ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রেকর্ডগড়া বিপিএলে তাসকিনের ধারেকাছে নেই কেউ

  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: তিন উইকেট নিয়ে আসরের শুরু। পরের ম্যাচে রেকর্ড বইয়ের পাতা ওলটপালট করে সাত উইকেট। এমন উড়ন্ত সূচনার পর বিপিএলের পরের অংশেও ডানা মেলে ভাসতে থাকেন তাসকিন আহমেদ। দল হিসেবে দুর্বার রাজশাহী তেমন ভালো না করলেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে অভিজ্ঞ পেসারই রয়ে যান সবার ওপরে। আসরজুড়ে একাধিক রেকর্ড গড়ে এবারের বিপিএলের সেরা বোলার তাসকন। ট্রফির পাশাপাশি তিনি পুরস্কান পান ৫ লাখ টাকা।

ফাইনালে ৫টি উইকেট নিতে পারলে তাসকিনকে ছুঁতে পারতেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। কিন্তু আসরজুড়ে দারুণ পারফর্ম করা চিটাগং কিংসের পেসার ফাইনালে আঁটসাঁট বোলিং করলেও উইকেটের দেখা পাননি একটিও।
তাসকিন আহমেদ – ১২ ইনিংসে ২৫ উইকেট

টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে নিজেদের নামের স্বার্থকতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ ছিল দুর্বার রাজশাহী। তবে শুরু থেকে সত্যিকার অর্থেই দুর্বার ছিলেন তাসকিন । ধারাবাহিক বোলিংয়ে এবারের আসরে একাধিক রেকর্ড গড়েন অভিজ্ঞ পেসার। সব মিলিয়ে ১২ ইনিংসে ২৫ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন সাড়ে ৬ রানের কম। বিপিএলের এক আসরে এটিই সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। ২০১৯ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ২৩ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ২৯ বছর বয়সী পেসার। পরের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের ব্যাটিং একাই গুঁড়িয়ে দেন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করে নেন ৭ উইকেট। বিপিএলে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো বোলারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এক ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া বিশ্বের মাত্র তৃতীয় বোলার তাসকিন। প্রথম দুই ম্যচে ১০ উইকেট পাওয়া তাসকিন পরের ১০ ম্যাচে নেন আরও ১৫টি। সব মিলিয়ে ৯ ম্যাচে অন্তত ২টি করে উইকেট নেন টুর্নামেন্টের শেষ দিকে রাজশহীর অধিনায়কত্ব পাওয়া পেসার।
ফাহিম আশরাফ – ১১ ইনিংসে ২০ উইকেট

লিগ পর্বে ফরচুন বরিশালের বোলিং আক্রমণে বড় দায়িত্ব পালন করেন ফাহিম আশরাফ। শুরুতে কিছুটা নিষ্প্রভ ছিলেন পাকিস্তানি বোলিং অলরাউন্ডার। তবে পরের দিকে চমৎকার বোলিং করেন তিনি। প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৫ উইকেট নেওয়া ফাহিম পরের ছয় ম্যাচে নেন ১৫ উইকেট। সব মিলিয়ে ১১ ম্যাচে তার শিকার ২০টি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৭ রানে ৫ উইকেট এবারের আসরে তার সেরা বোলিং। বিপিএলে দারুণ পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্যাম্পে ডাক পান পেস অলরাউন্ডার। লিগ পর্ব শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে যেতে হয় তাকে। ফাহিমকে ছাড়াই বাকি ম্যাচগুলি খেলে বরিশাল।

আকিফ জাভেদ – ১১ ইনিংসে ২০ উইকেট
রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে নাহিদ রানার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গতির ঝড় তোলেন পাকিস্তানের তরুণ পেসার আকিফ জাভেদ। আসরজুড়ে দারুণ বোলিংয়ে ১১ ইনিংসে তিনি নেন ২০ উইকেট। ওভারপ্রতি খরচ করেন সাত রানের কম। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে লিগ পর্বের ম্যাচে ৩২ রানে ৪ উইকেট তার সেরা বোলিং।
সৈয়দ খালেদ আহমেদ – ১৪ ইনিংসে ২০ উইকেট
চিটাগং কিংসকে ফাইনালে তোলার পথে বল হাতে বড় অবদান রাখেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে নিয়মিতই উইকেট এনে দেন ৩২ বছর বয়সী পেসার। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে শেষ পর্যন্ত ১৪ ইনিংসে ২০ উইকেট নেন খালেদ। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৩১ রানে ৪ উইকেট অভিজ্ঞ পেসারের সেরা বোলিং।
খুশদিল শাহ – ৯ ইনিংসে ১৭ উইকেট
বোলারদের তালিকায় সেরা পাঁচে একমাত্র স্পিনার খুশদিল শাহ। রংপুর রাইডার্সের হয়ে ৯ ম্যাচে তার শিকার ১৭ উইকেট। ওভারপ্রতি খরচ মাত্র ৬.০৩ রান। জাতীয় দলের ডাকে পাকিস্তান ফিরে যাওয়ায় খুশদিল বিপিএল পুরোটা খেলতে পারেননি। দেশে ফিরতে না হলে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার হয়তো পেতে পারতেন বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার। কারণ ব্যাট হাতেও ৮ ইনিংসে ৫৯.৬০ ও ১৭৫.২৯ স্ট্রাইক রেটে ২৯৮ রান করেন খুশদিল। এর বাইরে আসরে অন্তত ১৫ উইকেট নিয়েছেন আরও চার জন – শরিফুল ইসলাম (১৭), আবু হায়দার (১৭, তানজিম হাসান (১৬) ও আলিস আল ইসলাম (১৫)।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রেকর্ডগড়া বিপিএলে তাসকিনের ধারেকাছে নেই কেউ

আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: তিন উইকেট নিয়ে আসরের শুরু। পরের ম্যাচে রেকর্ড বইয়ের পাতা ওলটপালট করে সাত উইকেট। এমন উড়ন্ত সূচনার পর বিপিএলের পরের অংশেও ডানা মেলে ভাসতে থাকেন তাসকিন আহমেদ। দল হিসেবে দুর্বার রাজশাহী তেমন ভালো না করলেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে অভিজ্ঞ পেসারই রয়ে যান সবার ওপরে। আসরজুড়ে একাধিক রেকর্ড গড়ে এবারের বিপিএলের সেরা বোলার তাসকন। ট্রফির পাশাপাশি তিনি পুরস্কান পান ৫ লাখ টাকা।

ফাইনালে ৫টি উইকেট নিতে পারলে তাসকিনকে ছুঁতে পারতেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। কিন্তু আসরজুড়ে দারুণ পারফর্ম করা চিটাগং কিংসের পেসার ফাইনালে আঁটসাঁট বোলিং করলেও উইকেটের দেখা পাননি একটিও।
তাসকিন আহমেদ – ১২ ইনিংসে ২৫ উইকেট

টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে নিজেদের নামের স্বার্থকতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ ছিল দুর্বার রাজশাহী। তবে শুরু থেকে সত্যিকার অর্থেই দুর্বার ছিলেন তাসকিন । ধারাবাহিক বোলিংয়ে এবারের আসরে একাধিক রেকর্ড গড়েন অভিজ্ঞ পেসার। সব মিলিয়ে ১২ ইনিংসে ২৫ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন সাড়ে ৬ রানের কম। বিপিএলের এক আসরে এটিই সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। ২০১৯ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ২৩ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ২৯ বছর বয়সী পেসার। পরের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের ব্যাটিং একাই গুঁড়িয়ে দেন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করে নেন ৭ উইকেট। বিপিএলে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো বোলারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এক ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া বিশ্বের মাত্র তৃতীয় বোলার তাসকিন। প্রথম দুই ম্যচে ১০ উইকেট পাওয়া তাসকিন পরের ১০ ম্যাচে নেন আরও ১৫টি। সব মিলিয়ে ৯ ম্যাচে অন্তত ২টি করে উইকেট নেন টুর্নামেন্টের শেষ দিকে রাজশহীর অধিনায়কত্ব পাওয়া পেসার।
ফাহিম আশরাফ – ১১ ইনিংসে ২০ উইকেট

লিগ পর্বে ফরচুন বরিশালের বোলিং আক্রমণে বড় দায়িত্ব পালন করেন ফাহিম আশরাফ। শুরুতে কিছুটা নিষ্প্রভ ছিলেন পাকিস্তানি বোলিং অলরাউন্ডার। তবে পরের দিকে চমৎকার বোলিং করেন তিনি। প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৫ উইকেট নেওয়া ফাহিম পরের ছয় ম্যাচে নেন ১৫ উইকেট। সব মিলিয়ে ১১ ম্যাচে তার শিকার ২০টি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৭ রানে ৫ উইকেট এবারের আসরে তার সেরা বোলিং। বিপিএলে দারুণ পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্যাম্পে ডাক পান পেস অলরাউন্ডার। লিগ পর্ব শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে যেতে হয় তাকে। ফাহিমকে ছাড়াই বাকি ম্যাচগুলি খেলে বরিশাল।

আকিফ জাভেদ – ১১ ইনিংসে ২০ উইকেট
রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে নাহিদ রানার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গতির ঝড় তোলেন পাকিস্তানের তরুণ পেসার আকিফ জাভেদ। আসরজুড়ে দারুণ বোলিংয়ে ১১ ইনিংসে তিনি নেন ২০ উইকেট। ওভারপ্রতি খরচ করেন সাত রানের কম। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে লিগ পর্বের ম্যাচে ৩২ রানে ৪ উইকেট তার সেরা বোলিং।
সৈয়দ খালেদ আহমেদ – ১৪ ইনিংসে ২০ উইকেট
চিটাগং কিংসকে ফাইনালে তোলার পথে বল হাতে বড় অবদান রাখেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে নিয়মিতই উইকেট এনে দেন ৩২ বছর বয়সী পেসার। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে শেষ পর্যন্ত ১৪ ইনিংসে ২০ উইকেট নেন খালেদ। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৩১ রানে ৪ উইকেট অভিজ্ঞ পেসারের সেরা বোলিং।
খুশদিল শাহ – ৯ ইনিংসে ১৭ উইকেট
বোলারদের তালিকায় সেরা পাঁচে একমাত্র স্পিনার খুশদিল শাহ। রংপুর রাইডার্সের হয়ে ৯ ম্যাচে তার শিকার ১৭ উইকেট। ওভারপ্রতি খরচ মাত্র ৬.০৩ রান। জাতীয় দলের ডাকে পাকিস্তান ফিরে যাওয়ায় খুশদিল বিপিএল পুরোটা খেলতে পারেননি। দেশে ফিরতে না হলে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার হয়তো পেতে পারতেন বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার। কারণ ব্যাট হাতেও ৮ ইনিংসে ৫৯.৬০ ও ১৭৫.২৯ স্ট্রাইক রেটে ২৯৮ রান করেন খুশদিল। এর বাইরে আসরে অন্তত ১৫ উইকেট নিয়েছেন আরও চার জন – শরিফুল ইসলাম (১৭), আবু হায়দার (১৭, তানজিম হাসান (১৬) ও আলিস আল ইসলাম (১৫)।