ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

রেকর্ড ভাঙা চাহিদা দেখছে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির খাত

  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : ২০২৩ সালে বিক্রি হওয়া বিশ্বের প্রতি পাঁচটি গাড়ির একটি হবে বিদ্যুচ্চালিত। এই ধরনের গাড়ির চাহিদা ব্যপক হারে বেড়ে যাওয়ার পর এমন তথ্যই উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
গেল বুধবার প্যারিসভিত্তিক আন্তঃসরকারী সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)’ জানিয়েছে, গত বছর প্রথমবারের মতো বৈশ্বিকভাবে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বা ‘ইভি’র বিক্রি এক কোটির লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করেছে। অনুমান বলছে, ২০২৩ সালে এই সংখ্যা আরও ৩৫ শতাংশ বাড়তে পারে।
২০২২ সালে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বিক্রির ৬০ শতাংশই এসেছে চীন থেকে। আর এখন বিশ্বের সকল ইভি’র অর্ধেকই এই দেশে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
“নতুন বৈশ্বিক অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বিদ্যুচ্চালিত যানবাহন, যা ক্রমাগত বাড়ছে। আর এগুলো বৈশ্বিক গাড়ি উৎপাদন শিল্পেও ঐতিহাসিক পরিবর্তন বয়ে আনছে।” –বলেন আইইএ’র নির্বাহী পরিচালক ফেইথ বিরল। “আমরা যেসব প্রবণতা লক্ষ্য করছি, তার সঙ্গে বৈশ্বিক তেলের চাহিদার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। প্রচলিত জীবাস্মজ্বলানীভিত্তিক ইঞ্জিন শতাব্দীর বেশি সময় ধরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও বিদ্যুচ্চালিত যানবাহন সে পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে।” “গাড়ি কেবল এই খাতের প্রথম ঢেউ: সামনের দিকে বিদ্যুচ্চালিত বাস এমনকি ট্রাকও আসবে।”
আইইএ’র অনুমান বলছে, বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির মালিকানা বৃদ্ধি প্রতিদিন অন্তত ৫০ লাখ ব্যারেল তেলের চাহিদা কমিয়ে দেবে। পূর্বাভাস মিলেছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির উৎপাদন খরচ তেলে চলা যানবাহনের তুলনায় কমে আসবে। “আমাদের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা, ২০২০’র দশকের মাঝামাঝি সময়ে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বাজারে আমরা যেন বিভিন্ন ছোট ও মাঝারি আকারের বিদ্যুচ্চালিত গাড়িতে দামের সমতা দেখতে পাই।”–বলেন আইইএ’র ‘এনার্জি টেকনলজি পলিসি’ বিভাগের প্রধান টিমার গুয়েল। এসইউভি ও পিকআপ গাড়ির মতো তুলনামূলক বড় যানবাহনের বেলায়, ওই সমতা আসতে আরও দেরি হতে পারে বলে জানান তিনি। তার মতে, সেটা হতে পারে ২০৩০’র দশকে। আগামী কয়েক বছরে গাড়ি চার্জ করার সময় ‘আল্ট্রা ফাস্ট’ করা, ব্যাটারির ঘনত্ব বাড়ানো ও উন্নত কার্যকারিতা দেখানোর মতো অন্যান্য অগ্রগতিও বাস্তবায়িত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রেকর্ড ভাঙা চাহিদা দেখছে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির খাত

আপডেট সময় : ০৯:১৫:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : ২০২৩ সালে বিক্রি হওয়া বিশ্বের প্রতি পাঁচটি গাড়ির একটি হবে বিদ্যুচ্চালিত। এই ধরনের গাড়ির চাহিদা ব্যপক হারে বেড়ে যাওয়ার পর এমন তথ্যই উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
গেল বুধবার প্যারিসভিত্তিক আন্তঃসরকারী সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)’ জানিয়েছে, গত বছর প্রথমবারের মতো বৈশ্বিকভাবে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বা ‘ইভি’র বিক্রি এক কোটির লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করেছে। অনুমান বলছে, ২০২৩ সালে এই সংখ্যা আরও ৩৫ শতাংশ বাড়তে পারে।
২০২২ সালে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বিক্রির ৬০ শতাংশই এসেছে চীন থেকে। আর এখন বিশ্বের সকল ইভি’র অর্ধেকই এই দেশে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
“নতুন বৈশ্বিক অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বিদ্যুচ্চালিত যানবাহন, যা ক্রমাগত বাড়ছে। আর এগুলো বৈশ্বিক গাড়ি উৎপাদন শিল্পেও ঐতিহাসিক পরিবর্তন বয়ে আনছে।” –বলেন আইইএ’র নির্বাহী পরিচালক ফেইথ বিরল। “আমরা যেসব প্রবণতা লক্ষ্য করছি, তার সঙ্গে বৈশ্বিক তেলের চাহিদার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। প্রচলিত জীবাস্মজ্বলানীভিত্তিক ইঞ্জিন শতাব্দীর বেশি সময় ধরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও বিদ্যুচ্চালিত যানবাহন সে পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে।” “গাড়ি কেবল এই খাতের প্রথম ঢেউ: সামনের দিকে বিদ্যুচ্চালিত বাস এমনকি ট্রাকও আসবে।”
আইইএ’র অনুমান বলছে, বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির মালিকানা বৃদ্ধি প্রতিদিন অন্তত ৫০ লাখ ব্যারেল তেলের চাহিদা কমিয়ে দেবে। পূর্বাভাস মিলেছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির উৎপাদন খরচ তেলে চলা যানবাহনের তুলনায় কমে আসবে। “আমাদের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা, ২০২০’র দশকের মাঝামাঝি সময়ে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বাজারে আমরা যেন বিভিন্ন ছোট ও মাঝারি আকারের বিদ্যুচ্চালিত গাড়িতে দামের সমতা দেখতে পাই।”–বলেন আইইএ’র ‘এনার্জি টেকনলজি পলিসি’ বিভাগের প্রধান টিমার গুয়েল। এসইউভি ও পিকআপ গাড়ির মতো তুলনামূলক বড় যানবাহনের বেলায়, ওই সমতা আসতে আরও দেরি হতে পারে বলে জানান তিনি। তার মতে, সেটা হতে পারে ২০৩০’র দশকে। আগামী কয়েক বছরে গাড়ি চার্জ করার সময় ‘আল্ট্রা ফাস্ট’ করা, ব্যাটারির ঘনত্ব বাড়ানো ও উন্নত কার্যকারিতা দেখানোর মতো অন্যান্য অগ্রগতিও বাস্তবায়িত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।