমন জনপ্রিয় তেমন গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এ খাতে মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে খরচ করতে প্রস্তুত সেই খাতে লোকসান কেন হবে? সেহেতু নিঃসন্দেহে রেল একটি লাভবান খাত। একটি অটোরিকশা চালিয়ে পরবর্তী বছর মানুষ আরেকটি অটোরিকশা কেনেন। তাহলে রেলে ক্ষতি কেন? বিশে^র বহু দেশ রেল থেকে বড় অঙ্কের মুনাফা অর্জন করছে।
কার্বন-ডাই-অক্সাইড যত বাড়ে, বাতাস তত বিষাক্ত হয়। দেশের বাতাসে নির্গত ২০ শতাংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিবহন থেকে আসে। এর মধ্যে সড়কযান থেকেই নির্গত হয় ৯০ শতাংশ। সড়কপথে প্রতি ট্রাফিক ইউনিট জ্বালানি খরচ রেলপথের চেয়ে সাড়ে তিন গুণ বেশি। সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধবই শুধু নয়, ট্রেন একই সঙ্গে নিরাপদ ও আরামদায়কও। সড়কপথে পরিবহনে পরিবেশদূষণ বেশি; ট্রেনের চেয়ে প্রাইভেট কারে ৮.৩ গুণ এবং ট্রাকে ৩০ গুণ বেশি। আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশে মাথাপিছু কৃষিজমি মাত্র ১০-১১ শতাংশ।
জমি সাশ্রয়ের দিক থেকেও সড়কের চেয়ে রেলপথ বেশি উপকারী। পাঁচটি বড় বাসের যাত্রী একটি ট্রেনে চলাচল করতে পারে। সাশ্রয়ী হওয়ায় পরিবহন হিসেবে গণমানুষের একান্ত নিজের পরিবহন হয়ে উঠেছে ট্রেন। এরকম মহাউপকারী একটি পরিবহন খাত বছরের পর বছর ক্ষয় হচ্ছে অবহেলা, গাফিলতি আর দুর্নীতিতে। রেল বিভাগে কালো বিড়াল চেপে বসেছে। এই ভূতটাকে সরানো জরুরি। অথচ এ খাতে মনোযোগ দিলে ও যতœ নিলে দেশবাসীর মূল্যবান অর্থ ও সময় যেমন সাশ্রয় হতো, যাতায়াত যেমন আরামদায়ক ও নিরাপদ হতো তেমনি দেশও হতে পারত পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সমৃদ্ধ এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান। তবে এই কালো বিড়ালটি রেল থেকে নামবে কবে?
রেলের ১৩ খাতের অনিয়ম চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনিয়ম বন্ধে ১৫টি সুপারিশও করেছে সংস্থাটি। দুদকের প্রতিবেদনে রেলের প্রধান অনিয়ম খাতগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ ভূমি অধিগ্রহণ, রেলের যন্ত্রপাতি ক্রয়, যন্ত্রপাতি স্থাপন, লাইন নির্মাণে দুর্নীতি, যন্ত্রাংশের যথাযথ ব্যবহার না হওয়া ও আমদানিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি, রেলের স্লিপার কারখানা অকার্যকর রেখে আর্থিক ক্ষতি ও এসবে তদারকির অভাবের কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। দুদকের দেওয়া পরামর্শও কাজে আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। রেললাইনের দুর্ঘটনা কমাতে ও এ খাতকে লাভবান করতে একটু যতœ নিন।
লেখক: সংবাদকর্মী।