প্রত্যাশা ডেস্ক: আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে মানুষ কত কিছুই না করে থাকেন। তার নমুনা আমরা প্রায়ই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম খুললেই দেখি। যা আমাদের অনেকসময় বিচলিত করে তোলে। ভাইরাল হওয়ার আশায় দুঃসাহসিক কাজ করে বসেন অনেকে। যেখানে থাকে জীবনের ঝুঁকি।
এবার বিশ্বরেকর্ড করতে শরীরে আগুন ধরিয়ে বাইক চালালেন ৪১ বছর বয়সি জোনাথন ভেরো। শরীরে আগুন ধরিয়ে ৪৪২.১০ মিটার (১,৪৫০ ফুট) বাইক চালিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেন তিনি। যদিও এটি তার প্রথম বিশ্বরেকর্ড নয়, এটি তৃতীয়।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে, জোনাথন ১৭ সেকেন্ডের মধ্যে অক্সিজেন ছাড়া ১০০ মিটার দ্রুততম ফুল বডি বার্ন দৌড় এবং ২৭২.২৫ মিটার (৮৯৩ ফুট ২.৫ ইঞ্চি) অক্সিজেন ছাড়া দীর্ঘতম দূরত্বের ফুল বডি বার্ন দৌড়ের রেকর্ড স্থাপন করেন। ৪১ বছর বয়সী জোনাথন তার দৈনন্দিন কাজে আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। তিনি একজন প্রশিক্ষিত স্টান্টম্যান এবং অগ্নি নির্বাপকও। তবে আগের দুটি রেকর্ডের সময়, তার শরীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় পুড়ে গিয়েছিল এবং অসুস্থ বোধ করছিলেন। এই পারফর্মেন্সগুলো থেকে শারীরিকভাবে সেরে উঠতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগেছিল তার। তবে ছোটবেলায় পড়া রেকর্ড বইয়ে নাম লেখাতে পেরে গর্বিত জোনাথন। তবে এবারের রেকর্ডে খুব বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হোননি। তবে যে স্যুটটি পরেছিলেন সেটি ছিল অনেকভারী এবং বাইকের অবস্থানটি অস্বস্তিকর। সব মিলিয়ে কিছুটা ক্লান্ত হলেও সুস্থ আছেন পুরোপুরি।
এই রেকর্ড ছিল খুবই চ্যালেঞ্জিং। জোনাথনের রেকর্ড প্রচেষ্টায় অনেক বিপজ্জনক উপাদান ছিল। তিনি বলেন, আগুনে জ্বলন্ত মোটরসাইকেল চালানো খুবই বিপজ্জনক এবং জটিল। আপনি পড়ে যেতে পারেন, মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যেতে পারে এবং আপনার নিরাপত্তা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এই পারফরম্যান্স অর্জনের জন্য বাইকটিকে আগুন প্রতিরোধী করে তুলতে পরিবর্তন করতে হয়েছিল। তারপর বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ধরনের আবহাওয়ায় আগুনের উপর চড়ার অনুশীলন করেছেন তিনি। ভাগ্যক্রমে, পারফরম্যান্সের দিন আবহাওয়া দুর্দান্ত ছিল এবং ট্র্যাকটি নিখুঁত ছিল, তাই প্রশিক্ষণে যা করেছেন তা পুনরুৎপাদন করতে পেরেছেন। আগুনে থাকা অবস্থায় যতটা সম্ভব দূরত্ব অতিক্রম করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই জোনাথনের আগুন এবং স্টান্টের প্রতি একটা ঝোঁক ছিল। মোটরবাইক চালাতে ভালোবাসতেন এবং তার প্রিয় কমিক বইয়ের চরিত্র ঘোস্ট রাইডারকে শ্রদ্ধা জানাতে এই রেকর্ড ভাঙতে চেয়েছিলেন। অবশেষে তা করতে পেরেছেন তিনি। সূত্র: গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস