ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

রুয়ান্ডা-স্টাইলে তৃতীয় দেশে স্থানান্তরের শঙ্কায় চাগোস দ্বীপের তামিল শরণার্থীরা

  • আপডেট সময় : ০১:২৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিপাকে পড়েছেন ব্রিটিশ অধিকৃত চাগোস দ্বীপপুঞ্জ থেকে আশ্রয়প্রার্থী তামিল শরণার্থীরা। তাদেরকেও রুয়ান্ডা-স্টাইল পরিকল্পনার অধীনে তৃতীয় কোনো দেশে জোরপূর্বক সরিয়ে নিতে পারে যুক্তরাজ্য সরকার। সরকারি আইনজীবীরা আশ্রয়প্রার্থীদের বলেছেন, যদি তারা শ্রীলঙ্কায় ফেরত না যেতে পারেন, তবে তাদেরকে অন্য কোনো দেশে সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে এসব আশ্রয়প্রার্থীদের কোন দেশে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে তা প্রকাশ করা হয়নি। পররাষ্ট্র দফতরের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তারা বলেছেন, শরণার্থী গ্রহণে প্রস্তুত এমন ‘তৃতীয় কোনো দেশ’ এর সাথে সম্ভাব্য চুক্তিগুলো পরীক্ষ করছেন মন্ত্রীরা। এক্ষেত্রে রুয়ান্ডাও সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে। তামিল শরণার্থীদের প্রথম একটি নৌকা মাত্র এক বছরের কিছু বেশি সময় আগে চাগোস দ্বীপপুঞ্জের অংশ দিয়েগো গার্সিয়াতে পৌঁছায়, যেটিকে যুক্তরাজ্য ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান ওশান টেরিটরি (বিআইওটি) আখ্যা দেয় এবং জাতিসংঘের রায় সত্ত্বেও এর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। যুক্তরাজ্য সরকারের এমন পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসার পর চিন্তায় পড়ে গেছেন সেখানকার তামিল উদ্বাস্তুরা। অভিবাসীদের কল্যাণে গঠিত যৌথ কাউন্সিলের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জেহরাহ হাসান বলেন, “ব্রিটিশ সরকার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চাগোস দ্বীপপুঞ্জে তামিল শরণার্থীদের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করে আসছে। মনে হচ্ছে তারা এসব শরণার্থীদেরও রুয়ান্ডার পরিকল্পনার মতো তৃতীয় কোনো দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে।” তিনি বলেন, “যারা নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছেন তাদের কথা শুনতে হবে এবং যুক্তরাজ্যে তাদের সুরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে।” গত সপ্তাহে তামিল আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীদের কাছে সরকারি আইনি বিভাগের পাঠানো এক চিঠিতে পররাষ্ট্র দফতরের পরিকল্পনাটি প্রকাশ্যে আসে। এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান ওশান টেরিটরি (ইমিগ্রেশন) অর্ডার ২০০৪-এর একটি সংশোধনী বিআইবিওটি কমিশনারকে অভিবাসীদের তৃতীয় কোনো দেশে সরিয়ে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, “কমিশনার যদি সিদ্ধান্ত নেন যে এক বা একাধিক অভিবাসীকে নিরাপদে শ্রীলঙ্কায় ফেরানো যাবে না, তাহলে যুক্তরাজ্য সরকারের নীতি হল সেই ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে না, পরিবর্তে তাদেরকে নিরাপদ তৃতীয় কোনো দেশে সরিয়ে নেওয়া হবে।” সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রুয়ান্ডা-স্টাইলে তৃতীয় দেশে স্থানান্তরের শঙ্কায় চাগোস দ্বীপের তামিল শরণার্থীরা

আপডেট সময় : ০১:২৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিপাকে পড়েছেন ব্রিটিশ অধিকৃত চাগোস দ্বীপপুঞ্জ থেকে আশ্রয়প্রার্থী তামিল শরণার্থীরা। তাদেরকেও রুয়ান্ডা-স্টাইল পরিকল্পনার অধীনে তৃতীয় কোনো দেশে জোরপূর্বক সরিয়ে নিতে পারে যুক্তরাজ্য সরকার। সরকারি আইনজীবীরা আশ্রয়প্রার্থীদের বলেছেন, যদি তারা শ্রীলঙ্কায় ফেরত না যেতে পারেন, তবে তাদেরকে অন্য কোনো দেশে সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে এসব আশ্রয়প্রার্থীদের কোন দেশে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে তা প্রকাশ করা হয়নি। পররাষ্ট্র দফতরের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তারা বলেছেন, শরণার্থী গ্রহণে প্রস্তুত এমন ‘তৃতীয় কোনো দেশ’ এর সাথে সম্ভাব্য চুক্তিগুলো পরীক্ষ করছেন মন্ত্রীরা। এক্ষেত্রে রুয়ান্ডাও সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে। তামিল শরণার্থীদের প্রথম একটি নৌকা মাত্র এক বছরের কিছু বেশি সময় আগে চাগোস দ্বীপপুঞ্জের অংশ দিয়েগো গার্সিয়াতে পৌঁছায়, যেটিকে যুক্তরাজ্য ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান ওশান টেরিটরি (বিআইওটি) আখ্যা দেয় এবং জাতিসংঘের রায় সত্ত্বেও এর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। যুক্তরাজ্য সরকারের এমন পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসার পর চিন্তায় পড়ে গেছেন সেখানকার তামিল উদ্বাস্তুরা। অভিবাসীদের কল্যাণে গঠিত যৌথ কাউন্সিলের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জেহরাহ হাসান বলেন, “ব্রিটিশ সরকার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চাগোস দ্বীপপুঞ্জে তামিল শরণার্থীদের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করে আসছে। মনে হচ্ছে তারা এসব শরণার্থীদেরও রুয়ান্ডার পরিকল্পনার মতো তৃতীয় কোনো দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে।” তিনি বলেন, “যারা নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছেন তাদের কথা শুনতে হবে এবং যুক্তরাজ্যে তাদের সুরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে।” গত সপ্তাহে তামিল আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীদের কাছে সরকারি আইনি বিভাগের পাঠানো এক চিঠিতে পররাষ্ট্র দফতরের পরিকল্পনাটি প্রকাশ্যে আসে। এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান ওশান টেরিটরি (ইমিগ্রেশন) অর্ডার ২০০৪-এর একটি সংশোধনী বিআইবিওটি কমিশনারকে অভিবাসীদের তৃতীয় কোনো দেশে সরিয়ে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, “কমিশনার যদি সিদ্ধান্ত নেন যে এক বা একাধিক অভিবাসীকে নিরাপদে শ্রীলঙ্কায় ফেরানো যাবে না, তাহলে যুক্তরাজ্য সরকারের নীতি হল সেই ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে না, পরিবর্তে তাদেরকে নিরাপদ তৃতীয় কোনো দেশে সরিয়ে নেওয়া হবে।” সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান