ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

রিজার্ভ, মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কাকে ‘অমূলক’ বললেন অর্থমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:৪০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নিয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এক যুগ আগের চেয়ে এ দুই ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এখন ভালো।
তার মতে, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ও রিজার্ভ পরিস্থিতি এক যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল তার চেয়েও ভালো অবস্থানে আছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতিকে আপনারা ভিন্নভাবে দাঁড় করার চেষ্টা করেন। আমরা মূল্যস্ফীতি মাসের ভিত্তিতে (মানথ টু মানথ) হিসাব করি। মূল্যস্ফীতি হবে এক বছরের গড় মূল্যস্ফীতি।“
এখন গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এখন এক মাসের ৭ দশমিক ৫৬ কে নিয়ে আমরা আতঙ্কিত হয়ে গেছি। অথচ ২০০৯ সালে যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ।
“সেখান থেকে শুরু করে এখন যে গড় মূল্যস্ফীতি সেটা মাসের ভিত্তিতে ধরলে এক রকম তথ্য পাবেন। আর গড় মূল্যস্ফীতি পেলে আরেক রকম তথ্য পাওয়া যাবে। এখন আমাদের গড় মূল্যস্ফীতি হচ্ছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।”
সম্প্রতি আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে বলে যে উদ্বেগ আছে তাকেও অমূলক মনে করেন অর্থমন্ত্রী। কোরবানি ঈদের ছুটির আগে আমদানি দায় পরিশোধের কারণে দুই বছরের মধ্যে প্রথম বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মত ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে ৩৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ৬ জুলাই রিজার্ভে ছিল ৪১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই এর পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই ২০২০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মত ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। ২০২১ সালের অগাস্টে তা রেকর্ড ৪৮ দশমিক ০৬ ডলারে পৌঁছায়। রিজার্ভ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা যখন আরম্ভ করি আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৭ বিলিয়ন ডলার। এখন নাই নাই করেও আমাদের ৪০ বিলিয়ন ডলার আছে। ৪০ বিলিয়ন কিন্তু আগে কখনও আমাদের ছিল না। আল্লার অশেষ মেহেরবানি। আমাদের সরকারের তিন মাসের মাথায় ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন থেকে ১০ বিলিয়নে আসলো। ১০ থেকে আমরা ৪৮ বিলিয়নে গেলাম। সেখান থেকে এখন ৪০ বিলিয়নে আছি।
“সুতরাং আপনারা যেগুলো বলেন, আরও সত্যি কথা বলা উচিত। মূল্যস্ফীতি কখনও ডেইলি বেসিসে হয় না, উইকলি বেসিতে হয় না, মূল্যস্ফীতি হয় বছরের গড় মূল্যস্ফীতি।“ দেশের জনগণ সাংবাদিকদের কাছ থেকে সঠিক তথ্যের আশায় বসে থাকে মন্তব্য করে রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে এসব তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রিজার্ভ, মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কাকে ‘অমূলক’ বললেন অর্থমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৪০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নিয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এক যুগ আগের চেয়ে এ দুই ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এখন ভালো।
তার মতে, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ও রিজার্ভ পরিস্থিতি এক যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল তার চেয়েও ভালো অবস্থানে আছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতিকে আপনারা ভিন্নভাবে দাঁড় করার চেষ্টা করেন। আমরা মূল্যস্ফীতি মাসের ভিত্তিতে (মানথ টু মানথ) হিসাব করি। মূল্যস্ফীতি হবে এক বছরের গড় মূল্যস্ফীতি।“
এখন গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এখন এক মাসের ৭ দশমিক ৫৬ কে নিয়ে আমরা আতঙ্কিত হয়ে গেছি। অথচ ২০০৯ সালে যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ।
“সেখান থেকে শুরু করে এখন যে গড় মূল্যস্ফীতি সেটা মাসের ভিত্তিতে ধরলে এক রকম তথ্য পাবেন। আর গড় মূল্যস্ফীতি পেলে আরেক রকম তথ্য পাওয়া যাবে। এখন আমাদের গড় মূল্যস্ফীতি হচ্ছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।”
সম্প্রতি আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে বলে যে উদ্বেগ আছে তাকেও অমূলক মনে করেন অর্থমন্ত্রী। কোরবানি ঈদের ছুটির আগে আমদানি দায় পরিশোধের কারণে দুই বছরের মধ্যে প্রথম বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মত ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে ৩৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ৬ জুলাই রিজার্ভে ছিল ৪১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই এর পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই ২০২০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মত ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। ২০২১ সালের অগাস্টে তা রেকর্ড ৪৮ দশমিক ০৬ ডলারে পৌঁছায়। রিজার্ভ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা যখন আরম্ভ করি আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৭ বিলিয়ন ডলার। এখন নাই নাই করেও আমাদের ৪০ বিলিয়ন ডলার আছে। ৪০ বিলিয়ন কিন্তু আগে কখনও আমাদের ছিল না। আল্লার অশেষ মেহেরবানি। আমাদের সরকারের তিন মাসের মাথায় ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন থেকে ১০ বিলিয়নে আসলো। ১০ থেকে আমরা ৪৮ বিলিয়নে গেলাম। সেখান থেকে এখন ৪০ বিলিয়নে আছি।
“সুতরাং আপনারা যেগুলো বলেন, আরও সত্যি কথা বলা উচিত। মূল্যস্ফীতি কখনও ডেইলি বেসিসে হয় না, উইকলি বেসিতে হয় না, মূল্যস্ফীতি হয় বছরের গড় মূল্যস্ফীতি।“ দেশের জনগণ সাংবাদিকদের কাছ থেকে সঠিক তথ্যের আশায় বসে থাকে মন্তব্য করে রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে এসব তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।