ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

রূপান্তরকামী নারীকে নির্যাতন: এক নারীসহ গ্রেপ্তার ৩

  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রূপান্তরকামী বা ট্রান্সজন্ডার নারীকে যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ (২১), সাইমা শিকদার নিরা ওরফে আরজে নিরা (২৩) ও আব্দুল্লাহ আফিফ সাদমান ওরফে রিশু (১৯)। র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-১ ও র‌্যাব-২ এর যৌথ অভিযানে গত শনিবার রাত ও রোববার সকালে ঢাকার ফার্মগেইট ও মহাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
“ভুক্তভোগী (ট্রান্সজেন্ডার) একজন প্রতিষ্ঠিত কর্মজীবী এবং নিজ যোগ্যতা, অধ্যবসায় ও কর্মদক্ষতায় উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন,” বলেছেন র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গতকাল রোববার কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১০ জানুয়ারি ভাটারা এলাকায় ওই ট্রান্সজেন্ডার নারীকে যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভাটারা থানায় একটি মামলা হয়। এরপর র‌্যাব অনুসন্ধানে নামে। র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০ জানুয়ারি ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল জব্দ করা হয় এবং প্রতারণার কজে ব্যবহৃত অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, খেলনা পিস্তল, মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কমান্ডার আল মঈন বলেন, “তারা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। ইশতিয়াক এই চক্রের মূলহোতা আর আরজে নীরা ও সাদমান আফিফ তার অন্যতম সহযোগী।
“তারা ২ বছর যাবত নানা কৌশলে জিম্মি, ব্লাকমেইল ও প্রতারণা করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী-পুরুষদের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ট্রান্সজেন্ডার নারীর সঙ্গে সাদমান আফিফ রিশুর পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্রে ১০ জানুয়ারি বসুন্ধরা এলাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী একটি রেস্তোরাঁর সামনে রিশুর সঙ্গে অভিযোগকারীর দেখা হয়। “সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ভুক্তভোগীকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইশতিয়াকের ভাড়া করা বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ইশতিয়াক, নিরা ও রিশু তাকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও যৌন নিপীড়ন করার পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করে।”
এ সময় রূপান্তরকামী নারীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তারপর ভুক্তভোগীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে রামপুরায় নামিয়ে দেওয়া হয় বলে র‌্যাব জানায়। ‘চক্রটি’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা আল মঈন বলেন, “তারপর কৌশলে বিভিন্ন সময়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ভুক্তভোগীদের হেনস্থা ও ব্ল্যাকমেইল করে থাকে। “তারা অপকর্মের জন্য তাদের ভাড়াকৃত বাসা ব্যবহার করত এবং যেখানে জোরপূর্বক আপত্তিকর ভিডিওগুলো ধারণ করত। তারা নিজেদেরকে সেনা কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয়ও দিত।” ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে ঢাকায় দুটি মামলা রয়েছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রূপান্তরকামী নারীকে নির্যাতন: এক নারীসহ গ্রেপ্তার ৩

আপডেট সময় : ০১:৩৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রূপান্তরকামী বা ট্রান্সজন্ডার নারীকে যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ (২১), সাইমা শিকদার নিরা ওরফে আরজে নিরা (২৩) ও আব্দুল্লাহ আফিফ সাদমান ওরফে রিশু (১৯)। র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-১ ও র‌্যাব-২ এর যৌথ অভিযানে গত শনিবার রাত ও রোববার সকালে ঢাকার ফার্মগেইট ও মহাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
“ভুক্তভোগী (ট্রান্সজেন্ডার) একজন প্রতিষ্ঠিত কর্মজীবী এবং নিজ যোগ্যতা, অধ্যবসায় ও কর্মদক্ষতায় উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন,” বলেছেন র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গতকাল রোববার কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১০ জানুয়ারি ভাটারা এলাকায় ওই ট্রান্সজেন্ডার নারীকে যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভাটারা থানায় একটি মামলা হয়। এরপর র‌্যাব অনুসন্ধানে নামে। র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০ জানুয়ারি ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল জব্দ করা হয় এবং প্রতারণার কজে ব্যবহৃত অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, খেলনা পিস্তল, মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কমান্ডার আল মঈন বলেন, “তারা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। ইশতিয়াক এই চক্রের মূলহোতা আর আরজে নীরা ও সাদমান আফিফ তার অন্যতম সহযোগী।
“তারা ২ বছর যাবত নানা কৌশলে জিম্মি, ব্লাকমেইল ও প্রতারণা করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী-পুরুষদের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ট্রান্সজেন্ডার নারীর সঙ্গে সাদমান আফিফ রিশুর পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্রে ১০ জানুয়ারি বসুন্ধরা এলাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী একটি রেস্তোরাঁর সামনে রিশুর সঙ্গে অভিযোগকারীর দেখা হয়। “সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ভুক্তভোগীকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইশতিয়াকের ভাড়া করা বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ইশতিয়াক, নিরা ও রিশু তাকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও যৌন নিপীড়ন করার পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করে।”
এ সময় রূপান্তরকামী নারীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তারপর ভুক্তভোগীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে রামপুরায় নামিয়ে দেওয়া হয় বলে র‌্যাব জানায়। ‘চক্রটি’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা আল মঈন বলেন, “তারপর কৌশলে বিভিন্ন সময়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ভুক্তভোগীদের হেনস্থা ও ব্ল্যাকমেইল করে থাকে। “তারা অপকর্মের জন্য তাদের ভাড়াকৃত বাসা ব্যবহার করত এবং যেখানে জোরপূর্বক আপত্তিকর ভিডিওগুলো ধারণ করত। তারা নিজেদেরকে সেনা কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয়ও দিত।” ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে ঢাকায় দুটি মামলা রয়েছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে।