ক্রীড়া ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনাল এবার কিলিয়ান এমবাপেকে পৌঁছে দিতে পারে বিপরীতমুখি নানা অনুভূতির দোলাচলে। তবে সেই ভাবনায় এখনই সময় নষ্ট করতে চান না রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড। আপাতত তার মনোযোগ শুধুই কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রতিপক্ষ আর্সেনালকে ঘিরে। কোয়ার্টার-ফাইনালের দুই লেগে আগামী ৮ ও ১৬ এপ্রিল আর্সেনালের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। ৯ ও ১৫ এপ্রিল পিএসজি লড়বে অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে।
নিজেদের লড়াইয়ে জিততে পারলে সেমি-ফাইনালে দেখা হবে রিয়াল ও পিএসজির। একটি এমবাপের বর্তমান ক্লাব, যে দলের হয়ে প্রথম মৌসুমেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ছুটে চলেছেন তিনি। আরেকটি এমবাপের সাবেক ক্লাব, সেই দলের ইতিহাসের সফলতম গোলস্কোরার তিনি। পিএসজি ছেড়ে তার রিয়াল মাদ্রিদে আসা নিয়ে কয়েক মৌসুম ধরে টানাপোড়েন ও বিতর্কও কম হয়নি।
সত্যিই দুই ক্লাবের দেখা হলে সেই লড়াইয়ের আগে উত্তেজনা কেমন থাকবে, এখনই সেই আঁচ টের পাচ্ছেন এমবাপে। ফরাসি পত্রিকা লু পারিজিয়াঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হলো সম্ভাব্য সেই লড়াই নিয়ে। তবে প্রশ্নটিতে রিয়াল তারকা একটু বিরক্ত হলেন বলেই মনে হলো। “আমাকে সেটা ভাবতে বাধ্য করলে তা হবে আপনার সবচেয়ে বাজে ভুল। গত মৌসুমের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে আমার, যখন সবাই ধারণা করছিল যে, পিএসজি ও রেয়ালের ফাইনাল হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা (পিএসজি) ফাইনালে উঠতে পারিনি। আমার ভাবনায় এখন শুধুই আর্সেনাল, কোয়ার্টার-ফাইনালে যারা আমাদের প্রতিপক্ষ।” এই সাক্ষাৎকারেই এমবাপে বলেছেন, রিয়াল মাদ্রিদে প্রথম মৌসুমেই ট্রেবল জিততে চান তিনি, ক্লাবের সমৃদ্ধ ইতিহাসে যে অর্জন ধরা দেয়নি এখনও। স্রেফ কোনো এক প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবার মানে তিনি খুঁজে পান না।
“আমরা সব প্রতিযোগিতায় অংশ নেই। মৌসুমের এই শেষ ভাগে এসে দারুণ অর্জনের হাতছানি আছে আমাদের সামনে। প্রাণশক্তির সবটুকুই নিবেদিত হওয়া উচিত আমাদের দিকে এবং সামনের ম্যাচগুলোয়। এই ধরনের অনুমানগুলো (পিএসজি-রিয়াল লড়াই) ভক্ত-সমর্থকদের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত, যারা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে, বাড়াবাড়িও করতে পারে। আমাদের এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই।” পিএসজিতে এমবাপেকে ধরে রাখতে চেষ্টার কমতি রাখেননি ক্লাবের স্বত্বাধিকারী নাসের আল-খেলাইফি। শেষ পর্যন্ত তার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েনও গোপন থাকেনি। তবে সেসব নিয়ে কোনো ক্ষোভ পুষে রাখেননি বলেই দাবি করলেন এমবাপে। “চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির সঙ্গে দেখা হলে অবশ্যই আমি নাসেরের সঙ্গে হাত মেলাব।
আমি এমন মানুষ নই যে শুধু নেতিবাচকতা খুঁজে বেড়াই। পেশাদার জগতে ও ব্যক্তিগতভাবে যারা আমার জীবনে অবদান রেখেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে জানি আমি।”