ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলার রায় ১২ অক্টোবর

  • আপডেট সময় : ১২:২১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় দ-িত হবেন কি না, তা জানা যাবে আগামী ১২ অক্টোবর। সাফাতের বিরুদ্ধে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলার শুনানি শেষে ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার গতকাল রোববার রায়ের তারিখ ঠিক করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি পিপি আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ এই তথ্য জানিয়েছেন। মামলায় আসামি পক্ষে ছিলেন এহসানুল হক সমাজী, শাহীনূর ইসলাম অনি, আব্দুল বারেক। মামলায় আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল। আসামিরা সবাই জামিনে ছিলেন। তবে রোববার সব আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। জামিন বাতিলের আদেশে তাদের চোখেমুখে উদ্বেগের ছাপ দেখা গেছে। আলোচিত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তরুণীদের অভিযোগ অনুযায়ী, এই রেইনট্রি হোটেলেই ঘটে ধর্ষণের ঘটনাতরুণীদের অভিযোগ অনুযায়ী, এই রেইনট্রি হোটেলেই ঘটে ধর্ষণের ঘটনা
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে। ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পর ৬ মে বনানী থানায় মামলাটি হয়। ওই দুই তরুণীর অভিযোগ, ওই হোটেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাতভর আটকে রেখে সাফাত ও নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন। অন্য তিনজন তাতে সহায়তা করেন।
মামলার কয়েকদিনের মধ্যে ১১ মে সিলেট থেকে সাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয় । তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হন সাদমানও। অন্য আসামিদেরও এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় তুমুল আলোচনার মধ্যে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় চলে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযান। বেআইনি সোনা পাওয়ায় দিলদারের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। মামলা হওয়ার পরের মাসেই ৭ জুন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তারপর বিচার শেষ হতে চার বছর লেগে গেল।
রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের শাস্তি চাইলেও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আসামি পক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ, সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার ইন্ধনে এই মামলাটি হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলার রায় ১২ অক্টোবর

আপডেট সময় : ১২:২১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় দ-িত হবেন কি না, তা জানা যাবে আগামী ১২ অক্টোবর। সাফাতের বিরুদ্ধে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলার শুনানি শেষে ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার গতকাল রোববার রায়ের তারিখ ঠিক করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি পিপি আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ এই তথ্য জানিয়েছেন। মামলায় আসামি পক্ষে ছিলেন এহসানুল হক সমাজী, শাহীনূর ইসলাম অনি, আব্দুল বারেক। মামলায় আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল। আসামিরা সবাই জামিনে ছিলেন। তবে রোববার সব আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। জামিন বাতিলের আদেশে তাদের চোখেমুখে উদ্বেগের ছাপ দেখা গেছে। আলোচিত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তরুণীদের অভিযোগ অনুযায়ী, এই রেইনট্রি হোটেলেই ঘটে ধর্ষণের ঘটনাতরুণীদের অভিযোগ অনুযায়ী, এই রেইনট্রি হোটেলেই ঘটে ধর্ষণের ঘটনা
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে। ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পর ৬ মে বনানী থানায় মামলাটি হয়। ওই দুই তরুণীর অভিযোগ, ওই হোটেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাতভর আটকে রেখে সাফাত ও নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন। অন্য তিনজন তাতে সহায়তা করেন।
মামলার কয়েকদিনের মধ্যে ১১ মে সিলেট থেকে সাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয় । তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হন সাদমানও। অন্য আসামিদেরও এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় তুমুল আলোচনার মধ্যে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় চলে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযান। বেআইনি সোনা পাওয়ায় দিলদারের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। মামলা হওয়ার পরের মাসেই ৭ জুন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তারপর বিচার শেষ হতে চার বছর লেগে গেল।
রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের শাস্তি চাইলেও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আসামি পক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ, সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার ইন্ধনে এই মামলাটি হয়েছে।