ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার

  • আপডেট সময় : ০৭:২৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: রফতানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের কল্যাণে বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ৬ মার্চ পর্যন্ত আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার, বা ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলার। যা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ৬ মার্চে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী (গ্রস রিজার্ভ) দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৬০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলার।

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। ওই দিন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার। তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সে হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা ওপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। দেশে সে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

আর নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ মানদণ্ড অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদী দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আড়াই বিলিয়ন (২.৫৩ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারি মাসে রফতানি আয় হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন (৩.৯৭ ) ডলার, যা গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় : ০৭:২৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: রফতানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের কল্যাণে বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ৬ মার্চ পর্যন্ত আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার, বা ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলার। যা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ৬ মার্চে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী (গ্রস রিজার্ভ) দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৬০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলার।

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। ওই দিন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার। তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সে হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা ওপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। দেশে সে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

আর নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ মানদণ্ড অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদী দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আড়াই বিলিয়ন (২.৫৩ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারি মাসে রফতানি আয় হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন (৩.৯৭ ) ডলার, যা গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।