ক্রীড়া ডেস্ক: ম্যাচজুড়ে আক্রমণে আধিপত্য করল বার্সেলোনা। সুযোগও পেল তারা অনেক। বেশিরভাগ যদিও কাজে লাগাতে পারল না। তবে লক্ষ্য ঠিকই পূরণ হলো তাদের। রায়ো ভাইয়েকানোকে হারিয়ে, আতলেতিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদকে পেছনে ফেলে প্রায় দুই মাস পর লিগ টেবিলের শীর্ষে ফিরল হান্সি ফ্লিকের দল। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে রবের্ত লেভানদোভস্কির গোল গড়ে দিয়েছে ব্যবধান। এই সপ্তাহে রিয়াল ও আতলেতিকো নিজ নিজ ম্যাচে পয়েন্ট হারানোয় বার্সেলোনার সামনে সুযোগ আসে শীর্ষে ওঠার। সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগাল তারা।
২৪ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৫১। সমান ম্যাচে রেয়ালেরও ৫১ পয়েন্ট। শিরোপাধারীদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে কাতালান দলটি। রেয়ালের মতো এক ধাপ পিছিয়ে তিনে নেমে গেছে আতলেতিকো। তাদের পয়েন্ট ৫০। লিগে গত ৯ রাউন্ডে অপরাজিত ভাইয়েকানোর বিপক্ষে চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বার্সেলোনা। বক্সে ঢুকে বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে রাফিনিয়ার ক্রসে লাফিয়ে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি লেভানদোভস্কি। বার্সেলোনার বেশ কিছু আক্রমণ ভাইয়েকানোর রক্ষণে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলার পর ২০তম মিনিটে ভালো সুযোগ পান রাফিনিয়া। আলেহান্দ্রো বালেদর কাট-ব্যাকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি। তিন মিনিট পর পেদ্রির চমৎকার পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এবার তার শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক আগুস্তো। ২৮তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন লেভানদোভস্কি। বল পোস্টে লেগে জালে জড়ায়। ভাইয়েকানোর বক্সে বার্সেলোনার ডিফেন্ডার ইনিগো মার্তিনেস ফাউলের শিকার হওয়ায় ভিএআরে মনিটরে দেখে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। এই মৌসুমে লা লিগার সর্বোচ্চ স্কোরার লেভানদোভস্কির গোল হলো ২৩ ম্যাচে ২০টি, দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের কিলিয়ান এমবাপের চেয়ে ৩টি বেশি।
৩১তম মিনিটে বাড়তে পারত ব্যবধান। বক্সে ভাইয়েকানোর এক ডিফেন্ডার হেডে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ার পর পেয়ে যান লামিনে ইয়ামাল। তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গারের শট ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক আগুস্তো। ৩৭তম মিনিটে ভয়চেক স্ট্যান্সনির চমৎকার ডাবল সেভে জাল অক্ষত থাকে বার্সেলোনার। এনতেকার নিচু শট ঠেকানোর পর কাছ থেকে আলভারো গার্সিয়ার প্রচেষ্টা রুখে দেন পোলিশ গোলরক্ষক। ৪৩তম মিনিটে ভাইয়েকানোর হোর্হে দে ফ্রুতোস বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও গোল মেলেনি। এ নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। ফ্রুতোস অফসাইডে ছিলেন না। অফসাইডে ছিলেন এনতেকা, যদিও বলে কোনো প্রভাব রাখার চেষ্টা তিনি করেননি। তবে বার্সেলোনার ডিফেন্ডার মার্তিনেসকে বাধা দেন তিনি। ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, এ কারণেই হয়তো গোল দেননি রেফারি। ৫৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হারান লেভানদোভস্কি। পেদ্রির পাসে পোলিশ স্ট্রাইকারের নিচু শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ৬০তম মিনিটে বক্সে এক্তর ফোর্তের ব্যাকহিল ফ্লিকে ইয়ামালের শট আটকে দেন ভাইয়েকানোর এক ডিফেন্ডার। ৭২তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রাফিনিয়া। আগুয়ান গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে তার চিপ শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ৮২তম মিনিটে তার আরেকটি শট ঠেকান গোলরক্ষক। পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সমতা টানার ভালো সুযোগ পান ফ্রুতোস। কিন্তু সতীর্থের ক্রসে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। ২৪ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে ভাইয়েকানো।