চট্টগ্রাম ও রাজশাহী প্রতিনিধি: বিএনপির ডাকা দশম দফায় ২ দিনের অবরোধের প্রথম দিনে কোনো প্রভাব নেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। নগরী এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে স্বাভাবিকভাবে। চলছে দূরপাল্লার বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন। কর্মসূচি পালনে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি। গতকাল বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কোনো অবরোধের প্রভাব পড়েনি। নগরীর সর্বত্র যানবাহন চলাচল করছে স্বাভাবিক সময়ের মতো। নগরীতে রিকশা, অটোরিকশাসহ অন্যান্য গণপরিবহন চলাচল করছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে রয়েছে স্বাভাবিক যানজটও। চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহী ট্রাকও চলাচল করছে স্বাভাবিকভাবে। চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান জানান, চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করছে। নগরীতে সব ধরনের গণপরিবহন চলছে স্বাভাবিক। দূরপাল্লার বাসও চলাচল করছে। এদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নগরীর কোথাও কোনো মিটিং মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
আত্মগোপনে থাকা রিজভীর নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল
রাজশাহী সংবাদদাতা জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ‘আত্মগোপনে’ থাকা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে হঠাৎ রাজশাহীতে দেখা গেছে। গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকায় বিএনপির ঝটিকা মিছিলে অংশ নেন তিনি। এরপর রিজভী কোথায় গিয়েছেন তা স্থানীয় নেতারা জানেন না বলে দাবি করেছেন। এমনকি রিজভীর রাজশাহীতে আসা ও মিছিলে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিজেদের অজানা দাবি করেছেন তারা। তবে, বিএনপির দশম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন রাজশাহীতে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেন রিজভী। মিছিলটি সিটি হাট রোডের ডাবতলা মোড়ে গিয়ে সমাবেশে রূপ নেয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন দলটির কেন্দ্রীয় এই নেতা। এর আগে, গত সোমবার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সমাবেশে রিজভী বলেন, জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ আবারো একটি পাতানো নির্বাচনের পথ ধরে এগোচ্ছে। তারা ভেবেছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো সাজানো নির্বাচন করে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু জনগণ এবার একতরফা নির্বাচন হতে দেবে না। সরকারের নীল নকশার এই নির্বাচন জনগণ যেকোনো মূল্যে রুখে দেবে। তিনি আরও বলেন, নব্বইয়ের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ যেমন জনরোষ থেকে বাঁচতে পারেনি, পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। এই সরকারও জনরোষ থেকে বাঁচতে পারবে না। বিজয়ের মাসেই গণঅভ্যুত্থানেই তাদের পতন ঘটবে। রিজভী বলেন, জনগণ আজ জেগে উঠেছে। রাজপথে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। দেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা বিজয় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে, বাড়ি ফিরে যাবে না। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করীম টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, শাহনাজ খুরশীদ রিজভী, রনি প্রামানিক, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।