ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

রেমিট্যান্স ডলারের দাম রেকর্ড ১২৭ টাকা

  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক ডেস্ক: ওভারডিউ পেমেন্টের (বকেয়া পরিশোধ) চাপ, ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং এগ্রিগেটর এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর নানা কৌশলে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১২৭ টাকায় পৌঁছেছে।
অন্তত ৬টি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রেমিট্যান্সের ডলার সংগ্রহ করতে ব্যাংকগুলোকে ১২৬.৫০-১২৭ টাকা পর্যন্ত দাম দিতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটিই ডলার-টাকার সর্বোচ্চ বিনিময় হার।
২০২৩ সালের নভেম্বরে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১২৬ টাকায় পৌঁছেছিল। এতদিন পর্যন্ত সেটিই ছিল ডলারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। এরপর থেকে ডলারের দাম ওঠানামার মধ্যে থাকলেও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর মাসের শুরু দিকে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম ছিল সর্বোচ্চ ১২১.৮০ টাকা। এমনকি গত মাসের শেষ সপ্তাহেও রেমিট্যান্সের ডলার সংগ্রহ করতে সর্বোচ্চ ১২২.৫০ টাকা খরচ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি ডিসেম্বরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্সের ডলারের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। মাত্র ১৩ কর্মদিবসের মধ্যে ডলারের দাম ৪.৫ টাকা বা ৩.৬৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই এ ধরনের দামবৃদ্ধি অস্বাভাবিক। আমাদের বাজারে এখন ডলারের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। তাহলে সেটি এত বেশি নয় যে, দামটা এভাবে বেড়ে যাবে জানান তিনি।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, বছর শেষ হয়ে আসায় অনেক আমদানি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। তেল, রাসায়নিক সার ও রমজানের পণ্য আমদানির জন্য বেশি ডলার প্রয়োজন। এই কারণে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে আগের মতো সব রেমিট্যান্স হাউস থেকে ডলার মিলছে না। কিছু কোম্পানি অন্য ছোট কোম্পানি থেকে ডলার কিনে নিচ্ছে। তাদের কাছ থেকে বেশি দামে আমাদের ডলার নিতে হয়। ফলে দাম বেড়ে যাচ্ছে। তবে সামনের মাসে দাম আবার কমবে।
ডলার মার্কেট এগ্রিগেটর বলতে মূলত আর্থিক মধ্যস্থতাকারীকে বোঝায়- যে বা যারা ডলারের ক্রেতা এবং বিক্রেতা, উভয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এই মধ্যস্থতাকারীরা প্রায়ই ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় হার পেতে একাধিক উৎস থেকে তারল্য সংগ্রহ করে থাকে। এর উদাহরণের মধ্যে রয়েছে— ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, জুম, রেমিটলি, মানিগ্রাম এবং কারেন্সিফেয়ার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে ১১ ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তাদের অনির্ধারিত এক সভায় এগ্রিগেটর এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর এমন দৌরাত্ম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানা গেছে।
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্য তহবিল সংগ্রহে আগামী শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ‘স্পিরিট অব জুলাই’ এবং স্কাইট্র্যাকার লিমিটেড আয়োজিত ‘ইকোস অব রেভলিউশন’ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। এই কনসার্টের বিক্রিত টিকেট হতে আয়োজক সংস্থা কোন অর্থ নেবে না। এছাড়া গায়ক রাহাত ফাতেহ আলী খান ও দল কোন পারিশ্রমিক নেবেন না। বিক্রিত টিকেটের পুরো অর্থ জুলাই বিপ্লবে আহত ও নিহতের পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। কনসার্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক (টিকেট ও ভেন্যু) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
প্রথম সচিব (মূসক বাস্তবায়ন) মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম সই করা বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে। মহতী এই কনসার্ট আয়োজনে আর্মি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ কোন ভাড়া নেবেন না।

আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আর্মি স্টোডিয়ামে ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ এবং ‘স্কাইট্র্যাকার লিমিটেড’ কর্তৃক আয়োজিত ‘একোস অব রেভ্যুলিউশন’ কনসার্টটি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক হতে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। কনসার্টটি আয়োজনে বাংলাদেশ আর্মি স্টোডিয়াম, রাহাত ফাতেহ আলী খানের দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং সংস্থা সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে আয়োজনে সহযোগিতা করছেন। এই আয়োজনে বিক্রিত টিকিটের সকল অর্থ জুলাই বিপ্লবে আহত এবং নিহতদের পরিবারের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে। এটি একটি অ-লাভজনক আয়োজন। সেহেতু, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এনবিআর কনসার্টটি আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মূসক বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে অব্যাহতি প্রদান করল।
শর্তের মধ্যে রয়েছে, মূসক আইনের ধারা ৯২ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কমিশনার এই আদেশের মাধ্যমে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কনসার্টটি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে মূষক ও সম্পূরক শুল্ক মুক্তভাবে প্রদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন; কনসার্টটি মূসক ও প্রযোজ্য সম্পূরক শুল্ক মুক্তভাবে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বা অভিযোগ আপত্তি উত্থাপিত হলে সেক্ষেত্রে মুসক ও সম্পূরক শুল্ক পরিশোধযোগ্য হবে।
অন্যদিকে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে ‘স্পিরিট অব জুলাই কনসার্ট’ আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ওই দিন দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। যানজট এড়াতে এ সময় টোল ছাড়াই বিমানবন্দর, কুড়িল এবং বনানী র‌্যাম্প ব্যবহার করে এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলের সুযোগ থাকবে। ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আর্মি স্টেডিয়ামের আশপাশের সড়কগুলোর যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। টঙ্গী-উত্তরা থেকে গুলশান, বনানী ও মহাখালী অভিমুখী যানবাহন স্টাফ রোড রেলগেট থেকে নেভি হেডকোয়ার্টার্স পর্যন্ত বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তরা থেকে এয়ারপোর্ট হয়ে গুলশান ও বনানীগামী যানবাহন রেডিসন হোটেলের আগে ইউটার্ন অথবা বনানী ওভারপাসের নিচের ইউলুপ দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার সুযোগ পাবে। ইসিবি চত্বর থেকে বনানীগামী যানবাহনের জন্য কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনের র্যা ম্প ব্যবহার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ফেইজ-২

রেমিট্যান্স ডলারের দাম রেকর্ড ১২৭ টাকা

আপডেট সময় : ০৫:৫২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

অর্থনৈতিক ডেস্ক: ওভারডিউ পেমেন্টের (বকেয়া পরিশোধ) চাপ, ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং এগ্রিগেটর এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর নানা কৌশলে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১২৭ টাকায় পৌঁছেছে।
অন্তত ৬টি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রেমিট্যান্সের ডলার সংগ্রহ করতে ব্যাংকগুলোকে ১২৬.৫০-১২৭ টাকা পর্যন্ত দাম দিতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটিই ডলার-টাকার সর্বোচ্চ বিনিময় হার।
২০২৩ সালের নভেম্বরে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১২৬ টাকায় পৌঁছেছিল। এতদিন পর্যন্ত সেটিই ছিল ডলারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। এরপর থেকে ডলারের দাম ওঠানামার মধ্যে থাকলেও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর মাসের শুরু দিকে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম ছিল সর্বোচ্চ ১২১.৮০ টাকা। এমনকি গত মাসের শেষ সপ্তাহেও রেমিট্যান্সের ডলার সংগ্রহ করতে সর্বোচ্চ ১২২.৫০ টাকা খরচ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি ডিসেম্বরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্সের ডলারের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। মাত্র ১৩ কর্মদিবসের মধ্যে ডলারের দাম ৪.৫ টাকা বা ৩.৬৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই এ ধরনের দামবৃদ্ধি অস্বাভাবিক। আমাদের বাজারে এখন ডলারের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। তাহলে সেটি এত বেশি নয় যে, দামটা এভাবে বেড়ে যাবে জানান তিনি।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, বছর শেষ হয়ে আসায় অনেক আমদানি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। তেল, রাসায়নিক সার ও রমজানের পণ্য আমদানির জন্য বেশি ডলার প্রয়োজন। এই কারণে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে আগের মতো সব রেমিট্যান্স হাউস থেকে ডলার মিলছে না। কিছু কোম্পানি অন্য ছোট কোম্পানি থেকে ডলার কিনে নিচ্ছে। তাদের কাছ থেকে বেশি দামে আমাদের ডলার নিতে হয়। ফলে দাম বেড়ে যাচ্ছে। তবে সামনের মাসে দাম আবার কমবে।
ডলার মার্কেট এগ্রিগেটর বলতে মূলত আর্থিক মধ্যস্থতাকারীকে বোঝায়- যে বা যারা ডলারের ক্রেতা এবং বিক্রেতা, উভয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এই মধ্যস্থতাকারীরা প্রায়ই ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় হার পেতে একাধিক উৎস থেকে তারল্য সংগ্রহ করে থাকে। এর উদাহরণের মধ্যে রয়েছে— ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, জুম, রেমিটলি, মানিগ্রাম এবং কারেন্সিফেয়ার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে ১১ ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তাদের অনির্ধারিত এক সভায় এগ্রিগেটর এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর এমন দৌরাত্ম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানা গেছে।
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্য তহবিল সংগ্রহে আগামী শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ‘স্পিরিট অব জুলাই’ এবং স্কাইট্র্যাকার লিমিটেড আয়োজিত ‘ইকোস অব রেভলিউশন’ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। এই কনসার্টের বিক্রিত টিকেট হতে আয়োজক সংস্থা কোন অর্থ নেবে না। এছাড়া গায়ক রাহাত ফাতেহ আলী খান ও দল কোন পারিশ্রমিক নেবেন না। বিক্রিত টিকেটের পুরো অর্থ জুলাই বিপ্লবে আহত ও নিহতের পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। কনসার্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক (টিকেট ও ভেন্যু) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
প্রথম সচিব (মূসক বাস্তবায়ন) মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম সই করা বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে। মহতী এই কনসার্ট আয়োজনে আর্মি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ কোন ভাড়া নেবেন না।

আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আর্মি স্টোডিয়ামে ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ এবং ‘স্কাইট্র্যাকার লিমিটেড’ কর্তৃক আয়োজিত ‘একোস অব রেভ্যুলিউশন’ কনসার্টটি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক হতে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। কনসার্টটি আয়োজনে বাংলাদেশ আর্মি স্টোডিয়াম, রাহাত ফাতেহ আলী খানের দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং সংস্থা সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে আয়োজনে সহযোগিতা করছেন। এই আয়োজনে বিক্রিত টিকিটের সকল অর্থ জুলাই বিপ্লবে আহত এবং নিহতদের পরিবারের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে। এটি একটি অ-লাভজনক আয়োজন। সেহেতু, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এনবিআর কনসার্টটি আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মূসক বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে অব্যাহতি প্রদান করল।
শর্তের মধ্যে রয়েছে, মূসক আইনের ধারা ৯২ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কমিশনার এই আদেশের মাধ্যমে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কনসার্টটি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে মূষক ও সম্পূরক শুল্ক মুক্তভাবে প্রদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন; কনসার্টটি মূসক ও প্রযোজ্য সম্পূরক শুল্ক মুক্তভাবে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বা অভিযোগ আপত্তি উত্থাপিত হলে সেক্ষেত্রে মুসক ও সম্পূরক শুল্ক পরিশোধযোগ্য হবে।
অন্যদিকে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে ‘স্পিরিট অব জুলাই কনসার্ট’ আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ওই দিন দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। যানজট এড়াতে এ সময় টোল ছাড়াই বিমানবন্দর, কুড়িল এবং বনানী র‌্যাম্প ব্যবহার করে এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলের সুযোগ থাকবে। ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আর্মি স্টেডিয়ামের আশপাশের সড়কগুলোর যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। টঙ্গী-উত্তরা থেকে গুলশান, বনানী ও মহাখালী অভিমুখী যানবাহন স্টাফ রোড রেলগেট থেকে নেভি হেডকোয়ার্টার্স পর্যন্ত বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তরা থেকে এয়ারপোর্ট হয়ে গুলশান ও বনানীগামী যানবাহন রেডিসন হোটেলের আগে ইউটার্ন অথবা বনানী ওভারপাসের নিচের ইউলুপ দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার সুযোগ পাবে। ইসিবি চত্বর থেকে বনানীগামী যানবাহনের জন্য কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনের র্যা ম্প ব্যবহার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।