ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রেকর্ড উচ্চতায় রিজার্ভ

  • আপডেট সময় : ০২:০৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বের অনেক দেশ অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে এই মহামারির মধ্যেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ে (রিজার্ভ) ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া তথ্য মতে, ১৭ জুন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ রেকর্ড ৪৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন বা প্রায় চার হাজার ৫৪৬ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে রিজার্ভের পরিমাণ ৩ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। এই সংখ্যা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। চলতি বছরের ১৭ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ২৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বা ৯ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের শুরুতে অর্থাৎ ৩০ জুন যা ছিল ৩৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ- এই ৯টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ বাংলাদেশের এই বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ১১ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ৩ মে দেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। একইদিনে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ৪৪.০২ বিলিয়ন। তারও আগে ৩০ ডিসেম্বর রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ১৫ ডিসেম্বর ৪২ মিলিয়ন ডলার এবং ২৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে দেশের রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) দেশে রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) এসেছে ২ হাজার ২৮৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। দেশে এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর চলতি অর্থবছরে ১১ মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাসিনার সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়ায় বাড়ি ভাঙার ঘটনা: অন্তর্বর্তী সরকার

রেকর্ড উচ্চতায় রিজার্ভ

আপডেট সময় : ০২:০৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বের অনেক দেশ অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে এই মহামারির মধ্যেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ে (রিজার্ভ) ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া তথ্য মতে, ১৭ জুন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ রেকর্ড ৪৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন বা প্রায় চার হাজার ৫৪৬ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে রিজার্ভের পরিমাণ ৩ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। এই সংখ্যা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। চলতি বছরের ১৭ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ২৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বা ৯ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের শুরুতে অর্থাৎ ৩০ জুন যা ছিল ৩৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ- এই ৯টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ বাংলাদেশের এই বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ১১ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ৩ মে দেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। একইদিনে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ৪৪.০২ বিলিয়ন। তারও আগে ৩০ ডিসেম্বর রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ১৫ ডিসেম্বর ৪২ মিলিয়ন ডলার এবং ২৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে দেশের রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) দেশে রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) এসেছে ২ হাজার ২৮৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। দেশে এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর চলতি অর্থবছরে ১১ মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।