ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

রুপা হত্যার পাঁচ বছর: বিচার নিয়ে হতাশ পরিবার

  • আপডেট সময় : ০২:০৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে জাকিয়া সুলতানা রুপাকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার (২৫ আগস্ট-বুধবার) পাঁচ বছর পূর্ণ হলেও শেষ হয়নি এ মামলার বিচার কাজ। অবশ্য রুপা হত্যা মামলার বাদী রুপার বড় ভাই মো.হাফিজুর রহমান প্রামানিক বলেন, মহামান্য হাইকোর্টে সাড়ে চার বছর যাবত মামলাটির আপিল শুনানিই শুরু হয়নি। মুলত দীর্ঘ সময়ে মামলাটি অগ্রগতি না হওয়ায় আমাদের পরিবারের বিচার পাওয়ায় আশার প্রহর শেষও হচ্ছে না। তিনি আরো যোগ করে বলেন, এখন অল্প সময়ে আমরা বিচার পাওয়ার আশা নিয়ে রীতিমত হতাশও হয়ে পড়েছি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শেষে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর এলাকার আসান বাড়ি মহল্লার মৃত. জেলহক প্রামানিকের মেয়ে মেধাবী তরুণী রুপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা গণধর্ষণ ও হত্যা করে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। আর সে সময় রুপার পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় গণধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। পরের দিন তার বোনের মরদেহ শনাক্ত করে, ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর এবং চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে প্রত্যেক আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া রুপা হত্যা মামলার রায়ে ৪ আসামির ফাঁসি ও ১ জনের ৭ বছরের সশ্রম কারাদ- ও আর্থিক জরিমানার রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ছোঁয়া পরিবহনের সেই বাসটি রুপার পরিবারকে ক্ষতি পূরণ হিসেবে প্রদানেরও আদেশ দেন। এরপর সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামি খালাস চেয়ে মহামান্য হাইকোটে আপিল করেন। সে থেকে গত সাড়ে চার বছর যাবত মামলাটির আপিল শুনানিই শুরুই হয়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রুপা হত্যার পাঁচ বছর: বিচার নিয়ে হতাশ পরিবার

আপডেট সময় : ০২:০৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে জাকিয়া সুলতানা রুপাকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার (২৫ আগস্ট-বুধবার) পাঁচ বছর পূর্ণ হলেও শেষ হয়নি এ মামলার বিচার কাজ। অবশ্য রুপা হত্যা মামলার বাদী রুপার বড় ভাই মো.হাফিজুর রহমান প্রামানিক বলেন, মহামান্য হাইকোর্টে সাড়ে চার বছর যাবত মামলাটির আপিল শুনানিই শুরু হয়নি। মুলত দীর্ঘ সময়ে মামলাটি অগ্রগতি না হওয়ায় আমাদের পরিবারের বিচার পাওয়ায় আশার প্রহর শেষও হচ্ছে না। তিনি আরো যোগ করে বলেন, এখন অল্প সময়ে আমরা বিচার পাওয়ার আশা নিয়ে রীতিমত হতাশও হয়ে পড়েছি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শেষে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর এলাকার আসান বাড়ি মহল্লার মৃত. জেলহক প্রামানিকের মেয়ে মেধাবী তরুণী রুপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা গণধর্ষণ ও হত্যা করে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। আর সে সময় রুপার পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় গণধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। পরের দিন তার বোনের মরদেহ শনাক্ত করে, ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর এবং চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে প্রত্যেক আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া রুপা হত্যা মামলার রায়ে ৪ আসামির ফাঁসি ও ১ জনের ৭ বছরের সশ্রম কারাদ- ও আর্থিক জরিমানার রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ছোঁয়া পরিবহনের সেই বাসটি রুপার পরিবারকে ক্ষতি পূরণ হিসেবে প্রদানেরও আদেশ দেন। এরপর সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামি খালাস চেয়ে মহামান্য হাইকোটে আপিল করেন। সে থেকে গত সাড়ে চার বছর যাবত মামলাটির আপিল শুনানিই শুরুই হয়নি।