ঢাকা ০৩:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

রুমায় গোলাগুলিতে ‘কেএনএফ সদস্য’ নিহত

  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের রুমা উপজেলায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের এক সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; যিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
গতকাল রোববার দুপুরে রুমা থানার ওসি আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সকালে পাইন্দু ইউনিয়নের মুননুয়াম পাড়া এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তিকে কেএনএফ সদস্য বলে পুলিশ দাবি করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি। ওসি আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, “শনিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি দল পাইন্দু ইউনিয়নের মুননুয়াম পাড়ার ক্যাম্পে যাওয়ার সময় কেএনএফের সদস্যরা তাদের উপর হামলা চালায়। “পরে সেনবাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলি করলে কেএনএফের এক সদস্য নিহত হয়। খবর পেয়ে রোববার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কেএনএফের ওই সদস্যের লাশ উদ্ধার করে।” ঘটনাস্থল থেকে একটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের খবরও জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আইগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ নামে পাহাড়ের একটি সশস্ত্র দলের তৎপরতার খবর বেশ কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় আসছিল। পাহাড়িরা কেএনএফ সংগঠনটিকে ‘বম পার্টি’ নামে চেনে। নিজেদের তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক অঞ্চলের অনগ্রসর জনজাতিগুলোর ‘প্রতিনিধিত্বকারী’ হিসেবে তুলে ধরে।
এ সংগঠন ‘কুকি-চিন রাজ্যে’ নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চায়; যেখানে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরারা থাকবে না; থাকবে বম, খিয়াং, পাংখুয়া, লুসাই, খুমি ও ম্রোরা। পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলায় কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন অর্থের বিনিময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলে অক্টোবরে সংবাদ সম্মেলন করে জানায় র‌্যাব। জঙ্গিদের পাহাড় যোগের এ তথ্য পাওয়ার ওই সময় থেকে জঙ্গি ও কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় যৌথ অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব ও সেনা সদস্যরা। পরে এ অভিযান চালানো হয় থানচি উপজেলাতেও। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে এ পর্যন্ত নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ১২ জন সদস্য এবং কেএনএফের পাহাড়ে যারা ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত তাদের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রুমায় গোলাগুলিতে ‘কেএনএফ সদস্য’ নিহত

আপডেট সময় : ০১:৪৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের রুমা উপজেলায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের এক সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; যিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
গতকাল রোববার দুপুরে রুমা থানার ওসি আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সকালে পাইন্দু ইউনিয়নের মুননুয়াম পাড়া এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তিকে কেএনএফ সদস্য বলে পুলিশ দাবি করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি। ওসি আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, “শনিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি দল পাইন্দু ইউনিয়নের মুননুয়াম পাড়ার ক্যাম্পে যাওয়ার সময় কেএনএফের সদস্যরা তাদের উপর হামলা চালায়। “পরে সেনবাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলি করলে কেএনএফের এক সদস্য নিহত হয়। খবর পেয়ে রোববার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কেএনএফের ওই সদস্যের লাশ উদ্ধার করে।” ঘটনাস্থল থেকে একটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের খবরও জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আইগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ নামে পাহাড়ের একটি সশস্ত্র দলের তৎপরতার খবর বেশ কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় আসছিল। পাহাড়িরা কেএনএফ সংগঠনটিকে ‘বম পার্টি’ নামে চেনে। নিজেদের তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক অঞ্চলের অনগ্রসর জনজাতিগুলোর ‘প্রতিনিধিত্বকারী’ হিসেবে তুলে ধরে।
এ সংগঠন ‘কুকি-চিন রাজ্যে’ নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চায়; যেখানে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরারা থাকবে না; থাকবে বম, খিয়াং, পাংখুয়া, লুসাই, খুমি ও ম্রোরা। পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলায় কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন অর্থের বিনিময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলে অক্টোবরে সংবাদ সম্মেলন করে জানায় র‌্যাব। জঙ্গিদের পাহাড় যোগের এ তথ্য পাওয়ার ওই সময় থেকে জঙ্গি ও কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় যৌথ অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব ও সেনা সদস্যরা। পরে এ অভিযান চালানো হয় থানচি উপজেলাতেও। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে এ পর্যন্ত নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ১২ জন সদস্য এবং কেএনএফের পাহাড়ে যারা ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত তাদের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।