ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

রেকর্ড রানের পর নিউ জিল্যান্ডের সিরিজ জয়

  • আপডেট সময় : ১০:১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা যেন পণ করে নেমেছিলেন- তুলোধুনা করতে হবে প্রতিপক্ষের বোলারদের! প্রথম ছয় জনের পাঁচ জনই উপহার দিলেন ঝড়ো ইনিংস। তাতে কিউইরা পেল রেকর্ড সংগ্রহ। স্কটল্যান্ড যেতে পারল না ধারেকাছেও। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শুক্রবার নিউ জিল্যান্ড জিতল ১০২ রানে। দুই ম্যাচের সিরিজ তারা জিতে নিল ২-০ তে। স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায় ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান করে সফরকারীরা। এই সংস্করণে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর এটি। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৪৩ রান ছিল দলটির আগের রেকর্ড। পরের মাসে অকল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও তারা ২৪৩ রান করেছিল, ৬ উইকেট হারিয়ে। নিউ জিল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদান মার্ক চ্যাপম্যানের। গত বছরের নভেম্বরের পর প্রথমবার এই সংস্করণে খেলতে নেমে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৪ বলে ৭ ছক্কা ও ৫ চারে করেন ৮৩ রান।
স্রেফ ২৫ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৬১ রান করেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। জেমস নিশাম ১২ বলে ৩ ছক্কা ও একটি চারে করেন ২৮ রান। নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসে ছক্কা হয়েছে মোট ১৮টি, এক ইনিংসে যা তাদের সর্বোচ্চ। ১৮টি করে ছক্কা মেরেছে তারা আরও দুবার, দুবারই প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও কখনও ম্যাচে ছিল না স্কটল্যান্ড। ৯ উইকেট হারিয়ে তারা করতে পারে ১৫২ রান। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে ফিন অ্যালেনকে হারায় নিউ জিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এবার যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। আরেক ওপেনার ড্যান ক্লিভার ১৬ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় করেন ২৮ রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৩৩ বলে ৬২ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন চ্যাপম্যান ও ড্যারিল মিচেল। ১৯ বলে ৩ ছক্কায় মিচেল থামেন ৩১ রান করে। ব্রেসওয়েল আউট হতে পারতেন শূন্য রানে। কিন্তু এক্সট্রা কাভারে তার ক্যাচ নিতে পারেননি স্কটিশ অধিনায়ক রিচি বেরিংটন।
বাঁহাতি স্পিনার হামজা তাহিরের একই ওভারে তিন ছক্কার পর চ্যাপম্যান ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন ২৭ বলে। ৫৬ রানে তিনি জীবন পান ফিল্ডার ক্যাচ ফেলায়। ষোড়শ ওভারে তার ক্যারিয়ার সেরা ৮৩ রানের ইনিংস থামে ক্যাচ আউটেই। জীবন পেয়ে ব্রেসওয়েল চালান তা-ব। অ্যালাসডাইর ইভান্সের এক ওভারে দুই ছক্কা ও তিন চারের পথে তিনি প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন স্রেফ ২২ বলে। নিশামের সঙ্গে তার ২৯ বলে ৭৯ রানের বিস্ফোরক জুটিতে আড়াইশ ছাড়ায় নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ। রান তাড়ায় শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। তাদের হারের ব্যবধানটাও তাই হয় বড়। ক্রিস গ্রিভস সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন ২৯ বলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে বেরিংটনের ব্যাট থেকে। গত এপ্রিলেও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা মাইকেল রিপন এই ম্যাচে খেলেন তাদের হয়েই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৯ ওয়ানডে ও ১৮ টি-টোয়েন্টি খেলার পর নিউ জিল্যান্ডকে প্রতিনিধিত্ব করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাঁহাতি এই রিস্ট স্পিনার কিউইদের জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নেমে ২টি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে রান দেন ৩৭। নিশাম ২ উইকেট নেন ৯ রানে। একই মাঠে আগামী সোমবার একমাত্র ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রেকর্ড রানের পর নিউ জিল্যান্ডের সিরিজ জয়

