ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

রিজওয়ানের ফিফটিতে কুমিল্লার টানা সপ্তম জয়

  • আপডেট সময় : ০২:২০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বিপিএলে প্লে-অফ পর্ব আগেই নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবু নির্ভার থাকার সুযোগ নেই। দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও তাদের জায়গা পয়েন্ট টেবিলের তিনে। তাই সেরা দুইয়ে থাকতে হলে বাকি ম্যাচগুলোতে জয়ের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে নেমে আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারায় তারা। আসরে এটি তাদের টানা সপ্তম জয়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১৫৭ রানের লক্ষ্য পেরোতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি কুমিল্লার। তৃতীয় ওভারেই যদিও ওপেনার সৈকত আলীকে হারায় তারা। পাওয়ার প্লের ভেতর ফিরে যান অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা জনসন চার্লসকে এদিন থামতে হয় মাত্র ৯ রানে। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রাখেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। কুমিল্লার জয়ের পথ আরও সুগম হয় তাতে। আসরে নিজের টানা তৃতীয় ফিফটি তুলে রিজওয়ান থামেন ৬১ রানে। ৪৭ বলের ইনিংসটি সাজান ৫ চার ও ২ ছক্কার মাধ্যমে। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর শিকার হয়ে যখন সাজঘরে ফেরেন তিনি জয় থেকে তখন মাত্র ২৪ রান দূরে কুমিল্লা। সেই পথটা এক ওভার হাতে রেখেই পাড়ি দেন মোসাদ্দেক (৩৭) ও জাকের আলী (১০)। চট্টগ্রামের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় ও জিয়াউর রহমান। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় চট্টগ্রাম। প্রথম তিন ওভারের ভেতরই হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট । ডাক মারেন মেহেদী মারুফ, দুই রানে ফেরেন খাজা নাফে। দুজনকেই শিকার করেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম।
তৃতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন উসমান খান। দুজনে মিলে গড়ে তোলেন ৮৮ রানের জুটি। ৪১ বলে ৫২ রান করে সৈকত আলীর কাছে ধরাশায়ী হন উসমান। পাকিস্তানি এই ব্যাটার চলে যাওয়ার পর ক্রমাগত উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। বড় সংগ্রহের ভিত থাকলেও তা হাওয়ায় মিলিয়ে যায় যায় অচিরেই। অধিনায়ক শুভাগত হোম রান আউট হন ১২ রান করে। এরপর ‘ডাক’ মারেন কার্টিস ক্যাম্ফার ও জিয়াউর রহমান। শেষ দিকে দারউইশ রাসুলি ৯ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস না খেললে দেড় শ পেরোনোই মুশকিল হয়ে যেত চট্টগ্রামের জন্য। দলের সপ্তম ব্যাটার হিসেবে হাসান আলীর শিকার হওয়ার আগে ৪৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কার মার। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তানভীর ও হাসান আলী। এই জয়ের পর ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছ কুমিল্লা। সমান পয়েন্ট থাকলেও রানরেটে এগিয়ে থাকায় দুইয়ে ফরচুন বরিশাল। অন্যদিকে ১০ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের একদম তলানিতে চট্টগ্রাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৬/৭ (উসমান ৫২, আফিফ ৬৬, রাসুলি ২১; তানভীর ২/২৭, হাসান ২/২৫)। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৫৭/৪ (রিজওয়ান ৬১, মোসাদ্দেক ৩৭, জাকের ১০*; মৃত্যুঞ্জয় ২/৩৫, জিয়াউর ২/২৭)।
ফল: কুমিল্লা ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ-সেরা : মোহাম্মদ রিজওয়ান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রিজওয়ানের ফিফটিতে কুমিল্লার টানা সপ্তম জয়

আপডেট সময় : ০২:২০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বিপিএলে প্লে-অফ পর্ব আগেই নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবু নির্ভার থাকার সুযোগ নেই। দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও তাদের জায়গা পয়েন্ট টেবিলের তিনে। তাই সেরা দুইয়ে থাকতে হলে বাকি ম্যাচগুলোতে জয়ের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে নেমে আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারায় তারা। আসরে এটি তাদের টানা সপ্তম জয়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১৫৭ রানের লক্ষ্য পেরোতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি কুমিল্লার। তৃতীয় ওভারেই যদিও ওপেনার সৈকত আলীকে হারায় তারা। পাওয়ার প্লের ভেতর ফিরে যান অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা জনসন চার্লসকে এদিন থামতে হয় মাত্র ৯ রানে। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রাখেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। কুমিল্লার জয়ের পথ আরও সুগম হয় তাতে। আসরে নিজের টানা তৃতীয় ফিফটি তুলে রিজওয়ান থামেন ৬১ রানে। ৪৭ বলের ইনিংসটি সাজান ৫ চার ও ২ ছক্কার মাধ্যমে। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর শিকার হয়ে যখন সাজঘরে ফেরেন তিনি জয় থেকে তখন মাত্র ২৪ রান দূরে কুমিল্লা। সেই পথটা এক ওভার হাতে রেখেই পাড়ি দেন মোসাদ্দেক (৩৭) ও জাকের আলী (১০)। চট্টগ্রামের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় ও জিয়াউর রহমান। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় চট্টগ্রাম। প্রথম তিন ওভারের ভেতরই হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট । ডাক মারেন মেহেদী মারুফ, দুই রানে ফেরেন খাজা নাফে। দুজনকেই শিকার করেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম।
তৃতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন উসমান খান। দুজনে মিলে গড়ে তোলেন ৮৮ রানের জুটি। ৪১ বলে ৫২ রান করে সৈকত আলীর কাছে ধরাশায়ী হন উসমান। পাকিস্তানি এই ব্যাটার চলে যাওয়ার পর ক্রমাগত উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। বড় সংগ্রহের ভিত থাকলেও তা হাওয়ায় মিলিয়ে যায় যায় অচিরেই। অধিনায়ক শুভাগত হোম রান আউট হন ১২ রান করে। এরপর ‘ডাক’ মারেন কার্টিস ক্যাম্ফার ও জিয়াউর রহমান। শেষ দিকে দারউইশ রাসুলি ৯ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস না খেললে দেড় শ পেরোনোই মুশকিল হয়ে যেত চট্টগ্রামের জন্য। দলের সপ্তম ব্যাটার হিসেবে হাসান আলীর শিকার হওয়ার আগে ৪৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কার মার। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তানভীর ও হাসান আলী। এই জয়ের পর ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছ কুমিল্লা। সমান পয়েন্ট থাকলেও রানরেটে এগিয়ে থাকায় দুইয়ে ফরচুন বরিশাল। অন্যদিকে ১০ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের একদম তলানিতে চট্টগ্রাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৬/৭ (উসমান ৫২, আফিফ ৬৬, রাসুলি ২১; তানভীর ২/২৭, হাসান ২/২৫)। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৫৭/৪ (রিজওয়ান ৬১, মোসাদ্দেক ৩৭, জাকের ১০*; মৃত্যুঞ্জয় ২/৩৫, জিয়াউর ২/২৭)।
ফল: কুমিল্লা ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ-সেরা : মোহাম্মদ রিজওয়ান।