ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫

রেকর্ড দর্শকের ম্যাচে মায়ামির জয়

  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: লিওনেল মেসির ম্যাজিক দেখার তীব্র চাহিদা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, কলম্বাস ক্রুর নির্ধারিত হোম ম্যাচ সরিয়ে নিতে বাধ্য হলো আয়োজকরা। কলম্বাস শহরের মাঠের ধারণক্ষমতা ছিল মাত্র ২০ হাজারের কিছু বেশি, কিন্তু সেটি যথেষ্ট ছিল না। ফলে ম্যাচটি স্থানান্তরিত হলো প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার দূরে, ক্লিভল্যান্ড ব্রাউন্সের হোমগ্রাউন্ড হান্টিংটন ব্যাংক ফিল্ডে, যার ধারণক্ষমতা প্রায় ৬৭,০০০। স্টেডিয়াম পুরোপুরি না ভরলেও, মাঠে এ দিন দর্শক ছিল ৬০ হাজার ৬১৪ জন -যা কলম্বাস ক্রুর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। মেসিকে ঘিরে তৈরি হওয়া এই উন্মাদনায় ম্যাচটি রূপ নেয় এক বিশাল উৎসবে।

মেসিদের জয়যাত্রাও চলতে থাকল। মেজর লিগ সকারে লড়াইটি ছিল মৌসুমের অপরাজিত দুই দলের। সেটিতে কলম্বাস ক্রুকে ১-০ গোলে হারিয়ে লিগের একমাত্র অপরাজিত দল এখন ইন্টার মায়ামি। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালের এই ম্যাচের ৩০তম মিনিটে দুর্দান্ত ডাইভিং হেডে গোলটি করেন বেনহামিন ক্রেমাস্কি। গ্যালারিতে তাকিয়ে অবশ্য বোঝার উপায় ছিল না, কোন দলের ঘরের মাঠ এটি। মায়ামির গোলাপি জার্সি গায়ে দর্শক ছিল ঘরের দলের হলুদ জার্সির দর্শকের প্রায় সমানে সমান। যাকে দেখার জন্য এত উন্মাদনা, সেই মেসি অবশ্য ততটা জ্বলে উঠতে পারেননি। ২৯তম মিনিটে দুর্দান্ত দলীয় আক্রমণ থেকে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল কলম্বাস। শেষ মুহূর্তে আঙুলের ছোঁয়ায় মায়ামিকে রক্ষা করেন অস্কার উস্তারি। এরপরই ক্রেমাস্কির দুর্দান্ত হেডে এগিয়ে যায় মায়ামি। ২০ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের এটি মৌসুমে প্রথম গোল।

৪২তম মিনিটে বক্সের ভেতর বল নিয়ে কারিকুরি করে ডিফেন্ডারকে বিভ্রান্ত করে শট নিয়েছিলেন মেসি, তবে একজনের পায়ে লেগে তা চলে যায় বাইরে। গোলের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিলেন তিনি প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে তার বাঁকানো শট একটুর জন্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে কলম্বাস ক্রু বেশ কয়েকটি বিপজ্জনক আক্রমণ করেও সফল হয়নি। তিন দফায় মায়ামিকে রক্ষা করেন গোলকিপার উস্তারি। ক্রুর আক্রমণভাগের ব্যর্থতাও ছিল কিছু। একদম শেষ সময়ে খুব কাছ থেকেও ফাঁকা পোস্টে বল পাঠাতে পারেনি দানিয়েল গজদগ। আট ম্যাচে পাঁচ জয় আর তিন ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট কালিতার তিনে মায়ামি। এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৯ পয়েন্ট শার্লট এফসি ও সিনসিনাটি এফসির।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

রেকর্ড দর্শকের ম্যাচে মায়ামির জয়

আপডেট সময় : ০৭:০৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: লিওনেল মেসির ম্যাজিক দেখার তীব্র চাহিদা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, কলম্বাস ক্রুর নির্ধারিত হোম ম্যাচ সরিয়ে নিতে বাধ্য হলো আয়োজকরা। কলম্বাস শহরের মাঠের ধারণক্ষমতা ছিল মাত্র ২০ হাজারের কিছু বেশি, কিন্তু সেটি যথেষ্ট ছিল না। ফলে ম্যাচটি স্থানান্তরিত হলো প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার দূরে, ক্লিভল্যান্ড ব্রাউন্সের হোমগ্রাউন্ড হান্টিংটন ব্যাংক ফিল্ডে, যার ধারণক্ষমতা প্রায় ৬৭,০০০। স্টেডিয়াম পুরোপুরি না ভরলেও, মাঠে এ দিন দর্শক ছিল ৬০ হাজার ৬১৪ জন -যা কলম্বাস ক্রুর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। মেসিকে ঘিরে তৈরি হওয়া এই উন্মাদনায় ম্যাচটি রূপ নেয় এক বিশাল উৎসবে।

মেসিদের জয়যাত্রাও চলতে থাকল। মেজর লিগ সকারে লড়াইটি ছিল মৌসুমের অপরাজিত দুই দলের। সেটিতে কলম্বাস ক্রুকে ১-০ গোলে হারিয়ে লিগের একমাত্র অপরাজিত দল এখন ইন্টার মায়ামি। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালের এই ম্যাচের ৩০তম মিনিটে দুর্দান্ত ডাইভিং হেডে গোলটি করেন বেনহামিন ক্রেমাস্কি। গ্যালারিতে তাকিয়ে অবশ্য বোঝার উপায় ছিল না, কোন দলের ঘরের মাঠ এটি। মায়ামির গোলাপি জার্সি গায়ে দর্শক ছিল ঘরের দলের হলুদ জার্সির দর্শকের প্রায় সমানে সমান। যাকে দেখার জন্য এত উন্মাদনা, সেই মেসি অবশ্য ততটা জ্বলে উঠতে পারেননি। ২৯তম মিনিটে দুর্দান্ত দলীয় আক্রমণ থেকে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল কলম্বাস। শেষ মুহূর্তে আঙুলের ছোঁয়ায় মায়ামিকে রক্ষা করেন অস্কার উস্তারি। এরপরই ক্রেমাস্কির দুর্দান্ত হেডে এগিয়ে যায় মায়ামি। ২০ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের এটি মৌসুমে প্রথম গোল।

৪২তম মিনিটে বক্সের ভেতর বল নিয়ে কারিকুরি করে ডিফেন্ডারকে বিভ্রান্ত করে শট নিয়েছিলেন মেসি, তবে একজনের পায়ে লেগে তা চলে যায় বাইরে। গোলের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিলেন তিনি প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে তার বাঁকানো শট একটুর জন্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে কলম্বাস ক্রু বেশ কয়েকটি বিপজ্জনক আক্রমণ করেও সফল হয়নি। তিন দফায় মায়ামিকে রক্ষা করেন গোলকিপার উস্তারি। ক্রুর আক্রমণভাগের ব্যর্থতাও ছিল কিছু। একদম শেষ সময়ে খুব কাছ থেকেও ফাঁকা পোস্টে বল পাঠাতে পারেনি দানিয়েল গজদগ। আট ম্যাচে পাঁচ জয় আর তিন ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট কালিতার তিনে মায়ামি। এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৯ পয়েন্ট শার্লট এফসি ও সিনসিনাটি এফসির।