আপডেট সময় : ১০:১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা যেন পণ করে নেমেছিলেন- তুলোধুনা করতে হবে প্রতিপক্ষের বোলারদের! প্রথম ছয় জনের পাঁচ জনই উপহার দিলেন ঝড়ো ইনিংস। তাতে কিউইরা পেল রেকর্ড সংগ্রহ। স্কটল্যান্ড যেতে পারল না ধারেকাছেও। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শুক্রবার নিউ জিল্যান্ড জিতল ১০২ রানে। দুই ম্যাচের সিরিজ তারা জিতে নিল ২-০ তে। স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায় ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান করে সফরকারীরা। এই সংস্করণে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর এটি। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৪৩ রান ছিল দলটির আগের রেকর্ড। পরের মাসে অকল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও তারা ২৪৩ রান করেছিল, ৬ উইকেট হারিয়ে। নিউ জিল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদান মার্ক চ্যাপম্যানের। গত বছরের নভেম্বরের পর প্রথমবার এই সংস্করণে খেলতে নেমে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৪ বলে ৭ ছক্কা ও ৫ চারে করেন ৮৩ রান।
স্রেফ ২৫ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৬১ রান করেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। জেমস নিশাম ১২ বলে ৩ ছক্কা ও একটি চারে করেন ২৮ রান। নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসে ছক্কা হয়েছে মোট ১৮টি, এক ইনিংসে যা তাদের সর্বোচ্চ। ১৮টি করে ছক্কা মেরেছে তারা আরও দুবার, দুবারই প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও কখনও ম্যাচে ছিল না স্কটল্যান্ড। ৯ উইকেট হারিয়ে তারা করতে পারে ১৫২ রান। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে ফিন অ্যালেনকে হারায় নিউ জিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এবার যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। আরেক ওপেনার ড্যান ক্লিভার ১৬ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় করেন ২৮ রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৩৩ বলে ৬২ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন চ্যাপম্যান ও ড্যারিল মিচেল। ১৯ বলে ৩ ছক্কায় মিচেল থামেন ৩১ রান করে। ব্রেসওয়েল আউট হতে পারতেন শূন্য রানে। কিন্তু এক্সট্রা কাভারে তার ক্যাচ নিতে পারেননি স্কটিশ অধিনায়ক রিচি বেরিংটন।
বাঁহাতি স্পিনার হামজা তাহিরের একই ওভারে তিন ছক্কার পর চ্যাপম্যান ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন ২৭ বলে। ৫৬ রানে তিনি জীবন পান ফিল্ডার ক্যাচ ফেলায়। ষোড়শ ওভারে তার ক্যারিয়ার সেরা ৮৩ রানের ইনিংস থামে ক্যাচ আউটেই। জীবন পেয়ে ব্রেসওয়েল চালান তা-ব। অ্যালাসডাইর ইভান্সের এক ওভারে দুই ছক্কা ও তিন চারের পথে তিনি প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন স্রেফ ২২ বলে। নিশামের সঙ্গে তার ২৯ বলে ৭৯ রানের বিস্ফোরক জুটিতে আড়াইশ ছাড়ায় নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ। রান তাড়ায় শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। তাদের হারের ব্যবধানটাও তাই হয় বড়। ক্রিস গ্রিভস সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন ২৯ বলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে বেরিংটনের ব্যাট থেকে। গত এপ্রিলেও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা মাইকেল রিপন এই ম্যাচে খেলেন তাদের হয়েই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৯ ওয়ানডে ও ১৮ টি-টোয়েন্টি খেলার পর নিউ জিল্যান্ডকে প্রতিনিধিত্ব করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাঁহাতি এই রিস্ট স্পিনার কিউইদের জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নেমে ২টি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে রান দেন ৩৭। নিশাম ২ উইকেট নেন ৯ রানে। একই মাঠে আগামী সোমবার একমাত্র ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।